
ফিলিস্তিন একটি সংঘতাময় স্থান। এই ভূমির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। মনে হয়, পুরো পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র এই ভূমিতেই একই তীর্থ ভূমি ঘিরে ইব্রাহিমি তিনটি ধর্মীয় গোষ্ঠী তথা মুসলমান-ইহুদী-খ্রিস্টানদের বসবাস। বলা বাহুল্য, বাইতুল মুকাদ্দাস মুসলমান-ইহুদী-খ্রিস্টান তিন জাতিগোষ্ঠীর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র তুর পাহাড় আর বেথেলহেমও এখানে। একটা ভূমি যখন তিনটি জাতিকে এক করেছে, সেখানে তারপরও এতো হানাহানি কেন? কবে থেকে এর শুরু? এই তিন জাতিগোষ্ঠীর মাঝে কারা এটা হানাহানি শুরু করেছিলো?
যত দূর জানা যায়, ১৯৪০ দশকের গোড়ার দিকে প্রথমে বিভিন্ন আরব ও আফ্রিকার দেশ থেকে ইহুদীরা ফিলিস্তিনের ভূমিতে পাড়ি জমাতে থাকেন। ইসরাইল তৈরী হওয়ার আগে, প্রায় ৮ লক্ষ ইহুদী আরব ও আফ্রিকার দেশগুলোতে থাকতেন। এই ইহুদীদের দুই-তৃতীয়াংশ ফরাসী শাসিত উত্তর আফ্রিকায়, ১৫-২০% ইরাক রাজ্যে, ১০% মিসর রাজ্যে, এবং প্রায় ৭% ইয়েমেন রাজ্যে বাস করতো। এছাড়াও আরও ২ লক্ষ ইহুদী পাহলভি শাসিত ইরান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী তুরস্কে বসবাস করতো।
এতো বড় ইহুদী গোষ্ঠীকে বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্ছেদ করে ফিলিস্তিনে আনা সম্ভব হতো না যদি না আরব জাতীয়বাদীরা তাদের দেশে অবস্থানরত ইহুদীদের উপর আক্রমণ শুরু না করতো। জুন ১৯৫০ থেকে এপ্রিল ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ইরাকী ইহুদীদের উপর বোমা হামলা হয়। এছাড়াও সিরিয়া ও লেবাবনে আরব জাতীয়তাবাদীরা ইহুদীদের উচ্ছেদে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
সেই যে শুরু, আজ অবধী সেই সংঘাত হয়ে যাচ্ছে। আরব জাতীয়তাবাদীদের আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে নবগঠিত ইসরাইল আশ্রয় দিতে থাকে রিফিউজি ইহুদীদের। এরপরে শুরু হয়, আরব-ইসরাইল যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে আরবেরা চরম মার খায়। এর প্রতিশোধ নিতে তারা নিজ দেশের ইহুদীদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে, আরবের অন্যান্য দেশ থেকে দলে দলে ইহুদীরা ফিলসিতিনের ভূমিতে চলে আসে।
আর, এভাবেই ইসরায়েল নামক দেশটি শক্তিশালী হয়ে উঠে। একটি রিফিউজি রাষ্ট্র থেকে এই পর্যন্ত উঠে আসার পথটা সহজ ছিলো না, যদি না তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষেরা তাদেরকে সাহায্য করতো।
========
সোনাগাজী ভাইয়ের অনুরোধে লেখা
=======================
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




