
ছবিঃ হেন্ডমেইড অস্টিন কাউবয় হ্যাট, সাইজ মিডিয়াম, এসেম্বলড ইন আমেরিকা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্মুখীন হতে পারে। গত শুক্রবার এবং এর পরবর্তী ভূমিকম্পগুলো তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ঢাকায় গত শুক্রবার সকালের কম্পনের পরে, আর পরিচিতজনদের মুখে ভীতি দেখে আজ রাত জাগার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ৭ দিন, পালা করে একেকজন রাত জাগবো। প্রথম রাতটায় আমিই জেগে থাকছি।
প্রস্তুতিস্বরূপ, ঘরে হ্যালমেটের অভাব বোধ করছি। সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকলে, আমরা যে কয়েকজন ঘরে আছি, সবার জন্যে হ্যালমেট কিনে আনবো। মাথা বাঁচাতে আমার মতে এর চেয়ে উপরকারী বস্তু আর কিছু নেই! এছাড়া, পর্যাপ্ত পিলো ও বালিশ আসে-পাশে রেখেছি। দরকার পড়লেই স্বজনদের এগিয়ে দিবো।
আমাদের ডায়নিং টেবিলটা যথাস্থানে আছে বলেই মনে হচ্ছে। বাসা থেকে বের হয়ে কোথায় যাবো? পাশেই লালমাটিয়া গার্লস স্কুলের মাঠ। কিন্তু, রাতে গার্ড ব্যাটা ওটার দরজা তালা মেরে রাখে। আর, আশে-পাশে যে বড় বড় দালান! মাথার উপর যে কোন কিছু ছিটকে পড়তে পারে। তাই, দরকার মনে হলে, ডায়নিং টেবিলের নিচে লুকানোর চিন্তা আছে।
টেবিলের উপর থেকে সব কাঁচের জিনিসপত্র সরিয়ে রেখেছি। এখন আর ওটার নিচে লুকালে কোন অসুবিধা হবে না।
বাসায় বড় একটা হাতুড়ির অভাব ফিল করছি। আটকা পড়লে বের হতে সাহায্যে আসতো। ওটা কাল কিনে আনবো, ইনশাআল্লাহ।
বাসা থেকে বের হওয়ার পথে দেয়ালে ঝুলানো সকল কাঁচের জিনিস বিছানায় নামিয়ে রেখেছি, দূরে। যাতে কম্পন হলে মাটিতে পড়ে চলার পথে বাঁধা সৃষ্টি করতে না পারে।
পানির যোগান আছে। বাসায় খাবার পানি ভর্তি বোতল আছে। কিন্তু, অগুলো ভেঙ্গে গেলে কি হবে? চিন্তা করছি কি করা যায় পানিকে ধরে রাখতে। একটা কলস থাকলে ভালো হতো। স্টিলের কলস!
মোবাইলফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকালাম। পর্যাপ্ত চার্জ আছে।
রাজনীতি আমার প্রিয় বিষয়গুলোর একটি। কিন্তু, কেন জানি না, এখন তা নিয়ে কচকচ বিষাক্ত লাগছে। একটু বড় করে শ্বাস নিতে চাই। আর চাই, রাজনীতিক নেতারা এলাকায় এলাকায় ভূমিকম্পের প্রস্তুতিমূলক ড্রিলের ব্যবস্থা করুন।
এটুকু কি বেশি চাওয়া হয়ে যাবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


