প্রায় ৬ মাস হয়ে গেলো, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে 'স্টুডেন্ট লোন' দেওয়ার মাধ্যমে ০% ইন্টারেস্ট রেটে একটি মাইক্রো লোন প্রজেক্ট শুরু করেছি। যে ছাত্রটি ১০ মাসের কিস্তিতে ১০,০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলো, সে এই ৬ মাসে কিস্তি শোধ করে যাচ্ছে।
আমাদের জাগো জীবন ফাউন্ডেশন থেকে পূর্বে একজন কুটির শিল্প ব্যবসায়ীকে ৪০,০০০ টাকা লোন দেওয়া হয়েছিলো। ০% সুদে নেওয়া সেই ঋণ ৩ মাসের মাঝে শোধ করেন সেই ব্যবসায়ী। কিন্তু, এই প্রথম আমরা (দেশের প্রথম) ছাত্রদের ঋণ দিয়েছি, বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে।
যে ছাত্রটিকে আমরা ঋণ দিয়েছি, সে আমাদের পরিচিত ছিলো না। ব্যবসা প্রশাসনের একটি ফেসবুক গ্রুপে স্টুডেন্ট লোন দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আমরা প্রথমে পোস্ট দেই। পরে, হোয়াটসএপে যারা যোগাযোগ করে, তাদেরকে ছাত্রত্ব প্রমাণের আহবান জানানো হয়। এরপরে, গুগল ফর্মে একটি আবেদনপত্র পূরণের মাধ্যমে ৭-১০ দিনের মাথায় জানিয়ে দেওয়া হয় যে, কাকে এই পাইলট প্রজেক্টের জন্যে লোন দেওয়া হবে। এখানে, একটি শর্ত দেওয়া হয় যে, যে ঋণ নিবে, তাকে প্রত্যেক মাসে বিকাশের মাধ্যমে খরচসহ সেই কিস্তি পরিশোধ করতে হবে।
এটা প্রমাণ করে যে, কিছু হলেও ০% ইন্টারেস্ট রেটে শিক্ষার্থীদের লোন দেওয়া যায়। আশা করি, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৫