এই মাত্র কিছুদিন আগের কথা
এসেছি বাংলা মায়ের কোল ছেড়ে।
হয়নি বেশিদিন তারপরেও
জন্মভুমির কথা আমার মনে পড়ে।
এজন্যই হয়ত যুগে যুগে
অনেকেই বলেছে বাংলা মায়ের কথা।
তার বিরহে, দুরদেশে থেকেও
সইতেছি অনেক ব্যথা।
দোলা দিয়ে যাচ্ছে আজ
প্রচুর না বলা স্মৃতি।
মনে পড়ছে গ্রাম বাংলার
অপুর্ব রুপ আর আচার-রীতি।
সহজ সরল মানুষের কষ্টের জীবন
আর বেদনার কথা।
তাদের অক্ষমতা, তাদের দুর্বলতা
আর সীমাহিন না পাওয়ার ব্যথা।
সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরে
যা তারা করে উপার্জন।
পারেনা জোগাড় করতে তা দিয়ে
পরিবারের ভরণপোষন।
সেই মানুষগুলোর কথাই আজ
মনে পড়ছে আর ভাবছি।
ওদের সুখের জন্য আমরা
কি রেখে যাচ্ছি।
না দিতে পেরেছি ওদের ন্যায্য প্রাপ্য
করেছি ওদের মুল্যায়ন।
আজ এই সভ্যতার উত্তরণের পরেও
ওদের করা হচ্ছে শোষন।
না পাচ্ছে চিকিৎসার ব্যবস্থা
বঞ্চিত শিক্ষা থেকে।
দেশের উন্নতি চাইছে কিভাবে
তাদের অবহেলিত রেখে।
স্বাধীন দেশের বড়াই করি
আসলেই কি ওরা স্বাধীন।
স্বাধীনতার আড়ালেই আজও ওরা
রয়ে গেছে পরাধিন।
বাংলা মা, তুমি কত মহান
তুমি কত উদার।
তোমার বুকচিরে ফলাও ফসল
তুমি কতটা উর্বর।
তোমার বুকেতে সারাটি বছর
থাকে সবুজের মেলা।
ভ্রমরের গুঙ্গন, পাখির কাকতালি
কখনো ভাসাও সাদা মেঘের ভেলা।
অসংখ্য নদী তোমার বুকচিরে
চলেছে একে বেকে।
শোনা যায় মাঝি মাল্লার গান
ওই নদীর বুকে থেকে থেকে।
তোমার বুকে আছে বিল, খাল
আর পুকুর ভরা মাছ।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক
ছোট বড় চিরহরিৎ গাছ।
তুমি প্রকৃতির আশির্বাদ পুষ্ট
তুমি চিরসবুজের দেশ।
তোমার আপন রুপে উদ্ভাসিত
তুমি আমার বাংলাদেশ।
তোমার বুককে করছে কলুষিত
আজও কিছু উন্মাদ।
সয্য করে চলেছে সকলেই
করছে নাকো প্রতিবাদ।
আজও হচ্ছে হানাহানি
হচ্ছে তোমার বুকে লুন্ঠন।
কতিপয় কিছু স্বার্থপর করছে
তোমার সম্পদ বন্টন।
কবে তুমি হবে স্বাধীন
ফুটবে তোমার মুখে হাসি।
তোমায় নিয়ে সদা থাকি উদ্বিগ্ন
কারণ তোমায় আমি ভালবাসি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




