মানসিক রোগসমূহ নিয়ে অল্প বিস্তর এখন মানুষ অবহিত আছে, মানসিক সমস্যা নিয়ে সহজে ব্যাখ্যা পাওয়া যায় মোটামুটি সবার কাছেই।কিন্তু এটা গুরুত্ব দেবার মত কিছু নয়, এটা বাঙালীর কাছে পরিস্কার; ব্যাপারটা আড্ডার রসালো অংশ। যারা কম জানে তাদের ভেতরে রোগ থাকলেও বুঝতে পারে না,চায় না; অন্য কোনো মেথডে সমাধান বের করে ফেলতে চায়;সমাধান হয়তো হয়েও যায়।
মানসিক রোগসমূহের যে ইংরেজী টার্মেনলজী ও ব্যাখ্যা এগুলো বহু মানুষের কাছে জটিল অংশ হিসেবে দেখা দেয়।এখনো দেশের মানুষের সব মানসিক রোগকে এক ছাদের নিচে এনে সমাধান করে ফেলতে চায় "যেমন- জ্বীনে ধরা রোগের প্যাকেজে অনেক কিছুই পাওয়া যাবে।এমনকি স্লিপ ডিসঅর্ডারেও অশরীরির স্পর্শ পাওয়া যাবে।যার ফলে,কিছু পেশা এখনো জীবিত( ওঝা,বৈদ্য, কবিরাজ), এখন কিছুটা সচেতন হয়েছে মানুষ এই ভেবে যে, কবিরাজ বাবা উল্টাপাল্টা কাজ করলে বুঝা যাবে, সে ভুয়া। নাহলে বাকিগুলো সঠিক,ট্রিটমেন্টে কাজ হয়।
কয়েকদিন আগে গ্রামে ছিলাম,কয়েকজন মানুষের সাথে থেকেছি বুঝতে চেষ্টা করেছি। দেখলাম,একজন বিশ্বাস করে যে, উনি উনার হৃদয় দেওয়ানবাগীর কাছে জমা রেখেছে মানে মানসিক সমস্যা বলে কোনো কিছু কখনো থাকবে না উনার মাঝে এটা উনি নিশ্চিত। উনি মানুষটা এসব থেকে মুক্ত, উনার বিশ্বাস রোগ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।ফ্রয়েড থেকে শুরু করে বিখ্যাত সব সাইকোলজিস্টের কোনো ব্যাখ্যা আমলে নেয়ার মত লোক উনি নয়; উনি জানলে বলে বসবেন যে, নিকোলা টেসলা যত কিছুই করুক, উনি বোকা লোক নাহলে হোটেল রুমে কেন একা মরে পড়ে রইলো।কিছুদিন আগে দেখলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাজী টর্চার ক্যাম্প থেকে বেঁচে ফেরা একজন বই লিখে সাড়া ফেলেছে; উনি সাইকোলজির নতুন শাখার জন্ম দিয়েছে। গরীব থেকে প্রায় মধ্যবিত্তদের মানসিক সমস্যা সমাধান উনারা নিজেরা নিজের মত করে সমাধান করে ফেলছে,কোনো সাইকোলজিস্ট/সাইক্রিয়াটিস্ট গোনার সময় তাদের নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯