ইউরোপের নেদারল্যান্ডসের কৃষকগোষ্ঠী হুমকি দেয় দেশ অচল করে দিবে, কারণ ওদের পশু পালনে সমস্যা সৃষ্টি করছে সরকার। সরকার চাচ্ছে প্লান করে কার্বন বাদ দিয়ে নাইট্রোজেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃসরণ ৫০ শতাংশে কমিয়ে আনতে ২০৩০ সালের মধ্যে। কৃষকগোষ্ঠী বলছে সরকার আমাদের দিক দেখছে না, সরকার ৭০ শতাংশ নিঃসরন কমিয়ে আনতে পারলে ৩০ শতাংশ পশুরখামার গায়েব হয়ে যাবে।তাই
ট্রাক, ট্রাক্টর নিয়ে সুপারশপ ব্লক করে দিয়েছে,জেলেরাও সাথে যোগ দিয়েছে।সরকার বলছে, আমরা কট্টরপন্থী খুজছি,ব্যবস্থা নিচ্ছি। একসাথে বসে সিদ্ধান্ত হয়তো নিবে।
পাম অয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইন্দোনিশিয়ার কৃষকশ্রেণী হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে ঠিকই বিক্ষোভ করেছে,মাথায় রেখেছে মালয়েশিয়ার পামচাষীদের কথা,যা প্ল্যাকার্ডে উঠে এসেছিলো।
পাশের ভারতে মোদী তিনটি আইন ছুড়ে দিয়েছিলো, কৃষকরা না মেনে রাস্তায় নেমেছিলো; আইন বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে যত বিশ্লেষণ হোক না কেন ' কৃষকগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করতে পেরেছে, এটাই ফ্যাক্ট।
বাংলার কৃষকরা কি করে?শুধু রোদ,বৃষ্টি,ঝড়, শীত উপেক্ষা করে ফসল খাওয়ার উপযোগী করলেই হয় ; নিজের জমি নেই,অন্যের জমিতে চাষ করে। ফসল বাজারে বিক্রি করে এসে মন খারাপ করে, বছরের পর বছরের দেখার মত কোনো উন্নতি নেই;দরিদ্রতা পুষ্টিহীনতা,চিকিৎসাহীনতায় ভুগাকে নিয়তির কাছে ছেড়ে দিয়েছে। মিডলম্যানের কাছে ফসল বিক্রি করার সময় হাত, কন্ঠ কেঁপে উঠে।মিডলম্যান আয় করে,চাষা-ভুষা বলে গালি দেয়, চাউলের দাম আটকে রেখে কোটিপতি হয় ; রাত পোহালে সূর্য্য উঁকি দিলে কৃষক মাঠে যায়,কাজ করে ;নাহলে সিন্ডিকেট কীভাবে রসে চুবানো জিলিপির ন্যায় হবে কীভাবে?
কখনো বাংলার কৃষকগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে দেখেছেন,শুনেছেন? কখনো সম্ভাবনা আছে?
আত্নহত্যা করতে শুনেছি,কোমরের ডিস্ক সমস্যার ব্যাথায় ভুগতে দেখেছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২১