
..
নাহিদ, সারজিস, মুগ্ধ-এর মতো তরুণরাই বাংলাদেশের ২য় স্বাধীনতা নিয়ে এসেছেন। বাকিরা ছিলেন সহায়ক ভূমিকায়, কিন্তু, তরুণরা সামনে থেকে বুক চিতিয়ে নেতৃত্ব না দিলে, আমরা আজ দ্বিতীয় বাংলাদেশের দেখা পেতাম না। শুধু এখন নয়, যুগ যুগ ধরে এই তরুণরাই পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দিয়েছেন, দিয়েছেন মানুষকে স্বাধীনতার স্বাদ। আমি আজ তেমন কিছু কিশোর/কিশোরী - তরুণ/তরুণী'র গল্প শোনাবো।
নবী ইবরাহীমের কথা মনে আছে? তিনি কিশোর বয়সেই তাঁর এলাকার মূর্তিগুলোকে ভেঙ্গে ফেলার দিব্যদৃষ্টি পেয়েছিলেন। মূর্তিগুলো ভাঙ্গার পরে তাঁকে ঐ কিশোর বয়সেই আগুনে ফেলে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু, তিনি একটুও টলেননি।
নবী ইবরাহীমের ছেলে নবী ইসমাইলকে যখন তাঁর বাবা কোরবানি দেওয়ার আল্লাহর ইচ্ছা জানিয়েছিলেন, তখন তিনি একজন শিশু বা কিশোর ছিলেন। সেই বয়সেই তিনি খোদার সিদ্ধান্তের উপর আস্থা এনেছিলেন।
দাঊদ নবী যখন রাজা গোলিয়াথের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন, তখন নবী দাউদ কিশোর বয়সী ছিলেন।
গুহায় লুকিয়ে যাওয়া সেই কিশোরদের কথা আপনারা সবাই জানেন। এই অসীম সাহসী কিশোররা চাঁদের দেবী ডায়ানাকে কুর্নিশের নির্দেশ অমান্য করে রাজার বিরাগভাজন হয়েছিলেন। তাঁরা এমনকি রাজার জাদু-টোনায় বিশ্বাস স্থাপন করা থেকে বিরত থেকেছিলেন। ফলে, কিশোর উপর অত্যচার নেমে আসলে এই তাঁরা গুহায় লুকিয়ে যান।
আমাদের শেষ নবী মোহাম্মদ কিশোর বয়স থেকেই সদা সত্য কথা বলতেন। তাই, তাঁকে সত্যবাদী বা আল-আমিন উপাধি দেওয়া হয়।
শেষ নবী যখন মক্কায় ইসলাম প্রচার করা শুরু করেন, তখন তাঁর সাহাবীদের অধিকাংশই বয়সে নবীন ছিলেন। এমন কয়েকজন নামকরা সাহাবীদের বয়স নিম্নে তুলে ধরলাম -
হযরত আলী - ১০ বছর বয়স
উকবা ইবনে আমির - ১৪ বছর বয়স
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ - ১৫ বছর বয়স
জায়েদ বইন হারিস - ১৫ বছর বয়স
আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ - ১৬ বছর বয়স
হাব্বাব বিন আরেত - ১৬ বছর বয়স
যুবায়ের বিন আওয়াম - ১৬ বছর বয়স
মুওয়াজ বিন জাবেল - ১৮ বছর বয়স
মুসায়েব ইবন উমায়ের - ১৮ বছর বয়স
আবু মুসা আল-আশ'আরি - ১৯ বছর বয়স

এবার, কিছু কিশোরী/তরুণীর অসম সাহসের কথা জানা যাক।
হযরত মরিয়ম ছিলেন নবী ঈসা'র মা। বিবি মরিয়ম যখন খোদার আদেশের উপর আস্থা স্থাপন করেন, তখন তিনি ছিলেন একজন কিশোরী/তরুণী। খোদার আদেশ মেনে নেওয়ার ফলে তাঁকে অনেক অন্যায়, অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়।
কিশোরী আয়েশা (রা) একজন বিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ছিলেন ফিকহ শাস্ত্রের জননী।
কিশোরী আসমা বিনতে আবু বকরের নাম শুনেছেন কি? শেষ নবী যখন তাঁর সাথী আবু বকরের সাথে গুহায় লুকিয়ে ছিলেন, তখন এই আসমাই তাঁদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতেন। শত্রুদের হাজারো জিজ্ঞাসাবাদেও তিনি মুখ খুলেননি, বলে দেন নাই নবীজী কোথায় লুকিয়ে ছিলেন।
খাওলাহ বিনতে আল আজওয়ার ছিলেন অত্যন্ত সাহসী এক তরুণী। তিনি ছোটকাল থেকেই নিজের ভাইয়ের কাছ থেকে তলোয়ার চালনা শিক্ষা নেন। রোমানদের সাথে যুদ্ধে যখন তাঁর ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন, তিনি ছেলেদের বেস ধরে রোমানদের আক্রমণ করে বসেছিলেন।
এরকম আরও অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে। তাই, ব্লগে তারুণ্যের পক্ষের ভাই-বোনেরা প্রতিপক্ষের আক্রমনে হতাশ হবেন না। তরুণরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তাঁদের উপর আস্থা রাখুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



