মৃত্যুর কারণসমূহের মধ্যে বজ্রপাত একটি কারণ, বিদ্যুত প্রবাহিত হয়ে প্রায়ই মানুষের মৃত্যুসংবাদ শোনা যায়।কিন্তু বজ্রপাতের মৃত্যুর সংবাদে স্থান,কাল ও পাত্র ভেদে আবহ সৃষ্টি হয়। একটি ভুল ধারণা এখনো জীবিত আছে মানুষের মাঝে, তাহলো বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তি মারা যাবার পর দেহ সাধারণ কোনো দেহ থাকে না, হয়ে যায় সাক্ষাৎ চুম্বক।অথচ এসবের কোনো বালাই নেই, ঘটার সম্ভাবনাও নেই। কিন্ত মানুষদের লাশ চুরির প্রবণতা কিভাবে ঠেকাবেন।ভয়ে মানুষ নিজের মেঝেতেই লাশ পুতে ফেলতে চায়,এ যেন নেক্রোফেলিয়া টাইপ ভয়; কি একটা অবস্থা।
ঢাকা শহরে বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে,যা অপরিকল্পিত নগরীর পজিটিভ দিক।আমার /আপনার মাথা পর্যন্ত ১০ হাজার ভোল্টের বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবার আগে দালানকোঠা হজম করে ফেলবে; আমি আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবো। ডাটা থেকে দেখা যায়, ৭০ ভাগের মত মারা যায় কৃষক শ্রেনী।প্রকৃতিও তাদের সাথে সঠিক আচরণ করতে চায় না,কিন্তু উনারাই প্রকৃতির পেছনে সময় ব্যয় করে বেশি। বজ্রপাতে আপনি কোনো ধনী মারা যেতে নিশ্চই দেখেননি?
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সরকার ১ কোটি তালগাছ রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, রোপণ হয়েছে ৩০ ভাগ , পরে দেখা গেলো এগুলো মাথা উচু করে দাড়াতে দাড়াতে আমার আপনার দাড়ি পেকে লাল হয়ে যাচ্ছে।পরে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং অন্য প্রকল্প হাতে নিয়ে টেকনোলজী আমদানী করে, হটস্পটে বসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।কিন্তু কাজের কাজ কোথায় হচ্ছে? ধান কাটতে গিয়ে কৃষক মরছে, মাছের লোভে জেলে,কাদামাটিতে খেলতে গিয়ে শিশুকিশোর, এমনকি নামাযরত অবস্থাও মানুষ মরছে বজ্রপাতে। তবুও গাছ কাটা হচ্ছে,ঢাকায় মানববন্ধন হচ্ছে,গাজীপুরে গাছ ধ্বংস করে রিসোর্ট বাণিজ্য হচ্ছে,কাপ্তাই/সেন্টমার্টিনের গাছগুলো দুশ্চিন্তায় কখন যে কাটা পড়বে,এই ভেবে।
আপনার কি কোনো বজ্রপাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আছে? লাশ চুরি থেকে শুরু করে কিছুক্ষণ আগে কথা বলে আসা চাচার মৃত্যু যিনি বজ্রপাতেই মারা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩১