এই চালবাজি তারা একাত্তরেও করেছিলো। বাংলাদেশের মানুষের উপর পরিকল্পিত অত্যাচার করে বর্ডার খুলে দিয়েছিলো যাতে দরিদ্র ভারত চাপে পড়ে। ভারত সেটা সহ্য করেনি। পাল্টা মার দিয়েছিলো অমানুষগুলোকে, বাংলার মানুষদের সাথে নিয়ে।
আজ একাত্তরের সেই চালবাজরা মিয়ানমারকে ব্যবহার করছে। আবারো অসভ্য বেয়ারারা বর্ডার খুলে দিয়ে বাংলাদেশের উপর শরণার্থি দিয়ে আরও চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশ যাতে সেই চাপে নতি স্বীকার করে পাল্টা আক্রমণ করে বসে।
একাত্তরে তারা আশা করেছিলো, চীন সাহায্য করবে। মজলুম জননেতা ভাসানী তা হতে দেননি। তিনি ঠিকই চীনকে রাজি করিয়েছিলেন যাতে পাকিস্তানের পাশে না দাঁড়ায়।
এবারে, চীন-রাশিয়া-পাকিস্তান এক হয়েছে। কিন্তু এদিকে, ভাসানী নেই, ভাসানী'র দূর্বল বহিঃপ্রকাশ 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল' এখন মাঠে-ঘাটে-বন্দরে আন্দোলনে ব্যস্ত। তারা কি বাংলাদেশের এই বিপদটা আঁচ করতে পারছে না?
একটা গল্প বলি। দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত হয়েছিলো ঘটনাটি।
স্বাধীনতার পরে, মওলানা ভাসানী তখন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে ন্যাপকে নেতৃত্ব দিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছেন। ঈদের আগের দিন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাফর আহমেদ অনেক খুঁজে একটি পাঞ্জাবী কিনে ভাসানী'র জন্যে নিয়ে গেলেন। তাঁর ইচ্ছে ছিলো মওলানা সাহেব সেই পাঞ্জাবী পরে ঈদের জামাতে যাবেন। কিন্তু, তাকে তাজ্জব করে দিয়ে ভাসানী বললেন- তোমার দেয়া পোশাক ঈদের দিন বিকালে পরবো।
অবাক কাজী জাফরের কারণ জানতে চাইতেই ভাসানী বললেন- ঈদের জামাতে যাবো মুজিবুরের পোশাক পরে। রাতেই মুজিবুরের পোশাক পেয়ে যাবো।
এবারে আকাশ থেকে পড়লেন কাজী জাফর! বললেন- বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আপনি রাজপথে আন্দোলন করছেন। তার সরকারের সমালোচনা করছেন। আর তার দেয়া পোশাক পরে আপনি ঈদের জামাতে যাবেন?
মওলানা ভাসানী তখন কাজী জাফরকে বলেন, শোন জাফর, শুধু কালকের ঈদই নয়, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মুজিবুরের দেয়া পোশাক পরে আমি ঈদের নামাজ পড়ি।
ভাসানীকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের বিপদ আঁচ করে বি,এন,পি কি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মায়ানমার আর তার দোসরদের উদ্দেশ্যে একটি জোরালো হাঁক দিতে পারে না?
পারে, অবশ্যই পারে!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩