আমার জীবনের বেশিরভাগ তো দেশেই কেটে গেলো। ভালোই আছি। আলহামদুলিল্লাহ। শুধু বাচ্চাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।
নিজের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই আমার এক বন্ধু গত বছর ইংল্যান্ডে চলে গেলো। সে সিলেটে একটি প্রাইভেট ভার্সিটির এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ছিলো। ফ্যামিলিও প্রতিষ্ঠিত। তবু, নিজের মেয়েদের ভাবিষ্যত চিন্তা তাঁকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। বিদেশে এখন ভালোই আছে।
.
আমি কয়েকদিন আগে আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করছিলাম। কাজটা রেস্টুরেন্টের। আমার স্কুল জীবনের এক বন্ধু সেই রেস্টুরেন্টের জবের জন্যে এপ্লাই করতে চাচ্ছে। আমাকে খুব ধরেছে। সে একটি ব্যাংকের বেশ বড় পদে ছিলো। হঠাৎ মাথায় কি চাপলো, হালাল ইনকামের খোঁজে ব্যাংকের চাকরী ছেড়ে দিলো। খুব স্ট্রাগল করছে বলে শুনেছি। সেও দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছে।
.
আমার দাদার উত্তরসুরীদের ৯৫% মানুষ দেশের বাইরে চলে গেছেন। বাকিরাও চলে যাচ্ছেন।
.
আমি ইউরোপের একটি দেশে ৪ বছর ছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা বলে, পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকার মূল সুবিধা হচ্ছে- কেউ সৎ ভাবে বেঁচে থাকতে চাইলে, তাঁকে ঐ দেশ সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা করে দেয়। আর, বাচ্চাদের পড়ালেখার জন্যে তেমন একটা চিন্তা করতে হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬