
আমার আজকের পোস্টের উদ্দেশ্য কারো জীবনী আলোচনা করা নয়। গুগল মামার কাছে জিজ্ঞাসা করলেই মুসলমানদের ভূমিতে মহান নারী ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে আরও ভালো ভাবে জানা যাবে। বরং, আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, কেন বাংলাদেশের জনগণকে ঐ দলগুলো এইসব ইতিহাস থেকে অন্ধকারে রেখেছে? কোন উদ্দেশ্যে? এতে কি মুসলমানদের ভালো হচ্ছে? 'ইসলাম লিঙ্গ-নিরপেক্ষ নয়'- এই অপবাদ থেকে তারা কি আমাদের ধর্মকে রক্ষা করতে পারছেন?
কিছু ইসলামী দল প্রচার করে থাকে যে, ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। অথচ, ইতিহাস কিন্তু ভিন্ন কথা বলে! ইসলামি শাসনের মধ্যযুগেও নারী খলিফা ছিলেন। এমনকি তাঁদের নামে জুম্মা নামাজের খুৎবাও পাঠ করা হতো।
.
এমনই দুজন নারী ইমাম বা খলিফা হলেন- সৈয়দা আসমা বিনতে শিহাব আল-সুলাহিইয়াহ এবং সৈয়দা আরওয়া আল-সুলাইহি। এছাড়া, ১২৩৬ সালে দিল্লীর কুমারী রানি সুলতানা রাজিয়ার ইতিহাসও সবার অজানা নয়। ইরানের তুরকান অঞ্চলের রানি তুরকান খাতুন, ১২৫৭ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত একটানা ২৫ বছর যার নামে মসজিদে খুতবা পড়া হতো। তাঁর কন্যা পাদিশা খাতুনও রাজ্য শাসন করেন। ইরানের সিরাজ অঞ্চলে আবশ খাতুন একটানা ৩৪ বছর রাজ শাসন করেছিলেন। তাঁর নামে খুতবা পাঠ করা হতো, ছিলো তাঁর নামাঙ্কিৎ মুদ্রা। ১৩৪৭ থেকে ১৩৮৮ সাল পর্যন্ত একটানা ৪১ বছর মালদ্বীপের সুলতানা ছিলেন খাদিজা, মরিয়ম ও ফাতিমা। তাঁদের সময়ে ইবনে বতুতা সরকারী কাজী হিসেবে নিয়োগ পান। মিসরের রানি সাজারাত আল দুরের নামে খুতবা পাঠ হতো। ইন্দোনেশিয়ায় ১৬৪১ থেকে ১৬৯৯ পর্যন্ত একটানা ৫৮ বছর ধরে শাসন করেছেন সুলতানা শাফিয়া, সুলতানা নুর নাকিয়া, সুলতানা জাকিয়া, ও সুলতানা কামালাত শাহ।
অনেকেই বলবেন। এই নারীদের খলিফা হওয়াটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিলো। তাহলে, প্রশ্ন থেকে যাবে, এমন স্বনামধন্য মুসলমান এবং তাঁদের আশেপাশের মানুষেরা কি ভুল করেছিলেন? তা কি করে হয়!
ছবিসূত্রঃ https://rb.gy/fhrits
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




