Genre: Action, Adventure
IMDb Rating: 3.8
Personal Rating: ৬.৫
মাত্র ২ দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে আমির খান ও অমিতাভের বহু প্রতীক্ষিত মুভি Thugs of Hindostan. মুভির নাম থেকেই বোঝা যায় যে ভারতের দস্যুদের সম্পর্কে এই মুভিটিতে দেখানো হবে। কিন্তু আসলে যাদের পরিচয় দস্যু বলা হচ্ছে এরা আসলে বিপ্লবী মুক্তিকামী লড়াকু বীর। আর এই বীরেরা লড়াই করেছে ইংরেজ বাহিনী যারা ভারতের ওপর নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
যাই হোক মুভিটি মুক্তি পাবার পর থেকেই শতশত নেগেটিভ রিভিউ দেখে মুভিটি দেখবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। আইএমডিবি রেটিং বলছে দশের মধ্যে মুভিটি ৪ এর কম পেয়েছে। অর্থাৎ মুভিটি খুব খারাপ মানের হয়েছে। তারপরও আজ সকালে মাত্রই কোন প্রকার বোরিং না ফিল করেই মুভিটি দেখা শেষ করলাম।
একটি বিষয় আপনাদের জানিয়ে রাখি প্রথমত আমি আমিরের অন্ধ ভক্ত নই এবং এক সময় আমার সব থেকে প্রিয় নায়ক ছিল কিং খান। তবে আমির খানের থ্রি ইডিয়টস মুভিটি আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে এবং ধুম ৩ সব থেকে বাজে মানের মনে হয়েছে।
মুভির ক্যারেক্টার গুলো এমন ছিলঃ
অমিতাভঃ ইংরেজ বিরোধী বীর বাহিনীর নেতা। সম্পূর্ণ মুভিতে দুর্দান্ত অ্যাকশন সিন ছিল তার। সবাই তার অভিনয়ের প্রশংসা করেছে। এই মুভি দেখার পর যারা অমিতাভের ভক্ত ছিল না তারাও তার ভক্ত হতে বাধ্য।
সানা শেখঃ সানার পিতা রাজা ছিল যাকে হত্যা করে তার রাজ্য দখল করেছিল ইংরেজরা। সানা ছোট বেলা থেকেই অপেক্ষা করে এসেছে কিভাবে সে পরিবার হারাবার প্রতিশোধ নিবে। মুভি দেখার পর সানার একশনের প্রশংসাও সবাই করেছে।
আমির খানঃ মুভিতে আমিরের নেগেটিভ রোল ছিল। এক কথায় সে দালালের রোলে অভিনয় করেছে। প্রথম দিকে টাকার বিনিময়ে সে ইংরেজদের সাহায্য করেছে। পরের দিকে আমির ইংরেজ বিরোধী আযাদ বাহিনীর জন্য কাজ করেছে তবে সে দেশ প্রেমিক নয় এজন্যই সে দেশে থাকতে চায় নাই বরং আযাদ বাহিনীকে সাহায্য করা শেষে ইংরেজদের দেশেই রওনা হয়েছে। একজন দালাল হিসেবে অবশ্যই তার অভিনয় আমার কাছে ভালো লেগেছে তবে খানদের আসলে সবাই নায়ক হিসেবে দেখতে চায়, ফলে সবাই আমিরের দোষ ধরছে।
ক্যাটরিনাঃ মুভিতে ক্যাটরিনা কাইফের চরিত্র ছিল বার ড্যান্সারের। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সে ইংরেজদের জন্য নাচানাচি করে। আমরা সবাই জানি সে নাচে যতটা ভালো অভিনয়ে ততটাই খারাপ। সুতরাং তার নাচ ছাড়া মুভিতে তেমন কোন অভিনয় ছিল না শেষে আমির খানের সঙ্গী হওয়া ছাড়া।
হ্যাঁ এবার যদি আপনি ডিরেক্টরের কথা বলেন তবে বলা যায় মুভি পরিচালনায় কিছু ভুল রয়েছে। কাহিনীটিকে আরও সুন্দর ভাবে রুপায়ন করা সম্ভব ছিল যা তিনি করতে চান নাই বা চেষ্টা করেন নাই। ৩ ঘণ্টার মুভি তৈরি করেছেন অথচ কিছু গুরুত্বপূর্ন দৃশ্য খুব দ্রুতই দেখিয়েছেন অথচ পিছনের প্রস্তুতি দেখান নাই। বিশেষ করে ইংরেজ প্রাসাদের ভেতরে কিভাবে আযাদ বাহিনী ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হল? তাদের কস্টিউম কিভাবে পেল? আর ক্যাটের পোশাক আর নাচ সেটা আঠারশো সাল নয় ২০১৮ সালের মনে হয়েছে।
সব দিক বিবেচনায় মুভিটি সারে ছয়ের কম পাবার কথা নয়। মুভিটি হয়ত আমাদের সবার প্রত্যাশা মেটাতে পারবে না তবে ঐতিহাসিক মুভি না মনে করে বাণিজ্যিক মুভি হিসেবে নিঃসন্দেহে দেখাই যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭