যে ছবিটি দেখছেন এই ছবিটি হলো কয়রার বর্তমান চিত্রের একটি, আরো চোখে জল আনা কষ্টের ছবি আছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই পরিস্থিতির জন্য কি প্রাকৃতিক দূর্যোগ দায়ী নাকি চরম দূর্নীতি?
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দূর্যোগের মোকাবেলা করতে হয় অনেক, প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়ে দেশের সম্পদ, জন জীবনে নেমে আসে শত কষ্ট। কিন্তু যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগের ক্ষতি কমানোর সুযোগ থাকার পরেও শুধু চরম দূর্নীতি আর অবহেলার কারণে একটি জনপদ বছরের পর বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের মুখে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তখন কি বলতে মন চায় দায়িত্বশীলদের, কি ধরনের তিরস্কার করলে মনের ক্ষোভ কমবে? এখন আমি যদি তিরস্কার করে কিছু লিখি আমার অপরাধ হবে নাকি দূর্নীতিবাজদের তিরস্কার করা যাবে না তারা ক্ষমতাসীন বলে?
প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আয়লায় দেশের দক্ষিণ অঞ্চল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, নদীর বাধ ভেঙ্গে জনপদে পানি ঢুকে পরে, লোনা পানি বন্ধী থাকতে হয় প্রায় তিন বছর, বেঁড়িবাধগুলো আর পূর্বের মত করে তৈরি হয়নি, প্রতি বছর বাজেট হয়েছে আর নামমাত্র সংস্কার করে পুরো অর্থ লোপাট হয়েছে।
এখন লোপাটকারীদের একটু মন খুলে কি তিরস্কার পর্যন্ত দিতে পারবো না?
আশার কথা হচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনী প্রধান কিছুদিন আগে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছে, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন উপযুক্ত করে বাঁধ নির্মাণের সহযোগিতা সেনাবাহিনী করবে, আর দক্ষিণের মানুষের চাওয়া এই কাজ যেন সেনাবাহিনীর দায়িত্বে হয় কারণ মানুষের মন থেকে মানুষের মত দেখতে জানোয়ারদের আর বিশ্বাস করতে পারছে না।
সাধারণ মানুষ তখনই সেনাবাহিনীর প্রতি টান অনুভব করে যখন রাজনীতিবিদরা মানুষের নিম্নতম মৌলিক অধিকার দিতে ব্যার্থ হয়, ইতিহাসও তাই বলে। আমি বলছি না সেনাবাহিনী নাগরিকদের সব অধিকার পুরণ করে তবে নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৫৯