১) ভালোবাসার মনোভাব নিয়ে একজন অন্যজনের সেবা করতে হবে। এটা জানা উচিৎ যে, হযরত মুসা (আঃ ) এঁর শরীয়তে বলা হয়েছে- "তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতো ভালবাসবে।"
২) একটি শুদ্ধ মন ও হৃদয় নিজের এবং আরেকজনের জন্যে আলোক-বর্তিকা।
৩) খারাপ মনের মানুষ যা চায়, তা শুদ্ধ মনের মানুষের ইচ্ছা বিরুদ্ধ। আর, একজন শুদ্ধ মনের মানুষ যা চান, তা খারাপ কোন মানুষের বদ-ইচ্ছা'র সাথে কখনোই মিলতে পারে না।
৪) হে শুদ্ধ মনের মানুষগণ, যারা খারাপ কাজে জড়িত, তাদেরকে সাহায্য করুন যাতে তারা সেই খারাপ কাজ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। আপনারা নিজের আলো দিয়ে তাদেরকে আলোকিত করুন। তবে, সাবধান, আপনাদের শুদ্ধ মন যেন অপবিত্র না হয়ে পড়ে!
৫) এই কাজগুলো খারাপ মনের মানুষের পরিচয় বহন করে- ব্যভিচার, অপবিত্রতা, লম্পটতা, প্রতিমাপূজা, যাদুবিদ্যা, শত্রুতা, ঝগড়া, লোভ, রাগ, স্বার্থপরতা, অমিল, দলাদলি, হিংসা, মাতলামি ইত্যাদি।
আর, ভালো মনের মানুষের মাঝে এই গুণগুলো থাকবে- ভালোবাসা, আনন্দ, শান্তি, সহ্যগুণ, দয়ার স্বভাব, বিশ্বস্ততা, নম্রতা এবং নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া।
৬) নিজেকে জানুন। নিজের কাজ নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন তা শুদ্ধ হয়েছে কি মন্দ।
৭) অন্য মানুষের সাথে সাথে নিজেকে না মিলিয়ে, নিজেকে নিজের সাথে তুলনা করুন। তাহলে, নিজের শুদ্ধতা সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন যা আপনাকে নিজের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা লাভে সহায়তা করবে।
৮) একজন শুদ্ধ মনের মানুষ নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে নিজে খোঁজ রাখে। নিজের দায়িত্ব সে নিজেই বহন করে।
৯) আপনি যদি ভালো কিছু শিক্ষা পান, তাহলে যার কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছেন তাঁকে ভুলে যাবেন না। আপনার ভালো কাজের ভাগ তাঁকেও দিন।
১০) আপনি যে বীজ বোপন করবেন, তা থেকে সেই গাছই আসবে। আমের বীজ থেকে কখনো পেঁপে ফল এসেছে কি? ঠিক সেভাবে, খারাপ কাজের বীজ থেকে ধ্বংসের ফসলই ফলবে। আর, শুদ্ধ কাজের বীজ আপনার জন্যে শুদ্ধ ফল বয়ে নিয়ে আসবে।
১১) ভালো কাজে ক্লান্তি আসলে তা ঝেড়ে ফেলে শুদ্ধ কাজগুলো'র দিকে ঝুঁকে পরুন। দেখবেন, সেগুলো আপনার ক্লান্তিকে ঝেড়ে ফেলবে।
১২) সুযোগ পেলে, যারা শুদ্ধ কাজ প্রচার করে, তাঁদের উপকার করার চেষ্টা করুন।
===================
হযরত ঈসা (আ)-এঁর কিছু বাণী নিজের মতো করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি
================================================
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৮