
ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনের স্ক্রীনের আলো আপনাকে টেনে ধরে আছে অদৃশ্যভাবে,মগজে নিউরোকেমিক্যাল রিলিজ হচ্ছে, সময় চলে যাচ্ছে দ্রুত। আপনার ধৈর্য্য কম তাই আপনার জন্য পয়দা করা হয়েছিলো "টিক-টক, তার আদলে ইউটিউব-শর্টস, ফেসবুক রিল। ইন্টারনেটের কল্যাণে ইনফরমেশন এখন সুমাত্রার সুনামীর চেয়ে বেশি গতিতে ধরা দেয়, মগজের একটা অংশ বিচার করতে চায় না, এত ডাটা/ইনফো কতটুকু কাজে লাগবে বা কতটুকু সঠিক,বিশ্বাসযোগ্য। এ বিচারের দায়িত্ব কে নেবে?? আপনি গুজব ছড়িয়ে দাঙ্গা লাগিয়ে বিশ্বমিডিয়ার শিরোনামও হতে পারবেন, দেশে এসবের নমুনা দেখেছি।
আমার পরিচিত একজন ছিলেন 'সারাক্ষণ ফোনে ধর্মীয় ক্লিপস,ওয়াজ শোনেন, শুধুমাত্র বির্তকে জেতার জন্য ; যাদের বিপক্ষে বিতর্কে লড়বেন তাদের এত এক্সেস নেই ইন্টারনেটে ; অন্যদিকে উনার বানের মত রিসোর্স। ইউটিউব এলগ্যরিদম উনার মগজ রিড করে, উনাকে এত পরিমাণ খাবার দিয়েছে যে "উনি নিজেকে অনেক জ্ঞানী ভাবেন, অহংবোধ কাজ করে, উনার নিজের কোনো ভাবনা নেই ; অন্যের ভাবনা, উনার পুজি।
ধীরে ধীরে মানুষ চাচ্ছে চার্জ হবে ১০ মিনিট, চলবে ১০ ঘন্টা ;সেই প্রসেসে কাজ করে চলেছে প্রযুক্তি। আপনি ইন্টারনেটকে কিভাবে ব্যবহার করছেন নাকি ইন্টারনেট আপনাকে চালায়। ইনস্টার মডেলের প্রতি পদক্ষেপ দেখতে ভালো লাগে? আমি কয়েকমাস আগে ইউটিউবে একটা সিরিজ দেখেছিলাম তা হলো ' Vsauce "চ্যানেলের "MindField" ; নতুন নতুন ইনফো প্রসেসিং করে রোমান্চিত হয়েছিলাম।
সময়ের ব্যবধানে চোখে পড়ে, অনেক নতুন ইউজার হারিয়ে যায় ভুল ইনফোর জালে /এলগ্যরিদম ইউজারকে আটকে ফেলে নিজস্ব ভূবনে।পৃথিবী ঠিকই ঘুরে, ইন্টারনেটও পৃথিবী ঘুরায় তবে বেশীরভাগ আটকে আছে নিজস্ব মাইন্ডসেটের সুখী কমফোর্ট জোনে। অন্যের প্রতিটি পদক্ষেপ, আলোচনা, সমালোচনা মগজে প্রসেসিং হয় তখন ভাবনায় ছেদ ধরা পড়তেই পারে।আচ্ছা, সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট বাঙালীদের ডিপ্রেশনে ভোগায় কিনা?? আপনার কি মনে হয়??
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



