অনলাইনে একটা প্রতিবেদন দেখলাম, বাল্যবিবাহে এশিয়ার মুকুট মাথায় নিয়ে বসে আছে দেশের মানুষজন;অনেক ডাটা প্রদান করা হয়েছে, ১৮ বছরের আগে ৫১ ভাগ বিয়ের পিড়িতে বসে মা হয়ে যায়। ঐখানে বিবিধ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে যেমন- দারিদ্র্যতা,নিরাপত্তার অভাব,করোনাকালীন শিক্ষার বাধা,জলবায়ু সমস্যা ও ধর্মীয়। সরকারের কাছে বয়ান শুনতে গেলে, উনারা শতকরা হার কমিয়ে বলে, যা হবারই ছিল মনে হয়। বৃটিশদের ছায়ায় থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন পাস করা হয়েছে, সময়ের ব্যবধানে এডিট করা হয়েছে, কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই বরং ফাকফোকরে মজে আছে জনগণ,তাই অপপ্রয়োগ হচ্ছে।
কারণগুলোর মধ্যে সমাধান হবে কোনটা? নাকি পার্লামেন্টে আইন কঠোর করে জানিয়ে দিতে হবে সবাইকে। কারণসমূহের মাঝে মহামারীর ধাক্কা আর থাকছে না, দেশের টুকটাক শিক্ষার মানের কারণে বাল্যবিবাহ গ্রাফ তেমন উপরে উঠবে না; তবে নিরাপত্তা জনিত ও জলবায়ু ইস্যু কোথাও যাচ্ছে না।ধর্মীয় কারণ তেমন মূখ্য নয় তবে কোনো গ্রাম্য শালিস থেকে কোনো মোল্লা যদি ঘোষণা দেয়, তাহলে উহার বাইরে যাবার ক্ষমতা সবার থাকে না।
করোনার আগে পরিচিত দুটি পরিবারের বাল্যবিবাহ দেখেছিলাম; দারিদ্রতার দুষ্টচক্রে পড়ে অগ্রীম টাকা নিয়ে বিয়ে দিয়েছিলো ছেলেদের, ঘরে এনেছিলো ১৪/১৫ বছরের কন্যা।ফলাফল : দারিদ্রতা দূর হয়নি,সদস্যসংখ্যা বেড়ে দারিদ্রতা বেড়েছে, পারিবারিক ক্যাচাল বহুগুনে বেড়েছে, গ্রাম্যশালিস বসাতে হয়েছে।সন্তানের জন্ম দিয়েও খুশি হতে পারেনি কোনো পরিবার,দোষারোপ বিদ্যার চর্চা চলে নিয়মিত।ভাগ্য ভালো , বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার নিয়ে মারামারিতে কেউ নিহত হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৬