বাদলের গত কয় রাত ভাল ঘুম হয় না। বাদল এমনিতেই দুঃচিন্তা করে না বললেই চলে। সারাজীবন যার সবকিছুতেই রুটিন মাফিক চলত, গত কয়েকদিন কেন যেন তার কোন কিছুতেই রুটিন ঠিক থাকছে না। নির্ঘুম রাত তাকে প্রচন্ড যন্তনা দেয়। আজকাল এইসব বিষয় আরো খারাপ দিকে মোড় নিচেছ। মাঝে মাঝে বাদল নিজেকে পৃথিবীতে বেচেঁ থাকার অধিকারী মনে করে না। ইদানিং তার কাছে তার জীবিত বা মৃত থাকার কোন পার্থক্য ধরা পড়ছে না। অথচ বাদলের সুখী হওয়ার কথা। খুব অল্প সময়ে একটি ভাল বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রকৈাশল এ ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেছে, ভ্যাগক্রমে খুব ভাল একটি চাকুরীও করে, সমাজের মানুষ বাদলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিন্তুু তারপরেও সে নিজেকে পৃথিবীতে বসবাসের যোগ্য মনে করছে না। হঠাৎ কয়েক দিন থেকে সে পৃথিবী থেকে নিরবে চলে যেতে চাইছে। যেহেতু আতœহত্যা মহাপাপ তাই সে এ কাজ করতে পারছে না। বাদলের দৃঢ় বিশ্বাশ যে, সে পৃথিবী থেকে চলে গেলে কারো কোন হ্মতি হবে না। বাদল বুঝতে পেরেছে তার তার প্রায় একযুগের একাকীত্ব তাকে একগুয়ে, পাগল আর হিংসুক একটা মানুষে পরিণত করেছে, যা সমাজের জন্য হ্মতিকর হয়ে উঠতে পারে। বাদল আর যাই করুক সমাজের মানুষের হ্মতি হয় এমন কাজ করতে পারে না। বাদল এখন শুধু সে মহাপাপের(আতœহত্যা) বিষয়টা নিয়ে পরিস্কার হতে পারলেই কোন শুভ দিনে কাজটা (আতœহত্যা) সেরে ফেলবে।
পুনশ্চঃ- বাদল শেষ পর্যন্ত মহাপাপ মানে আতœহত্যা করেছিল কিনা তা আমাদের জানা হয়নি। কিন্তু যেহেতু আমরা ইচ্ছে করলেই আমাদের লেখনীর মাধ্যমে সব পরির্বতন করতে পারি। তাই আমরা এই রকম লিখতে চাইছিঃ- বাদলের আতœহত্যার এই চিন্তার মাঝ পথে, হঠাৎ একদিন তার বাবা গ্রাম থেকে এলেন।এসেই তাকে বললেন ”বাবা তুই চাকুরী ছেড়ে দে। তোর এবং আমার কাছে যে টাকা আছে, ঐ গুলো দিয়ে দু’জন মিলে গ্রামে একটা দোকান দেই। আমি প্রতিদিন তোরে ফজরের আযান হলে ঘুম থেকে জেগে তুলব। দু’জন নামাজ পড়ে তোর মা’য়ের হাতের রান্না খেয়ে দোকানে যাব, স›ধার পরে আমি, তুই আর তোর কাকা-কাকী সবাই মিলে অনেক গল্প করব। চল যাবি বাবা! চল যাইরে বাপ, না হতে পারলি তুই খুব বড় প্রকৈাশলী, না থাকল তোর অনেক বেশী টাকা, তুই শুধু আমার সামনে হাসি-খুশি বেচেঁ থাকবি।”

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




