আমার কর্জে হাসানা প্রজেক্ট থেকে ব্লগারদের দেওয়ার জন্যে এখনো কিছু টাকা বাকি আছে। ইতিমধ্যে, ৩-জন ব্লগারসহ ১৮-জন প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতে পেয়েছেন। ব্লগারদের একজন নিজের স্ত্রীর পড়ালেখার জন্যে, আরেকজন নিজের গেমসের ব্যবসার জন্যে, এবং আরেকজন মিডিয়া ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্যে টাকাগুলো নিয়েছেন।
যিনি নিজের স্ত্রীর পড়ালেখার জন্যে ধার নিয়েছেন, তিনি আগেও আমার কাছে একবার টাকা চেয়েছিলেন। আমার কাছে সেই সময়ে দেওয়ার মতো কোন টাকা ছিলো না বলে লজ্জিত বোধ করেছিলাম। এবারে তাঁকে টাকাটা দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।
ব্লগের সুপরিচিত একজন ব্লগারের কম্পিউটার গেমসের ব্যবসা আছে শুনে আনন্দিত হলাম। তবে, এখন তিনি আমার কর্জে হাসানার টাকা দিয়ে আরও যে ৩-টি কম্পিউটার কিনেছেন, তা ইদের বাজারে বেশ কাজে লেগেছে বলে ফোনে জানিয়েছেন। মাঠের আকালে ঢাকা শহরে শিশুরা যাতে একটু আনন্দ করতে পারে, সেজন্যে এই ব্লগার যে উপায় করে দিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
করোনা কালে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসায় লালবাতি জ্বলেছিল। এই ব্যবসায়ে জড়িত অনেকেরই ধার-দেনা বেশ। আমাদের সামুর এক ব্লগারেরও ব্যবসাতে ব্যাংক লোন জমে গিয়েছে। কিস্তির টাকা দিতে পারছিলেন না। তাঁর জন্যে কর্জে হাসানা প্রকল্প থেকে ৫০,০০০ টাকা দেওয়াটা জরুরী হয়ে পড়েছিলো।
আমার কাছে এখনো কিছু টাকা বাকি আছে। কোন ব্লগার যদি খুব ছোট আকারের লোন দরকার পরে যা ৮-১০ মাসে ফিরিয়ে দিতে পারবেন, আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।