.
...গাজা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। হামাসের নেতৃবৃন্দ এখন কোথায়? ইসরায়েলের কাতার আক্রমণের মাধ্যমে বুঝা গিয়েছে, হামাস পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনের এই শেষ অবস্থায় সুমুদ ফ্লোটিলা কোন কাজে দিবে কি? ইসরায়েল যদি গাজা আক্রমণ বন্ধ করে ত্রাণবাহী জাহাজ আর ট্রাকগুলোকে ফিলিস্তিনে ঢুকতে দেয়, তাহলে, পুরো বিশ্ব সাময়িক ভাবে স্বস্তি পাবে এই ভেবে যে, এক পাগলকে আটকানো গিয়েছে।
ঐদিকে, আরেক পাগল পৃথিবীর একমাত্র পরাশক্তি যদি ইরান বা আফগানিস্তানে হামাস নেতাদের 'আবিষ্কার' করে আক্রমণ করে বসে, তখন বাকি বিশ্ব আরেকটি 'ঝামেলা' মোকাবেলা করতে নাও চাইতে পারে! তারা আগে যেমন 'আফগানিস্তান' আক্রমণের সময়ে 'চুপ' থেকেছে, এবারো তা-ই করতে পারে।
এখানে লক্ষণীয় যে, প্রতিবাদী পশ্চিমা মুসলিম বা অমুসলিমরা যতটা গাজা নিয়ে প্রতিবাদমুখর, ততোটা দুই দুটো পরাশক্তিকে হটিয়ে দেওয়া আফগানিস্তানের আহত, অসহায়, পঙ্গু মুজাহিদ, সাধারণ মানুষ আর নারী-শিশুদের ব্যাপারে সোচ্চার নন। এটা খুব অবাক করা একটি ব্যাপার!
তাই, বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি এই সুযোগে আরেক শত্রুকে আবার 'পরাভূত' করার 'চেষ্টা' চালাতে পারে।
আমার এই সন্দেহটা খোদা যেন সত্যতে পরিণত না করেন, এই কামনা করি। দুই দুটো যুদ্ধের ধকল কাটিয়ে উঠতে আফগানিস্তান আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। আরেকটি যুদ্ধ হলে দেশটিতে আবারও মানবিক বিপর্যয় ঘটবে, তা বলাই বাহুল্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


