৩য় বছর পেরিয়ে চতুর্থ বছরে পা দিয়েছে আমার আইটি ফার্ম। যদিও এখনো ছোট একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত, কিন্তু আমার ক্লায়েন্টদের কাছে বিশ্বস্ত একটি নাম - সফট লাইট, বছরে যা আয় করে ৫ কোটি টাকা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এই আস্থা অর্জনের পথ খুব একটা মসৃণ ছিলো না।
অনেক চড়াই-উত্রাই পেরিয়েই এখানে পৌঁছেছে আমার এই ফার্ম যেখানে কাজ করছেন ১৬-জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রডাক্ট ডিজাইনার। আমার প্রতিষ্ঠানের একেকজন ইঞ্জিনিয়ার প্রত্যেকে মাসে বেতন পান কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা। বোধকরি, দেশের খুব কম সংখ্যক সফটওয়্যার ফার্ম এতো বেতন দিয়ে থাকেন।
২০১৬ সালে চাকরী জীবন ছাড়ার পরে, আমি ৩ বছর বিভিন্ন ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি। এই তিন বছরে আমার কোন আয় ছিলো না। খরচ করেছি প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। সব জলে গিয়েছে।
এরপরে, যুক্তরাজ্যের একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক কোম্পানি আমাকে ব্যবসার অফার করে। তাদের প্রজেক্ট করে দেওয়ার জন্যে। ২০২২ সালে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবার বেকায়দায় পরি। তবে, এক মাসের মাথায় আর একটি ব্রিটিশ ফার্ম কন্ট্রাক্ট অফার করায় বেঁচে যাই।
আমার ফার্ম এখন ইউরোপের সবচেয়ে বড় ক্রাউড-ফান্ডীং কোম্পানির সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে আমার ফার্মটি বাংলাদেশের শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
ছবিঃ ক্লায়েন্টদের নিকট থেকে পাওয়া সোয়াগ
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০২