somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুভ জন্মদিন প্রিয় রবার্ট ডাউনি জুনিয়র।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




"তোমার ছোটবেলার প্রথম সুপারহিরো কে?"
বেশিরভাগ মানুষকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় এই প্রশ্নটা, তাহলে যেই উত্তর আসবে সেটা হল "আমার বাবা"। কিন্তু এই মানুষটার ক্ষেত্রে উত্তরটা এমন ছিল না। তার পিতা তার জীবনে সুপারহিরো না, বরং 'সুপারভিলেন' হিসেবে এসেছিলেন।
বয়স যখন মাত্র ছয়, যখন নিজের বাবার কাছে চকলেট আর আইসক্রিম এর বায়না করতে করতে সন্তানেরা অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করার সময়ই পায় না, সেই ছয় বছরে তার বাবা তার সন্তানের হাতে তুলে দেন ম আকারে 'মা'দক। যেনতেন মাদক নয়, সেই মাদকের নাম ম আকারে 'মা'রিজুয়ানা। বয়স যখন আট হল, তখন থেকেই তিনি সম্পূর্ণভাবে মাদকে আসক্ত, ইংরেজিতে যাকে বলে অ্যাডিক্টড।
তবে এই বাবাকে পুরোপুরি সুপারভিলেন বললেও মানায় না, বরং অ্যান্টিহিরো বলা যেতে পারে তার জীবনের। কারণ তার বাবা ছিলেন একাধারে লেখক ও সিনেমা পরিচালক। সিনেমা পরিচালক বাবা মাতচ পাঁচ বছরে তাকে ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে দেন, সিনেমার নাম Pound (1970)। পাউন্ড নামের এই সিনেমা হয়ত অনেকের নজরেই পড়েনি, তবে ছোট সেই বাচ্চা মাদক ছাড়াও আরেকটি নেশায় জড়িয়ে গিয়েছিল- নেশার নাম অভিনয়।রাতের বেলা সবার অলক্ষ্যে তার অভিনয়ের একমাত্র দর্শক ছিলেন তার বোন।
আট বছরে তার মাদকে আসক্ত হওয়ার কথা সবার মনে থাকলেও, যেই জিনিসটা অনেকেই ভুলে যায় সেটা হল ১০ বছর বয়সেই ব্যালে ড্যান্স এর উপরে তার প্রশিক্ষণ নেয়া। মাদকের নেশা দিয়ে হয়ত এত বেশি ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছিলেন যে, সেই ধুম্রজালকে ভেদ করে ছোট্ট একটা ছেলে ব্যালে ড্যান্স কীভাবে করে বা আসলেই করে কিনা সেটা দেখার মত সময় অনেকেরই ছিল না, অনেকের হয়ত সামনের দিনেও হবে না।

বয়স তখন আট যোগ 'তিন' সমান এগার। তিন মানে আমি,তুমি,সে। কিন্তু এগার বছরের ছেলের মাথায় 'আমি তুমি সে'র জটিল সমীকরণ ছিল না তখন। তিন মানে তার কাছে বিচ্ছেদ- চোখের সামনে বাবা আর মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেল, বাবা, মা আর সে- এই তিনজন একজন আরেকজন থেকে আলাদা হয়ে গেল। সঙ্গী বলতে তখনও সেই মোঃ আকারে 'মা'দক। ১৭ বছরে স্কুল থেকেও বের করে দেয়া হল। মাদকের জালে জড়িয়ে পড়লেও বুঝলেন- মাদক গ্রহন ছাড়া আর একটা কাজেই দক্ষ তিনি- অভিনয়ে। সেই অভিনয়ের পিছনেই দৌড়াতে শুরু করলেন। নিজের খরচ চালাতে লাগলেন রেস্টুরেন্টের টেবিল মুছে আর জুতার দোকানে কাজ করে।

বাবা সিনেমার পরিচালক ছিলেন বলে সিনেমাতে কাজ পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি তার। Less Than Zero নামের সিনেমায় নিজের জীবনকেই যেন তুলে ধরলেন তিনি। কোকেনে আসক্ত একটি তরুনের জীবন কীভাবে ধ্বংস হয়ে যায়- সেই ক্যারেক্টারে অভিনয় (নাকি রিয়েল এক্সপ্রেশন?) করলেন তিনি। সেই সিনেমাতে কোকেনের ওভারডোজে একজন মানুষের শরীরে কি বাজে রিএকশন হতে পারে তার যেই এক্সপ্রেশন দিয়েছিলেন তিনি- সেটার কোন তুলনা নেই। তবে নিজের মাদকাসক্তির প্রতি বেশ ঘৃণাও ছিল তার, তার প্রমাণ হিসেবে লেস দেন জিরো সিনেমাতে অভিনয় করার সময় যত কস্টিউম পড়েছিলেন তিনি- সেই সব কস্টিউমকে নিজের বাড়ির পেছনে মাটিচাপা দিয়ে রাখলেন।
তবে তার জীবনের অন্যতম সেরা অভিনয় তিনি সম্ভবত করলেন ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া Chaplin সিনেমাতে। চার্লি চ্যাপলিনের ক্যারেক্টারে অভিনয় করতে হবে তাকে- এটা শুনেই আনন্দে লাফ দিয়েছিলেন তিনি। স্ক্রিপ্ট প্রায় না পড়েই সাইন করে ফেলেছিলেন। আনন্দের আতিশয্যে চার্লি চ্যাপলিনের সত্যিকারের বাড়িটাও কিনে নেন!
কিন্তু যখন তাকে বলা হল চার্লি চ্যাপলিন যেভাবে কলার খোসায় পড়ে আছাড় খেতেন মানুষকে বিনোদন দেয়ার জন্য, যেভাবে লাফঝাঁপ করতেন- তাকেও সেগুলো করতে হবে- তিনি যেন আকাশ থেকে পড়লেন। অনেক কষ্টে বললেন- মানে কি! আমার তো মনে হচ্ছে লটারিতে এক বিলিয়ন ডলার জেতার পরে আমাকে বলা হচ্ছে তোমাকে এখন জেল খাটতে হবে এই লটারি জেতার জন্য!
কিন্তু এরপরেও সরে আসেন নি এই প্রজেক্ট থেকে। এমনিতেই এর আগে এই ক্যারেক্টারে জিম ক্যারি আর জনি ড্যাপের কাজ করার কথা ছিল, কিন্তু ভাগ্যদেবী তাকে পছন্দ করেছিলেন বলে তিনি বিশ্বাস করতেন। চার্লির সব সিনেমা দেখা শুরু করলেন। দেখা শেষ করার পর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনার অনুভূতি কি? তিনি বলেছিলেন- আমার মনে হয়েছে চার্লি চ্যাপলিন নামের ছোট এই লোকটা তার ২০ থেকে ৬০ মিনিটের সিনেমাতে কথা না বলে যা বলেছে- আমি আমার সমগ্র জীবনে কথা বলেও তার দশ ভাগের এক ভাগ বলতে পারব না।

অবশেষে চ্যাপলিন হল। তিনি দুর্দান্ত অভিনয় করলেন। দর্শক থেকে সমালোচক সবাই তার অভিনয়ের ক্ষমতায় মুগ্ধ। অস্কার মনোনয়ন ও পেয়ে যান সেই বছর, তবে জিততে পারেননি। জিতেছিলেন এক তরুণীর মন- যাকে বিয়ে করে ফেলেন এই বছরেই। নিজের তীক্ষ্ণ "সেন্দ অফ হিউমার" দিয়ে বলেছিলেন- ব্যাপার না। একদিন না একদিন পাবই। বুড়ো হলেও একটা অস্কার দেয়া হয় আজীবনের সম্মাননা স্বরূপ। বুড়ো তো হবই, সুতরাং অস্কার আমার কাছে আসবেই। :v

অস্কার তার কাছে আসুক বা না আসুক, ঝামেলা তার কাছে আসতেই থাকতো আত্মীয় স্বজনের মত। ১৯৯৬ থেকে ২০০১- এই কয়েক বছরে তিনি যেই পরিমাণে জেল আর কোর্ট কাচারির চেহারা দেখেছেন, অনেক আদম সন্তান সাড়া জীবনে আয়নাতেও নিজের চেহারা এতবার দেখে না। একবার জেলে ঢুকেন তো কয়েকদিন পরে জরিমানার টাকা জমা দিয়ে আবার বের হয়ে যান। কয়েকদিন পরে আবার ড্রাগস পরিবহনের এর অভিযোগে গ্রেফতার, দুইদিন পরে অনেক চেষ্টা করে তার উকিল তাকে বের করে, দুইদিন পরে আবার সেম কাহিনী। যেন একটা টাইম লুপ- এই লুপ থেকে তাকে বের করবে সেই সাধ্য কার? ম আকারে 'মা'দকের কাছে তিনি তখন সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন, ছোটবেলায় নিজের ম আকারে 'মা'য়ের স্নেহ থেকে খুব তাড়াতাড়ি বঞ্চিত হওয়ার দুঃখেই হয়তবা- কে জানে!

মাদক, জেল, কোর্ট, উকিল, সিনেমা, সংসারে টুকটাক অশান্তির আগুন- এভাবেই চলছিল। এইসব যন্ত্রণা থেকে তাকে মুক্তি দিল একজন থুক্কু একটি জিনিস। জিনিসটি একটি খাদ্যদ্রব্য- নাম যার বার্গার। Burger King এর একটি বার্গার খেলেন একদিন, এতটাই নাকি জঘন্য ছিল সেই বার্গারের টেস্ট যে পৃথিবীর সকল খাবারের উপরে তার ঘৃণা চলে আসলো ইনক্লুডিং মাদক! সেদিনই নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন। নিজের কাছে থাকা সমস্ত মাদক তিনি প্রশান্ত মহাসাগরে ভাসিয়ে দিলেন এবং প্রতিজ্ঞা করলেন- অনেক হয়েছে, আর না, জীবনকে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে।

নতুনভাবে তৈরি করা বলা যতটা সোজা, শুরু করাটা আসলে ততটা সোজা ছিল না। ইতিমধ্যেই মাদকাসক্ত নামে তার একটা পরিচয় অলরেডি সবার মাথায় সেট হয়ে গিয়েছিল। যতই বুঝানোর চেষ্টা করেন ততই সবার অবস্থা অনেকটা "বোঝে না সে বোঝেনা"র মত। মাদকাসক্তি কাটানোর জন্য Wing Chun ( যেই জিনিসটা আমরা Ip man সিনেমাতে দেখি) নামের বিশেষ ধরনের মার্শাল আর্ট শেখা শুরু করলেন। এই বিপদের মুহূর্তে এগিয়ে এলেন অভিনেতা ও বন্ধু মেল গিবসন। The Singing Detective (2003) নামের সিনেমাতে মেল গিবসন তাকে চান্স দিলেন। এই প্রতিদান তিনি এখনও স্মরণ করেন, মেল গিবসন তার কাছে একজন অভিনেতা, একজন বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু। তার পরের সিনেমার নাম Gothika। এই সিনেমাতে কাজ করার সময়ই পরিচয় হয় Susan Downey এর সাথে, মাত্র ৪২ দিন প্রেম করার পরে তাকে বিয়ে করেন। সেই বিয়ে এখনও মজবুত আছে। আস্তে আস্তে মজবুত হচ্ছিল তার ক্যারিয়ার। Kiss Kiss Bang Bang, Good Night, and Good Luck, Zodiac এর মত একটার পর একটা সিনেমা তাকে আবারো সবার নজরে নিয়ে আসলো বেশ ভালোভাবেই। অভিনয়ের পাশাপাশি যেই জিনিসটা তিনি ভাল পারেন- সেটি হল গান। The Futurist নামে ২০০৪ সালে গানের একটি এ্যালবাম বের করেন তিনি। নিজের করা অন্যতম পছন্দের সিনেমা তার কাছে Kiss Kiss Bang Bang।

জীবনের শত কষাঘাত যাকে পেছনে ফেলে দিতে পারেনি, মাদকের বিষাক্ত ছোবল যাকে "ডাউন" করে দিতে পারেনি, এতক্ষণ ধরে যার সম্পর্কে বলছি- সেই মানুষটার নাম রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এতদিনে সব মোটামুটি ঠিকঠাক মত চললেও ২০০৮ এ একটি সিনেমা করে তিনি যেন নতুনভাবে জীবন ফিরে পেলেন।

এই সিনেমার নাম Iron Man. টনি স্টার্ক নামের ক্যারেক্টারে তার অনবদ্য অভিনয় দর্শক আর সমালোচক সবাই লুফে নিল। সিনেমার ব্যবসা তো আছেই বোনাস হিসেবে।সেই সিনেমার তিনটি কিস্তি ইতিমধ্যে মার্ভেল বের করে ফেলেছে, আর ক্যাপ্টেন আমেরিকার সাথে তার পথচলা তো আছেই। Iron man ক্যারেক্টারকে হিউমার, অ্যারোগেন্স, চার্, স্টাইল দয়ে তিনি এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ছোটবেলায় তার সবচেয়ে পছন্দের সুপারহিরো আয়রনম্যান ছিল বলেই নাকি এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এই আয়রন ম্যান ক্যারেক্টারের জন্য ঝামেলাও কম পোহাতে হয়নি তাকে। জাপানে তার প্রবেশ নিষেধ হয়ে গিয়েছিল এই সিনেমার প্রচারের সময়, কারণ সেই পুরনো- ঐ মাদক! অবশেষে অনেক কথা বলার পরে সিদ্ধান্ত হল- শুধু এই সিনেমার প্রচারের জন্য জাপানে প্রবেশ করতে পারবেন তিনি, এছাড়া জাপান তার জন্য "নিষিদ্ধ"।
আয়রন ম্যান বাচ্চাদের কাছে তাকে তুমুল জনপ্রিয় করে তুলল। রবার্ট ও এই বাচ্চাদের ভুলে যাননি। হাত না থাকা একটি বাচ্চার শরীরে তিনি আয়রন ম্যানের মত কৃত্তিম হাত প্রতিস্থাপন করেন নিজের খরচে।

স্যার আরথার কোনান ডয়েল রচিত শার্লক হোমস ক্যারেক্টারটিকে তিনি কোন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন- সেটি মনে হয়না আর নতুন করে কিছু বলার আছে। বেনেডিক্ট কাম্বারবেঞ্চ যদিও বাজিমাত করেছেন টিভি সিরিজে, তবে রবার্ট এর ফ্যানদের মতে এই ক্যারেকটার নাকি শুধু রবার্টই এত দারুণভাবে করতে পারতেন। কেও ভেবেছিল কখনও যে শার্লক হোমস মেয়ে সেজেও এতটা মোহনিয়ভাবে নিজেকে শার্লক হোমস সিরিজের সিনেমাতে তুলে ধরতে পারবে? ;)

ব্যক্তিগত জীবনে একেবারেই অদ্ভুত রকমের একজন মানুষ তিনি। Humble বা বিনয়ের বিপরীত শব্দ বলা যায় তাকে। মুখে যা আসে বলে ফেলেন। কাওকে তোয়াক্কা করেন না। কেও খুশি হল না মেজাজ খারাপ করল সেটাও না। তার সেন্স অফ হিউমারে সবাই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেলেও তার মুখ থাকে পাথরের মত। তাই বলে এক্সপ্রেশন লেস ভাবলে ভুল করবেন। চ্যাপলিন ছাড়া তার অভিনয় প্রতিভার আরও অনেক সিনেমা আছে যেমন ট্রপিক থান্ডার। এই সিনেমাতে তার যেই ধরনের ক্যারেকটার সেই ধরনের ক্যারেকটার অস্কারে না গেলেও, এই সিনেমার জন্য তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমার তার অভিনয় করা খুব পছন্দের একটি সিনেমা হচ্ছে The judge.

নিজের অতীত থেকে অনেক বেশি শিক্ষা নিলেও নিজের অতীত নিয়ে কেও বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করছে- এমনটা দেখলে তিনি নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। একবার একটি টিভি ইন্টার্ভিউ থেকে একদম বের হয়ে যান উপস্থাপকের তার অতীতের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত ঝোঁকের কারণে। নিজের ফ্যামিলি আর আয়রন ম্যান ছাড়া আর কোন চিন্তা নেই তার মাথায় বর্তমানে। এক সময় যিনি মাদকের পিছনেই সমস্ত পয়সা উড়িয়ে দিতেন, সেই মানুষটা এখন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের মাঝে একজন। তিনি মনে করেন- তার জন্মই হয়েছিল আয়রন ম্যান ক্যারেক্টারে অভিনয় করার জন্য- অন্য যার যা ইচ্ছা বলুক এই ব্যাপারে- এতে নাকি তার কিছুই যায় আসে না। তার ফ্যানরাও এই বাক্যটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন।

জীবনে এত আপস অ্যান্ড ডাউনস যিনি দেখেছেন, মাদক এত বছরে যার চেহারাকে তেমন কিছুই করতে পারেনি, সেই মানুষটার এতটুকু অ্যারোগেন্স দেখানো জায়েজ বলা যায় ;) শুভ জন্মদিন প্রিয় রবার্ট ডাউনি জুনিয়র।"তোমার ছোটবেলার প্রথম সুপারহিরো কে?"
বেশিরভাগ মানুষকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় এই প্রশ্নটা, তাহলে যেই উত্তর আসবে সেটা হল "আমার বাবা"। কিন্তু এই মানুষটার ক্ষেত্রে উত্তরটা এমন ছিল না। তার পিতা তার জীবনে সুপারহিরো না, বরং 'সুপারভিলেন' হিসেবে এসেছিলেন।
বয়স যখন মাত্র ছয়, যখন নিজের বাবার কাছে চকলেট আর আইসক্রিম এর বায়না করতে করতে সন্তানেরা অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করার সময়ই পায় না, সেই ছয় বছরে তার বাবা তার সন্তানের হাতে তুলে দেন ম আকারে 'মা'দক। যেনতেন মাদক নয়, সেই মাদকের নাম ম আকারে 'মা'রিজুয়ানা। বয়স যখন আট হল, তখন থেকেই তিনি সম্পূর্ণভাবে মাদকে আসক্ত, ইংরেজিতে যাকে বলে অ্যাডিক্টড।
তবে এই বাবাকে পুরোপুরি সুপারভিলেন বললেও মানায় না, বরং অ্যান্টিহিরো বলা যেতে পারে তার জীবনের। কারণ তার বাবা ছিলেন একাধারে লেখক ও সিনেমা পরিচালক। সিনেমা পরিচালক বাবা মাতচ পাঁচ বছরে তাকে ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে দেন, সিনেমার নাম Pound (1970)। পাউন্ড নামের এই সিনেমা হয়ত অনেকের নজরেই পড়েনি, তবে ছোট সেই বাচ্চা মাদক ছাড়াও আরেকটি নেশায় জড়িয়ে গিয়েছিল- নেশার নাম অভিনয়।রাতের বেলা সবার অলক্ষ্যে তার অভিনয়ের একমাত্র দর্শক ছিলেন তার বোন।
আট বছরে তার মাদকে আসক্ত হওয়ার কথা সবার মনে থাকলেও, যেই জিনিসটা অনেকেই ভুলে যায় সেটা হল ১০ বছর বয়সেই ব্যালে ড্যান্স এর উপরে তার প্রশিক্ষণ নেয়া। মাদকের নেশা দিয়ে হয়ত এত বেশি ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছিলেন যে, সেই ধুম্রজালকে ভেদ করে ছোট্ট একটা ছেলে ব্যালে ড্যান্স কীভাবে করে বা আসলেই করে কিনা সেটা দেখার মত সময় অনেকেরই ছিল না, অনেকের হয়ত সামনের দিনেও হবে না।

বয়স তখন আট যোগ 'তিন' সমান এগার। তিন মানে আমি,তুমি,সে। কিন্তু এগার বছরের ছেলের মাথায় 'আমি তুমি সে'র জটিল সমীকরণ ছিল না তখন। তিন মানে তার কাছে বিচ্ছেদ- চোখের সামনে বাবা আর মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেল, বাবা, মা আর সে- এই তিনজন একজন আরেকজন থেকে আলাদা হয়ে গেল। সঙ্গী বলতে তখনও সেই মোঃ আকারে 'মা'দক। ১৭ বছরে স্কুল থেকেও বের করে দেয়া হল। মাদকের জালে জড়িয়ে পড়লেও বুঝলেন- মাদক গ্রহন ছাড়া আর একটা কাজেই দক্ষ তিনি- অভিনয়ে। সেই অভিনয়ের পিছনেই দৌড়াতে শুরু করলেন। নিজের খরচ চালাতে লাগলেন রেস্টুরেন্টের টেবিল মুছে আর জুতার দোকানে কাজ করে।

বাবা সিনেমার পরিচালক ছিলেন বলে সিনেমাতে কাজ পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি তার। Less Than Zero নামের সিনেমায় নিজের জীবনকেই যেন তুলে ধরলেন তিনি। কোকেনে আসক্ত একটি তরুনের জীবন কীভাবে ধ্বংস হয়ে যায়- সেই ক্যারেক্টারে অভিনয় (নাকি রিয়েল এক্সপ্রেশন?) করলেন তিনি। সেই সিনেমাতে কোকেনের ওভারডোজে একজন মানুষের শরীরে কি বাজে রিএকশন হতে পারে তার যেই এক্সপ্রেশন দিয়েছিলেন তিনি- সেটার কোন তুলনা নেই। তবে নিজের মাদকাসক্তির প্রতি বেশ ঘৃণাও ছিল তার, তার প্রমাণ হিসেবে লেস দেন জিরো সিনেমাতে অভিনয় করার সময় যত কস্টিউম পড়েছিলেন তিনি- সেই সব কস্টিউমকে নিজের বাড়ির পেছনে মাটিচাপা দিয়ে রাখলেন।
তবে তার জীবনের অন্যতম সেরা অভিনয় তিনি সম্ভবত করলেন ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া Chaplin সিনেমাতে। চার্লি চ্যাপলিনের ক্যারেক্টারে অভিনয় করতে হবে তাকে- এটা শুনেই আনন্দে লাফ দিয়েছিলেন তিনি। স্ক্রিপ্ট প্রায় না পড়েই সাইন করে ফেলেছিলেন। আনন্দের আতিশয্যে চার্লি চ্যাপলিনের সত্যিকারের বাড়িটাও কিনে নেন!
কিন্তু যখন তাকে বলা হল চার্লি চ্যাপলিন যেভাবে কলার খোসায় পড়ে আছাড় খেতেন মানুষকে বিনোদন দেয়ার জন্য, যেভাবে লাফঝাঁপ করতেন- তাকেও সেগুলো করতে হবে- তিনি যেন আকাশ থেকে পড়লেন। অনেক কষ্টে বললেন- মানে কি! আমার তো মনে হচ্ছে লটারিতে এক বিলিয়ন ডলার জেতার পরে আমাকে বলা হচ্ছে তোমাকে এখন জেল খাটতে হবে এই লটারি জেতার জন্য!
কিন্তু এরপরেও সরে আসেন নি এই প্রজেক্ট থেকে। এমনিতেই এর আগে এই ক্যারেক্টারে জিম ক্যারি আর জনি ড্যাপের কাজ করার কথা ছিল, কিন্তু ভাগ্যদেবী তাকে পছন্দ করেছিলেন বলে তিনি বিশ্বাস করতেন। চার্লির সব সিনেমা দেখা শুরু করলেন। দেখা শেষ করার পর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনার অনুভূতি কি? তিনি বলেছিলেন- আমার মনে হয়েছে চার্লি চ্যাপলিন নামের ছোট এই লোকটা তার ২০ থেকে ৬০ মিনিটের সিনেমাতে কথা না বলে যা বলেছে- আমি আমার সমগ্র জীবনে কথা বলেও তার দশ ভাগের এক ভাগ বলতে পারব না।

অবশেষে চ্যাপলিন হল। তিনি দুর্দান্ত অভিনয় করলেন। দর্শক থেকে সমালোচক সবাই তার অভিনয়ের ক্ষমতায় মুগ্ধ। অস্কার মনোনয়ন ও পেয়ে যান সেই বছর, তবে জিততে পারেননি। জিতেছিলেন এক তরুণীর মন- যাকে বিয়ে করে ফেলেন এই বছরেই। নিজের তীক্ষ্ণ "সেন্দ অফ হিউমার" দিয়ে বলেছিলেন- ব্যাপার না। একদিন না একদিন পাবই। বুড়ো হলেও একটা অস্কার দেয়া হয় আজীবনের সম্মাননা স্বরূপ। বুড়ো তো হবই, সুতরাং অস্কার আমার কাছে আসবেই। :v

অস্কার তার কাছে আসুক বা না আসুক, ঝামেলা তার কাছে আসতেই থাকতো আত্মীয় স্বজনের মত। ১৯৯৬ থেকে ২০০১- এই কয়েক বছরে তিনি যেই পরিমাণে জেল আর কোর্ট কাচারির চেহারা দেখেছেন, অনেক আদম সন্তান সাড়া জীবনে আয়নাতেও নিজের চেহারা এতবার দেখে না। একবার জেলে ঢুকেন তো কয়েকদিন পরে জরিমানার টাকা জমা দিয়ে আবার বের হয়ে যান। কয়েকদিন পরে আবার ড্রাগস পরিবহনের এর অভিযোগে গ্রেফতার, দুইদিন পরে অনেক চেষ্টা করে তার উকিল তাকে বের করে, দুইদিন পরে আবার সেম কাহিনী। যেন একটা টাইম লুপ- এই লুপ থেকে তাকে বের করবে সেই সাধ্য কার? ম আকারে 'মা'দকের কাছে তিনি তখন সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন, ছোটবেলায় নিজের ম আকারে 'মা'য়ের স্নেহ থেকে খুব তাড়াতাড়ি বঞ্চিত হওয়ার দুঃখেই হয়তবা- কে জানে!

মাদক, জেল, কোর্ট, উকিল, সিনেমা, সংসারে টুকটাক অশান্তির আগুন- এভাবেই চলছিল। এইসব যন্ত্রণা থেকে তাকে মুক্তি দিল একজন থুক্কু একটি জিনিস। জিনিসটি একটি খাদ্যদ্রব্য- নাম যার বার্গার। Burger King এর একটি বার্গার খেলেন একদিন, এতটাই নাকি জঘন্য ছিল সেই বার্গারের টেস্ট যে পৃথিবীর সকল খাবারের উপরে তার ঘৃণা চলে আসলো ইনক্লুডিং মাদক! সেদিনই নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন। নিজের কাছে থাকা সমস্ত মাদক তিনি প্রশান্ত মহাসাগরে ভাসিয়ে দিলেন এবং প্রতিজ্ঞা করলেন- অনেক হয়েছে, আর না, জীবনকে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে।

নতুনভাবে তৈরি করা বলা যতটা সোজা, শুরু করাটা আসলে ততটা সোজা ছিল না। ইতিমধ্যেই মাদকাসক্ত নামে তার একটা পরিচয় অলরেডি সবার মাথায় সেট হয়ে গিয়েছিল। যতই বুঝানোর চেষ্টা করেন ততই সবার অবস্থা অনেকটা "বোঝে না সে বোঝেনা"র মত। মাদকাসক্তি কাটানোর জন্য Wing Chun ( যেই জিনিসটা আমরা Ip man সিনেমাতে দেখি) নামের বিশেষ ধরনের মার্শাল আর্ট শেখা শুরু করলেন। এই বিপদের মুহূর্তে এগিয়ে এলেন অভিনেতা ও বন্ধু মেল গিবসন। The Singing Detective (2003) নামের সিনেমাতে মেল গিবসন তাকে চান্স দিলেন। এই প্রতিদান তিনি এখনও স্মরণ করেন, মেল গিবসন তার কাছে একজন অভিনেতা, একজন বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু। তার পরের সিনেমার নাম Gothika। এই সিনেমাতে কাজ করার সময়ই পরিচয় হয় Susan Downey এর সাথে, মাত্র ৪২ দিন প্রেম করার পরে তাকে বিয়ে করেন। সেই বিয়ে এখনও মজবুত আছে। আস্তে আস্তে মজবুত হচ্ছিল তার ক্যারিয়ার। Kiss Kiss Bang Bang, Good Night, and Good Luck, Zodiac এর মত একটার পর একটা সিনেমা তাকে আবারো সবার নজরে নিয়ে আসলো বেশ ভালোভাবেই। অভিনয়ের পাশাপাশি যেই জিনিসটা তিনি ভাল পারেন- সেটি হল গান। The Futurist নামে ২০০৪ সালে গানের একটি এ্যালবাম বের করেন তিনি। নিজের করা অন্যতম পছন্দের সিনেমা তার কাছে Kiss Kiss Bang Bang।

জীবনের শত কষাঘাত যাকে পেছনে ফেলে দিতে পারেনি, মাদকের বিষাক্ত ছোবল যাকে "ডাউন" করে দিতে পারেনি, এতক্ষণ ধরে যার সম্পর্কে বলছি- সেই মানুষটার নাম রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এতদিনে সব মোটামুটি ঠিকঠাক মত চললেও ২০০৮ এ একটি সিনেমা করে তিনি যেন নতুনভাবে জীবন ফিরে পেলেন।

এই সিনেমার নাম Iron Man. টনি স্টার্ক নামের ক্যারেক্টারে তার অনবদ্য অভিনয় দর্শক আর সমালোচক সবাই লুফে নিল। সিনেমার ব্যবসা তো আছেই বোনাস হিসেবে।সেই সিনেমার তিনটি কিস্তি ইতিমধ্যে মার্ভেল বের করে ফেলেছে, আর ক্যাপ্টেন আমেরিকার সাথে তার পথচলা তো আছেই। Iron man ক্যারেক্টারকে হিউমার, অ্যারোগেন্স, চার্, স্টাইল দয়ে তিনি এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ছোটবেলায় তার সবচেয়ে পছন্দের সুপারহিরো আয়রনম্যান ছিল বলেই নাকি এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এই আয়রন ম্যান ক্যারেক্টারের জন্য ঝামেলাও কম পোহাতে হয়নি তাকে। জাপানে তার প্রবেশ নিষেধ হয়ে গিয়েছিল এই সিনেমার প্রচারের সময়, কারণ সেই পুরনো- ঐ মাদক! অবশেষে অনেক কথা বলার পরে সিদ্ধান্ত হল- শুধু এই সিনেমার প্রচারের জন্য জাপানে প্রবেশ করতে পারবেন তিনি, এছাড়া জাপান তার জন্য "নিষিদ্ধ"।
আয়রন ম্যান বাচ্চাদের কাছে তাকে তুমুল জনপ্রিয় করে তুলল। রবার্ট ও এই বাচ্চাদের ভুলে যাননি। হাত না থাকা একটি বাচ্চার শরীরে তিনি আয়রন ম্যানের মত কৃত্তিম হাত প্রতিস্থাপন করেন নিজের খরচে।

স্যার আরথার কোনান ডয়েল রচিত শার্লক হোমস ক্যারেক্টারটিকে তিনি কোন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন- সেটি মনে হয়না আর নতুন করে কিছু বলার আছে। বেনেডিক্ট কাম্বারবেঞ্চ যদিও বাজিমাত করেছেন টিভি সিরিজে, তবে রবার্ট এর ফ্যানদের মতে এই ক্যারেকটার নাকি শুধু রবার্টই এত দারুণভাবে করতে পারতেন। কেও ভেবেছিল কখনও যে শার্লক হোমস মেয়ে সেজেও এতটা মোহনিয়ভাবে নিজেকে শার্লক হোমস সিরিজের সিনেমাতে তুলে ধরতে পারবে? ;)

ব্যক্তিগত জীবনে একেবারেই অদ্ভুত রকমের একজন মানুষ তিনি। Humble বা বিনয়ের বিপরীত শব্দ বলা যায় তাকে। মুখে যা আসে বলে ফেলেন। কাওকে তোয়াক্কা করেন না। কেও খুশি হল না মেজাজ খারাপ করল সেটাও না। তার সেন্স অফ হিউমারে সবাই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেলেও তার মুখ থাকে পাথরের মত। তাই বলে এক্সপ্রেশন লেস ভাবলে ভুল করবেন। চ্যাপলিন ছাড়া তার অভিনয় প্রতিভার আরও অনেক সিনেমা আছে যেমন ট্রপিক থান্ডার। এই সিনেমাতে তার যেই ধরনের ক্যারেকটার সেই ধরনের ক্যারেকটার অস্কারে না গেলেও, এই সিনেমার জন্য তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমার তার অভিনয় করা খুব পছন্দের একটি সিনেমা হচ্ছে The judge.

নিজের অতীত থেকে অনেক বেশি শিক্ষা নিলেও নিজের অতীত নিয়ে কেও বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করছে- এমনটা দেখলে তিনি নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। একবার একটি টিভি ইন্টার্ভিউ থেকে একদম বের হয়ে যান উপস্থাপকের তার অতীতের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত ঝোঁকের কারণে। নিজের ফ্যামিলি আর আয়রন ম্যান ছাড়া আর কোন চিন্তা নেই তার মাথায় বর্তমানে। এক সময় যিনি মাদকের পিছনেই সমস্ত পয়সা উড়িয়ে দিতেন, সেই মানুষটা এখন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের মাঝে একজন। তিনি মনে করেন- তার জন্মই হয়েছিল আয়রন ম্যান ক্যারেক্টারে অভিনয় করার জন্য- অন্য যার যা ইচ্ছা বলুক এই ব্যাপারে- এতে নাকি তার কিছুই যায় আসে না। তার ফ্যানরাও এই বাক্যটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন।

জীবনে এত আপস অ্যান্ড ডাউনস যিনি দেখেছেন, মাদক এত বছরে যার চেহারাকে তেমন কিছুই করতে পারেনি, সেই মানুষটার এতটুকু অ্যারোগেন্স দেখানো জায়েজ বলা যায় ;) শুভ জন্মদিন প্রিয় রবার্ট ডাউনি জুনিয়র।


সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×