কিছুদিন আগে ব্লগে জেনেছিলাম,স্মার্টনেসের ডেফিনিশন মাদকের ঘাড়ে গিয়ে পড়ছে ভালোমত, সাথে থাকছে পোশাক দিয়ে নিজেকে নিবেদনের প্রয়াস; শেখ সাদী এখন থাকলে বাসায় গিয়ে ডিপ্রেশনেরর নোট লিখতো,গুলিস্তান নয়। ভাবনাচিন্তা প্রসারণ,মগজ খাটানোর স্মার্টনেসের ডেফিনিশন থেকে দুনিয়া আমূল বদলে যাচ্ছে; ধীরে ধীরে প্রজন্ম মাদক,রিলেশন,ব্যাথা, ডিপ্রেশন ও সুইসাইড চক্রেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
তরুণ প্রজন্মের ভিতর ভাষাগত বিকৃতির ব্যবহার অনেক উপরে চলে গেছে, স্ট্যান্ডার্ড দাড়া হচ্ছে।যারা মাদকের আশ্রয়ে তেমন যেতে না পারে, তাদেরও গালিগালাজকে প্রাধান্য দিতে দেখেছি। আমি বহু ছেলেদের দেখেছি, মেয়েদের চুল থেকে মাথা পর্যন্ত সেক্স খুজে বেড়ায়;দেখেছি নিলামে তুলে দাম হাকাঁতে দল বেধে; মনে হয় যেন হায়নার দল মানুষের ছদ্মবেশে রয়েছে। কিছুদিন আগে মিডিয়ায় চোখে পড়লো বন্ধুর বউকে নিয়ে বাজে কথা বলায়,পরিকল্পিত হত্যা।ধর্ষণ নিয়ে কন্টেন্ট চোখে পড়লে, বুঝতে তেমন অসুবিধা হয় না যে প্রজন্মের মাথায় সারাদিন কি ঘুরে, কি করতে পারে। সোস্যাল নেটওয়ার্কের আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে প্র্যাকটিস, ভার্সিটির র্যাগিং প্রথা, ভারতীয় মুভিসমূহের এলোমেলো বাতাস,হিন্দির ব্যবহার,পশ্চিম থেকে উড়ে আসা ড্যাডি কালচার,পর্ণের সহজলভ্যতা সব মিলিয়ে প্রজন্মের ভিতরে মাকাল ফল বেড়ে উঠছে; বুলিং'এ স্বর্গরাজ্য গড়ে উঠছে। সমাধান সহজে বের হবে এসবের?
অন্যদিকে আলাদা এক ক্যাটাগরির প্রজন্ম এসবের বাইরে থাকতে চায়। ধর্মীয় গন্ডির মাঝে নিজকে রেখে, বাকিদের থেকে ভালো থাকার চেষ্টা করে; এবং ভাবে আমরা সৌভাগ্যবান কারণ অন্যরা আলোর পথে নেই। মাঝেমাঝে দুঃখও প্রকাশ করে। আলোর পথ দেখানোর জন্য তাবলীগ করে বেড়ায় দেশ ঘুরে ঘুরে, ভালো গুরুর হাতে না পড়লে বিপদ বাড়ে বান্দরবানের পাহাড়ে ট্রেনিং নেয়,রঙপেন্সিল দিয়ে কাগজে আইএসের পতাকার আদলে পতাকা আঁকে।বইমেলায় ধর্মীয় বেস্টসেলার কিনে, প্রতিনিয়ত নিজেকে ধর্মীয় জ্ঞান দ্বারা আপডেট রাখে,বুঝা যায় যে,তাদের সাথে সময় কাটালে নতুন ফতোয়ার জন্ম দিতে সময় তেমন লাগবে না; যার স্বীকৃতি ইরানের সুপ্রিম লিডার বা সৌদি বাদশাহ থেকে আসতে পারে।
আপনার কি মনে হচ্ছে, মাদকের বলয়ে থাকা স্মার্টনেস ও ধর্মীয় বলয়ে থাকা স্মার্টনেস কোনটাকে সমস্যা মনে হচ্ছে? নাকি এর বাইরেও অন্য স্মার্টনেসের জগৎ রয়েছে যা বাংলার প্রজন্ম সহজে নাগাল পায়নি, পাবেনা।