
নীরবতা ভায়োলেন্সের বিপরীত, স্বভাবতই কিছু মানুষ সবসময় চুপচাপ থাকে। ঐ মানুষের আশেপাশে থাকা মানুষগুলো এই বৈশিষ্ট্যের কারণে চুপচাপ থাকতে বাধ্য হয়। একজন মানুষ কতটুকু চুপচাপের অধিকারী হবে, তা হয়তো DNA তে ইনপুট করা থাকে, তাছাড়া ঘটে যাওয়া অতীতের কারণে মানুষগুলো টোটাল সাইলেন্স মুডে চলে যেতে পারে। যেমন- বিভিন্ন ট্রমার কারণে ডিপ্রেশন,ভালোবাসায় ব্যর্থতা,মগজের ডিসঅর্ডারের কারণে হতাশা,সুইসাইডের প্রবণতা।
বাঙালীরা সম্ভবত বাচাল জাতি,বলতে চায় বেশি।শুনতে চায় কম। আশেপাশে এমন মানুষ বিরাজ করলে বুলিং'এ মনোযোগ দেয় ; ইদানীং একটা প্যার্টান চালু আছে তা হলো - আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে বলা আছে আপনার পরিবারে এমন ক্যাটাগরির মানুষ থাকলে, খেয়াল রাখবেন উনারা জঙ্গীবাদে জড়াচ্ছে কিনা। সাইকোলজিস্ট/সাইক্রাইটিস্ট পেশাটা জাতি কখনো পাত্তা দেয়নি, দিতে চায়নি।
আমার পরিচিত একজন আছে, সে খুব কম কথা বলে,যেমন- ২৪ ঘন্টায় ৪০/৫০ টা শব্দও উচ্চারণ করে না।সবসময় একা থাকে। একা থেকে যে খুব প্রোডাক্টিভ কাজকর্ম করে তা নয়, বরং সারাক্ষণ হতাশা ভুগে, কাউকে কিছু শেয়ার করতে চায় না ; উক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণে আশপাশ ভিন্নরকম ভাবে, দূরে সরে যায় ধীরে ধীরে।দিনের পর দিন নিজের ভেতর লালন করছে কালো ছায়া,বের হতে পারছে না। পড়াশোনা শেষ হয়ে গিয়েছে,পরিবার হাল ছেড়ে দিচ্ছে।উনার সাথে দেখা হলে,খুব খারাপ লাগে,মনে হচ্ছে আমি নিজেই উনার লেভেলে চলে যাচ্ছি।আপনারা বছরের পর বছর এমন মানুষ দেখে আসছেন নাকি? জানা-শোনা আছে কারও?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



