
শ্রদ্ধেয় ব্লগার অগ্নিবেশ,
আশা করি ভালো আছেন। এই পোষ্টটা শুধু আপনার জন্যে। অন্য কেউ কমেন্ট করবেন না এতে। যাহোক, আপনি আমাকে অনেক বড় চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন। আপনি কমেন্টে লিখেছেন যে, আল্লাহ কোরআনের আয়াতে বলেছেন- "অমুসলিমরা নির্বোধ" (সূরা বাকারাহঃ ১৭১), "অমুসলিমরা জালিম" (সূরা বাকারাহঃ ২৫৪), "অমুসলিমরা পশুর চেয়ে অধম" (সূরা আল-ফুরক্বানঃ ৪৪), "অমুসলিমরা নাপাক" (সূরা আত-তাওবাহঃ ২৮), "অমুসলিমরা সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব" (সূরা আল-আনফালঃ ৫৫)।
সত্যিই কি আল্লাহ পবিত্র কোরআনে তেমনটা বলেছেন যেভাবে আপনি 'ব্যাখ্যা' করেছেন? আমি একটু স্টাডি করে যা পাচ্ছি, আসলে আল্লাহ তেমনটা বলেন নাই। আল্লাহ অমুসলিমদের নির্বোধ, জালিম, পশুর চেয়ে অধম, নাপাক এবং সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব বলেন নাই।
যদি আল্লাহ এমনটা বলে না থাকেন, তাহলে কাদেরকে আল্লাহ এমনটা বলেছেন??? উত্তর হলো- আল্লাহ মুসলমানদেরকে নির্বোধ, জালিম, পশুর চেয়ে অধম, নাপাক এবং সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মনে রাখবেন, আল্লাহ বলেছেন-
"হুদাল্লিল মুত্তাকিন।" [সূরা আল-বাকারাহ]
অর্থ- ''এই কোরআন মুত্তাকিনদের জন্যে পথপ্রদর্শক।"
আর, মুত্তাকি তো তাঁরাই যারা মুসলমান। অর্থাৎ, মুসলমানদের জন্যেই এই কোরআনের আয়াতগুলো। কোরআনের আদেশ-নির্দেশগুলোও তাই মুসলমানদের উদ্দেশ্যেই।
যখন মুসলমানরা আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ মানে না, তখন তারা হয়ে যায় নির্বোধ, জালিম, পশুর চেয়ে অধম, নাপাক এবং সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব।
আপনাকে মনে রাখতে হবে- আমাদের দ্বীন বা জীবন-ব্যবস্থা পূর্ণ করে দেওয়ার পরে, অমুসলিমদের উদ্দেশ্যে এই আয়াতগুলো আর প্রযোজ্য নয়। আশা করি আমি বুঝাতে পেরেছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



