বেহিসেবী সুপার মুন ও সমূহ ক্যালকুলেটরবিদ
******************************************
আজকাল মানুষেরা সারাক্ষণ মস্তিষ্কে ক্যালকুলেটর নিয়ে ঘোরে
কতটুকু দিতে পারলে কতটুকু পাওয়া যাবে
এরকম হিসেব-নিকেশে তারা দিনদিন যে রকম অবিশ্বাস্য পারদর্শিতা দেখাচ্ছেন
তা জানলে মহামতি রামানুজও হতবাক হয়ে যেতেন-
ইদানিং চারিপাশে আয়োজনের যতোটা ঘটা দেখা যায়
আন্তরিকতার যেন ঠিক ততোটুকুই অভাব-
বারোমেসে হিসেবী উৎসবগুলিতে আমরা জানতে পারি
উপহাস ও ঈর্ষার কাঁটা লুকিয়ে
কিভাবে বন্ধুত্বের খল আবেগ দেখানো যায়
স্বার্থপরতা বজায় রেখেও কিভাবে
আত্মাহীন আত্মীয় হওয়া যায়-
ডাকাতের মন নিয়ে রাজার নীতি
তাও আমরা বেশ শিখে যাচ্ছি
ধর্মবিদরা তাই মেপে মেপে কথা বলেন
শান্তিবাদীরা অশান্তির উৎসমুখ না খুঁজে
ভাটির জল ঘোলা করেন
বুদ্ধিজীবিরাও মস্তিষ্কের ক্যালকুলেটরে হিসেব করেই
বুদ্ধি বিকিয়ে থাকেন-
‘তুই দিলে মুই দিমু’
এরকম এক স্থূল সমীকরণের বাহিরে
এই সময়ের মানুষ আর
এক পা-ও যেতে চান না-
শুধু গতকাল এক মহাকাশচারী সুপার মুন
প্রতি পূর্নিমায় কতটুকু আলো দেয়া যায়
তার হিসেব না কষেই
বেহিসেবী আলোকপ্রপাতে ভাসিয়ে দিল চরাচর
তা দেখে রুপোগলা সিডনী সৈকতে
গণিত না জানা মহাসাগরের চন্দ্রজোয়ারী ঢেউগুলির
কি উদ্দাম উচ্ছ্বাস!!!
.................................
১৫-১১-২০১৬

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




