নবান্নের শেষে শীত আসে বাংলায়।
কৃষাণ কিৃষাণির মনে আনন্দ থাকে তাই।
উত্তরের হিমেল বাতাস শুরু করে বইতে।
শীতের যাতনা তাদের হয় যে সইতে।
শষ্কতার উন্মেষ ঘটে বাংলার প্রকতিতে।
নিস্তব্ধতা বিরাজ কর্ এই শীতের রাতে।
শীতের নিস্তব্ধ রাতের তারা ভরা আকাশ।
যেন তার নিজের রুপের ঘটায় বিকাশ।
জোনাকি পোকাগুলি জ্বেলে রাখে আলো।
বাংলার রুপকে তারা যেন বাসে কত ভাল।
শীতের চিরসবুজ বাংলায় আসে পরির্বতন।
কিছু কিছু গাছে ঘটে পত্রমোচন।
তবুও এই বাংলা থাকে সবুজে ঢাকা।
যে দেশের স্ব্প্ন আমার হৃদয়ে আঁকা।
মাঠে মাঠে বসে হলুদ ফুলের মেলা।
মৌ্মাছির দল তার সাথে করে যেন খেলা।
গুন গুন রবে তারা করে আলিঙ্গন।
ভবিষ্যতের ভাবনায় করছে মধু আহরণ।
সকালের শিশির যুক্ত সবুজ ঘাসে।
সূর্য্যের আলো পড়ে যেন তা হাসে।
মাঝে মাঝে কুয়াশায় মোড়া চাদরে।
বাংলার চিরাচরিত রুপ যায় ঢাকা পড়ে।
সকালে্র মিষ্টি রোদে বসে উঠানে।
মায়ের হাতের পিঠা খেতাম আপন মনে।
খেজুরের রস আর রসে তৈ্রী পায়েশ।
এখনো অনুভুতি জাগাই খেতে লাগত বেশ।
রাতে অতিরিক্ত শীতে আলো জ্বেলে।
যেতাম লেপের নিচে মায়ে টের না পেলে।
কখনো কখনো আবার যদি খেতাম ধরা।
বকুনি খেয়ে তখন শুরু করতাম পড়া।
সকালে ঘুম থেকে উঠতাম সবার আগে।
চুপি চুপি চলে যেতাম পাঁকা বরই কুঁড়াতে।
গ্রামের বাজারে বাজারে বসত শীতের মেলা।
বন্ধুদের সহিত মেলায় যেতাম বিকাল বেলা।
কাটিয়ে দিতাম সারাবিকাল অল্প টাকা নিয়ে।
মায়ের জন্য কিনতাম কিছ্ তা থেকে বাঁচিয়ে।
দোলা দিয়ে যায় এসব স্মৃতি এখনো অম্লান।
বাংলার বুকে ফিরে যেতে মন করে আনচান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




