
ধরুন,দূষিত ঢাকা মেট্রোতে যদি আপনি জন্ম নিয়েই যদি বয়স ৩০ হয়ে যায় এবং আপনি যদি ১/২ হাজার টাকা নিয়ে বের হন, তাহলে দেখবেন আপনি ৫/১০ কিলো না যেতেই অন্যকে সাহায্য করতে মন চাইবে ও আপনার টাকা ফুরিয়ে যাবে।কারণ, আপনি অন্যের দুঃখ কস্ট দেখে,শুনে, বা ধর্মীয় ব্যাপারে নিজেই ব্যাথীত হয়ে টাকা দিতে চাইবেন,অভিনয় বূঝতে পারবেন না,বুঝতে চাইবেন না, বিশুদ্ধ মন শুধু দিতেই চাইবে।মূলত বলতে চাচ্ছি, প্রতিদিন কতশত সাহায্যের হাত আপনার দিকে আসবে ঢাকার রাস্তায় ;যেমন - রোগের চিকিৎসা, অঙ্গহানীর কারণে অসহায়ত্ব,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য দান,বিপদে পড়ে নতুন শহরে দিকভ্রান্ত হওয়া,বয়স্ক মানুষের প্রতি সহানুভূতি।
মানুষ আজকাল তেমন সাহায্যে যাচ্ছে না, পূর্বে হয়তো ছিলো। এখন অভিনয়ের দক্ষতা বেড়েছে, চাহিদা কমেছে।তবে দেখেছি পর্দায় থাকা নারীরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য দিচ্ছে, অনেকে আসামীর মত সওয়াল জওয়াব করে কিছু দিচ্ছে না হয় বিদায় করে দিচ্ছে কথা শুনিয়ে। ধীরে ধীরে অঙ্গহানী মানুষ দেখেও বিকারহীনতার দিকে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে,বাচ্চাদের মধ্যেও তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। শহর ছোট তাই আশপাশ থেকে এসব ভেজালের খবর কানে আসে বিধায় সাহায্যের জন্য পকেটে হাত যায় না, আবার মাঝেমধ্যে সাংবাদিকরা এদিক সেদিক খোজ নিয়ে লেজ ধরে টান দেয়, যা মানুষের মাথায় থাকে।
একটা ব্যাপার হলো, বোকা বাক্সের মিথ্যা অভিনয় দক্ষতা শো করে মুভি বানিয়ে পর্দায় দেখিয়ে পকেট থেকে অর্থ নিয়ে যাচ্ছে একদল, অথচ ঢাকার রাস্তায় থাকা দলটা মিথ্যা অভিনয় করেও অন্যের পকেট থেকে সিলভার কালারের পয়সাও বের করতে পারছে না। ভাবা যায়? মনে হয়,রাস্তার দলটার দক্ষতায় শান দিবে হবে তরবারীর মত যেন হাত অটোমেটিক পকেটে চলে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




