হয়ত আছে ভিন্ন মতবাদ
জীবনটা আসলে কি? এটা নিয়ে।
কেউবা বলবে ড্যাফোডিল ফুল
যা ক্ষনিকের তরেই যায় হারিয়ে।
অন্যজন বলবে হয়ত ভিন্ন কথা
জীবন সকালের ঘাসের শিশির বিন্দুর ন্যায়।
সূর্যাস্তের পরে পশ্চিমের “গোধুলীময় আকাশ”
থাকবে কারো ভাবনায়।
কিন্তু তাতে কি? সবারই কল্পনায়।
আমি একই সাদৃশ্য খুঁজে পাই।
জীবন যাই হোক ড্যাফোডিল ফুল,
শিশির বিন্দু অথবা গোধুলীময় আকাশ।
এরা সবাই মেলে ধরে নিজস্ব রুপ
ঘটায় অপূর্ব মহিমার বিকাশ।
ড্যাফোডিল ফুল নিজেকে বিলিয়ে গন্ধ ছড়িয়ে
পৃ্থিবীকে করে যায় সুবাসময়।
আকাশের গোধুলী রক্তিম আলো ছড়িয়ে
পৃথিবীকে রাখে ক্ষনিকের তরে আলোকময়।
উর্বর শিশির বিন্দু
ঘাসের বুকে ঝরে।
সবুজ ঘাসের সৌ্ন্দর্য
আরো প্রস্ফুটিত করে।
প্রকৃত মনুষ্য জীবনটাকে যদি
উপরোক্তভাবে বিবেচ্য করা যায়।
বাস্তবিক পক্ষে জীবনের ওইরুপ
কোন মিল খুঁজে নাহি পাই।
জীবনটা একটা বিষাদ সিন্ধু
যেখানে নিয়োজিত থাকে সবাই নিজের কল্যাণে।
চড়াই উতরাই পেরিয়ে সবাই
চেষ্টা করে ছুটতে সম্মুখপানে।
স্বকল্যাণে আর আত্নতুষ্টিতে নিয়োজিত থেকে
ভাবনায় ভর করে একটি বিষয়।
কিভাবে সংগ্রাম করে বা অন্যকে ফাঁকি দিয়ে
নিজের উন্নতি সাধন হয়।
নগণ্য মানুষই আছে এই পৃ্থিবীতে
নিয়োজিত রাখে সারাটি জীবন ধরে।
আত্নতুষ্টি বা নিজসুখ ভুলে গিয়ে
কেবল পরের হিত সাধন করে।
তাই যখন দেখি মনুষ্য জীবনটা
পরোপকারি কোন বস্তুর সাথে আসে তুলনায়।
হৃদয়টা হয়ে উঠে ব্যাথাতুর
আর জীবনটা ভরে যায় লজ্জায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




