টোলের ভাগ উহারা চায়, উহারা জেনেছে টোল আদায়ের পর সরকারের লাভ হবে ; সরকার লাভ করার পরেই তাদের কিছু অংশ যেন দেয়া হয়।তবেতিন জেলা(মুন্সীগন্জ,মাদারীপুর,শরীয়তপুর) ২২ হাজার ৫০০ পরিবার সবাই লাভ চায় কিনা তা জরিপ করে বের করতে হবে।
জমি অধিগ্রহন করেছে ২হাজার ৫২৭ হেক্টর,সরকারের খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৪৬ কোটি টাকা,ব্যয় হয়েছে মৌজা মূল্যের দেড় গুণ দামে।জমি থেকে বাসিন্দা উঠানোর পর আর্থিক সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে ব্যায় হয়েছে ৭৬০ কোটি টাকা; ৭ টি পুর্নবাসন সাইট প্লট পেয়েছে ৩ হাজার, ১১০০ পরিবার পেয়েছে অন্যন্য ভিটা। পুর্নবাসন কোম্পানীর একজন স্পেশালিষ্ট বলেছে যে, বিশ্বব্যাংক সাথে জল অনেক ঘোলা হয়েছে,তাই যেন কোনো খুত যেন না বের করতে পারে ঐভাবে কাজ হয়েছে। আপনি কিছু বলতে চান?
বসতবাড়ি,জমি,ব্যবসা উৎসর্গ করার পর পরিবারগুলো মানিয়ে নিচ্ছে ধীরে ধীরে, অনেকের কাছে বন্দিজীবন হয়েছে, ছেলে-মেয়ের পড়াশোনায় সমস্যা হয়েছে,নতুন ব্যবসা দাড় করাতে সংগ্রাম চালাচ্ছে। যোগ বিয়োগ করে সবাই খুশি পানির স্পর্শ ছাড়া মেগা সিটিতে পা রাখা যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে,অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ার জন্য প্লানও করছে পরিবারগুলো।
এসব পরিবারগুলোর ক্ষুদ্রতর স্বার্থ উৎসর্গ পদ্মাসেতুতে যোগ হয়েছে,হয়তো আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে হাত তালি দিবে,খুশি থাকবে। সময়ের আবর্তনে হাত-তালির জন্য সরকারের পদ্মাসেতু নজর দেয়া শেষ হলে,উহাদের দিকে নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪২