দার্শনিকগণ বহু ভাবে মাথা খাটিয়েছেন, পৃথিবী/সভ্যতা বুঝতে, সবাই নিজ মন করে ব্যাখ্যা করেছেন। ব্যখ্যা বহু সংখ্যক মানুষের হৃদয়ে হিট করায় আইডোলজির জন্ম হয়েছে, ভিতরে তা লালন করবার বাসনা সৃষ্টি হয়েছে।বাস্তব সত্যকে মডিফাই করার চেষ্টা করা হয়েছে বহু মেথডোলজি ব্যবহার করে।এখনকার মানুষগুলো মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ নিততে চায়, অন্য মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করতে।দার্শনিকগণ কখনো হাতাহাতি করেছে কিনা জানা নেই,উনারা একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর এসে আগুন জ্বালিয়ে যেতেন,বাকিরা উত্তাপ নিতে আসতো।
আপনি যাকে আইডল মানেন, তার কাছে কি নিজের সত্তা বন্ধন রাখেন বলে মনে হয় কখনো? উনি আপনার এক ভাবনা থেকে অন্য ভাবনায় যেতেও প্রভাব ফেলতে পারে।ধর্মীয় আইডোলজির ব্যাখ্যায় পিরামিডর চূড়ার সবসময় স্রস্টা থাকে, আপনি পাপ করতে ভয় পাবেন, উনি দেখছেন তাই ভেবে ;উনার হয়তো দেখতে দূরবীন লাগবে না। সমাজতন্ত্রের ধোয়া বহুদূর গড়িয়েছিলো, বিশ্বব্যাপী পাতি পাতি আন্দোলন হয়েছে, সফলতার মুখ দেখেনি ; বর্তমান ইউরোপ যুদ্ধে ন্যাটো কি সেই আইডোলজির ভয় পাচ্ছে? সমাজতন্ত্র ফিরে আসবে, ধোয়া ছড়াবে এসব নিয়ে হয়তো এখনো আশায় থাকে,ফেইথ লালন করে বহু মানুষ।কালের বিবর্তনে সমাজতন্ত্র ভার্সন পরিবর্তন করে হয়তো ফিরবে, যা মিলবে না লেনিন/মাওের হাত থাকা ভার্সনের মতন।
দার্শনিকের সুরের মধ্যে একটা গ্রুপ আছে, যারা বলতে চায় আপনিই পৃথিবী সহ পুরো মহাবিশ্ব , আপনি পারবেন সবকিছু কন্ট্রোল করতে, আপনার ভাবনায়/কাজে বাস্তবতা মিনতিসুরে কথা বলবে ;তাই নিজকে পরিবর্তিত করেন। এটা কতটুকু সত্য? আপনারা কি ভাবছেন? নাকি বাস্তবতা পরিবর্তিত হয় না, আপনি এডজাস্টের অভিনয় করেন,অভিনয়ে হ্যাপিনেস হরমোন রিলিজ হলে ভেবে নেন আপনি বাস্তবতাকে বশ করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭