কারও আচরণ,ব্যবহার, চরিত্রে বা কারও সাহায্যে( ভিক্ষুক নয়),জীবন বদলে দেবার সাহায্য আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই অনুভব করেন যে, মানুষটি আসলেই ভালো মানুষ; তাহলে আপনি সোনার বাংলায় অনেক ভাগ্যবান।এমন অভিজ্ঞতা আছে কিনা ব্লগারদের মাঝে আমি জানতে চাই,আপনার পরিচিত বাঙালী কয়েক ঘন্টার জন্য জাপানী ও আমেরিকানদের মত আচরণ করে আপনার জীবন বদলে দিয়েছে যা নিয়ে আপনি সর্বদা কৃতজ্ঞ।
মাঝেমধ্যে গ্রামে গেলে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেতাম নিজের আগ্রহে ঐসব মূলত ছিলো ' তরিকত পন্থী 'গানবাজনা,মাহফিল,আলোচনা, ভবিষ্যৎএ ভালো থাকার জন্য জ্ঞান বিতরণ। বেশিরভাগ ছিলো দরিদ্র শ্রেণীর, দারিদ্রতাকে আশীর্বাদ মনে করতো ৫/১০ ভাগ মানুষ।কিন্তু অনুষ্ঠানে নিজেদের ভেতরে আন্তরিকতার ছাপ থাকলেও,অনুষ্ঠানের বাইরে মানুষগুলোর আচরণ ভালো ছিলো না।ব্যাপারটা শিয়ালের ঐ গল্পের মত, আমার লেজ কাটা পড়েছে মানে সবারটাই পড়তে হবে।হিংসার মত সুক্ষ্ম ইমোশন বড়আকার ধারণ করতো; পরে দেখা যেতো তরীকত ঠিক আছে,আদম হাওয়া,জিবরাইলের গল্প ঠিক আছে, তবে মানুষ বদলে গেছে,কেউ কারও চেহারা দেখতে চায় না।কয়েকজনকে আমি চিনি যারা ২ রাকাত বেশি নামায পড়লে কথাবার্তার টোনে অহং বোধ ধরা করে,মানুষকে সাহায্য করার চিন্তা মাথায় আসে না, আসলেও ভাবে আল্লাহ আমাকে কবরে দিবে,হাশরে দিবে ; ঠিক আছে তাহলে আমিও সাহায্য করি।
ব্লগে ভারতীয়দের আচরণ সম্পর্কে জেনেছি, পড়েছি,; চাকুরীর বেলায় স্বদেশী বায়াস কাটেনি ভারতীয়দের। দেশেও হিন্দুধর্মের একজনের প্রতি অন্যজনের টান একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারা যায়; মাঝেমধ্যে ওরা এড়িয়ে চলতে চায়। অনেক সময় এড়িয়ে চলতে চলতে বর্ডার পেরিয়ে ভারতও চলে যায়,ফিরে আসে না।
ইউটিউবের এক পপুলার চ্যানেল হলো "Nas Daily '; তার জন্ম প্যালেস্টাইনে কিন্তু তিনি হাভার্ড গ্রেজুয়েট, তারপর নিউইয়র্কে ভালো চাকুরী করে, এখন কোম্পানী দাড়া করিয়েছে।কিভাবে সম্ভব হলো?কারণ ঐখানে জন্ম নিলে তো চোখে মুখে অন্ধকার দেখা ছাড়া উপায় তেমন নেই।ঘটনাহলো ভলান্টিয়ার 'এ কাজে এক ইহুদী-আমেরিকান ইংরেজী শিক্ষক প্যালেস্টাইনে পড়াতে আসে তখন নাসের সাথে পরিচয় হয় ; তারপর মেইল আদান প্রদানে সখ্যতা গড়ে উঠলে ' আমেরিকান দম্পতি আমেরিকায় আমন্ত্রণ করে; ফলাফল -টুরিস্ট থেকে হাভার্ড গ্রেজুয়েট। কিন্তু জানা যায়নি, দম্পতি পরিবার মৃত্যুর পর ভালো থাকার জন্য কাজটি করেছে কিনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১