১০ দিনের শুটিং শেষ করে গতকাল ঢাকা ফিরেছি। এই কয়েক দিন হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় যেতে হয়েছে। সেইসব এলাকা সিপাহসালার হযরত সৈয়দ নাসির উদ্দিন (র)-এর পরবর্তী বংশধরদের আবাস। যে এলাকাগুলোতে গিয়েছি সেগুলোর মধ্যে মূড়ারবন্দ মাজার এলাকা, লস্করপুর হাবেলী, সুলতানশী হাবেলী এবং মশাজান সাহেব বাড়ি উল্লেখযোগ্য।
১৩০৩ সালের দিকে অত্যাচারী রাজা গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে সিলেট জয় করে হযরত শাহজালাল এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীরা। সে সময়ে তাঁর সাথে সিলেট জয়ে আসেন সৈয়দ নাসির উদ্দিন সিপাহসালার (রহ)। জাদুবিদ্যায় পারদর্শী গোবিন্দ রাজাকে পরাজিত করতে নিজের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। শাহজালালের এক সঙ্গীর আজানে ভেঙ্গে পড়ে গৌড় গোবিন্দের সাত তলা দালান।
তবে, তৎকালীন তরফ রাজ্য বা বর্তমানের হবিগঞ্জ জেলা বিজয় নিয়ে মতভেদ আছে। কেউ বলেন, আগে সিলেট বিজয় হয়, তারপরে তরফের বিজয়ে জন্য মুসলিম বাহিনী এগিয়ে যায়। আবার, কেউ কেউ বলেন, আগে তরফ বা তুংগাচল (তরফের পূর্ব নাম) বিজিত হয় অত্যাচারী রাজা আচক নারায়ণকে পরাজিত করে, তারপরে দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খলজী'র পাঠানো মুসলিম বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়ে সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ) সিলেট (প্রাচীন গৌড়) বিজর)র উদ্দেশ্যে ছুটে যান।
এখানে মজার ব্যাপার হচ্ছে, হযরত শাহজালালের সাথে সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ)-এর দেখা হওয়ার ঘটনা নিয়ে অনেক মত বিরোধ আছে। সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ) কিভাবে সিপাহসালার উপাধী পেয়েছিলেন সেটা নিয়েও আছে চিন্তার বিভেদ।
আমাদের ডকুমেন্টারী সেই সব মত বিরোধ থেকে একটি উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। আশা করি, সবাই দেখে আনন্দ পাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৩