আহ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে !!! আমার ঘরের বারাক ওবামা বাপের বাড়ি যাবে শুনে মনটা খুশীতে ধিঙ্কা চিকা করে আওয়াজ দিচ্ছিল। জেমস এর গানের মত এ মন আমার আনচান আনচান করে গুনগুন করতে লাগল। এই আনচান আনচান যে কেন তা বুঝতে পারলাম না।লুল ভাইয়েরা অন্য কিছু ভাবিলে নিজ দায়িত্তে ভাবিবেন। তবে দীর্ঘকাল পরে যেন মুক্ত হাওয়ার পরশ লাগল অন্তরে।উনি এটা বুঝতে পেরে বললেন খুশিতে তো মনে চিকা লুটোপুটি খাচ্ছে।না থাকলে বুঝবা ।। আর শোন তোমার চিকার দল (বন্ধু-বান্ধব) বাসায় এসে যেন কিছু উল্টাপাল্টা না করে।।(এর আগে এইরকম একটি বেদনা দায়ক ইতিহাস আছে কিনা!!!) খুব বেশি পাত্তা দিলাম না।মনে মনে বললাম আইজকা সব ক্ষমতা আমার ।। আর তারে কইলাম- জয় এর গান শুন নাইঃ বন্ধু... বোঝে আমাকে...বন্ধু আছে...আর কি লাগে।হে কইল দেখা যাবে... মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।তারপর বেণী দুলিয়ে হাঁসতে হাঁসতে বের হয়ে গেল।
যাই হোক ...প্রথম দিন ।খাওয়া দাওয়া ভুলে ঘুম দিলাম। তারপরে উঠে বুঝলাম যাওয়ার আগের হাসির মর্মার্থ।রান্না আমি একদম পারি না। দৌড় আলু সিদ্ধ ডিম ভাজা আর জাউ ভাত রান্না পর্যন্ত। যা হোক কোনমতে দিন কাটল।রাতে ফোন দিলাম চিকা গুলিরে।।মানুষ খাল কেটে কুমির আনে আর আমি ফোন দিয়ে আনছিলাম চিকা হারামি গুলারে।আমি কইলাম ঘরে খাবার নাই।চল বাইরে খাই...সবতে এক কথায় রাজী।গেলাম পিজা হাট। পেট ভরে খেয়ে যখন টাকার হিসাব করছিলাম কার ভাগে কত টাকা পরবে হটাত একজন বলল তর বৌ বাড়িতে নাই এই খুশিতে তুই বিল দে। বুকটা হিম হয়ে গেল।গরম পিজা যেন ভিতরে পাথর হয়ে গেছে । আর ভাবতে পারলাম না।তার আগেই দেখি মানি ব্যাগ হাতছারা। পেটে পিজা আর মনে পাথর বেঁধে বের হয়ে আসলাম।
বাসায় আসার পরে মন খারাপ করে শুয়ে থাকলাম।। আর ভাবতে লাগলাম। বৌ বাসায় থাকলে দুইজন মিলে কিছু রান্না করে খেতাম। রাতের টুকটাক আলাপ ঝগড়াগুলি মিস করতে লাগলাম। তার উপরে খাইলাম সিল... এর চেয়ে বৌ ঝগড়া করলেও ভাল ছিল।বিপদ এর এই শেষ না।পরের দিন সকালে ওবামা ফোন কইরা কয় আমি একদিন নাই আর পিজা খাওয়ার উৎসব লাগসিল, না!!!!??? এইটা যে কার স্থূল চক্রান্ত তা বুঝতে পারলাম না। তবে মিন মিন করে বললাম সব বানোয়াট ।হটাৎ ফোন এর ওপাশে আরেক নারী(এক চিকার বৌ) কণ্ঠ কয় ভাই মিথ্যে কথা বলা মহাপাপ।আমি বললাম এইটা কি বললেন।এইবার ওইপাশ থেকে চিকায় কয় দোস্ত
মাইন্ড খাইস না।কাল রাতে বাসায় আইসা ভাত কম খাওয়াতে তর ভাবি বুইঝা ফালাইসে ঘটনা...তারপর তরে কনফারেন্স কল কইরা হেরা ধরসে!!(হায়রে বুদ্ধি!!!)অনেক আগে আব্দুল্লাহ উপন্যাসে পরছিলাম মেয়েরা মাথার খুলির খালিত্ত ঢাকার জন্য মাথায় একরাশ চুল পোষণ করে...এই কথা যে চরম মিথ্যা তা আমি ছাড়া কেইবা জানে!!! ...কি আর করা।এর পরদিন হাসপাতালে ডিউটি শেষ করে ভাবতেসি বাসায় যাওয়ার আগে খেয়ে যাই।।গেছি সিএফসি তে।চিকেন টা নিয়া মাত্র কামড় দিসি।।হটাৎ পিঠে হাত।।আমি কই ডিস্টার্ব করে কেডা??দেখি ওবামা দাড়াইয়া।!!!! সে আসছিল তার বান্ধবীর সাথে।আমি উল্টা ঝাড়ি দিব যে জামাই রে বাসায় একা ফালাইয়া বান্ধবীর লগে ঘুর...তার আগেই খেল খতম।।কয় যে এইখানে চিকেন টারে যেমনে ভাজসে আমারে বাসায় নিয়া অমনে ভাজবে... পিজা খাইয়া ধরা খাওয়ার পরেও নাকি আমার শিক্ষা হয়নি।।
তারপর পকেট গড়ের মাঠ করে বৌ আর তার বান্ধবীরে(উইথ পুলাপাইন)ঠাণ্ডা করে বাসায় আসলাম।আসার আগে জিজ্ঞেসা করলাম বৌ তুমি কবে আইবা? কয় আর দুইদিন।। আমি কই আর দুই দিন...!!!!!!!!?হেয় কইল তোমার জয় এর গান মনে নাইঃ বন্ধু... বোঝে আমাকে...বন্ধু আছে...আর কি লাগে।।মনে মনে কইলাম আমার বন্ধুগনের মত বন্ধু থাকলে শত্রু লাগে নাকি??!!
আর মুখে কইলাম তুমি তো তো শুধু আমার বৌ না বন্ধু ও তো...হেয় কয় আর তেল দিতে হইবনা।
বাসায় আইসা ভাবলাম হায়রে বউ...তুই থাকলেও তোর কথা ক্যাঁচক্যাঁচ লাগে...না থাকলেও বিপদে পড়ি।
রাতে মোবাইলে মেসেজ আসল- তুমি আজ একটু কষ্ট করে থাকো। আমি কালই চলে
আসব।
আহ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে !!!!(বুঝিলাম বঁধু কে বন্ধু বলায় এই ঘটনা ঘটিল)।
বি,দ্রঃ ১। এই পোস্ট সমস্ত বৌ জাতিকে ছোট করিবার জন্য নহে।। এবং উহাদের কে শুধুমাত্র ঘরের কাজের জন্য বিবেচনা করার জন্য নহে।
২। ইহা একটি অতি সাময়িক পোস্ট। যখনি দেখিবেন ইহা ব্লগ হতে গায়েব তৎক্ষণাৎ ধরিয়া নিবেন বারাক ওবামা সদর্পে গৃহে প্রত্যাবর্তন করিয়াছেন।কারন পোষ্ট দেখিলে আম – ছালা দুইটাই হারানোর সম্ভাবনা আছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


