আমার ডিসঅর্ডারের শিকড়ে পুষ্টিগুণ ছিলো না, বিষ মাখানো ছিলো। ধীরে ধীরে বিষ পৌছে যাচ্ছে মগডালের সবুজ পল্লবে। শত চেষ্টা করেও শিকড় উপড়ে ফেলা যাচ্ছে না,পরিণত মগজের বিপ্লবী ভাবনা রুপকথার মত কাজ করছে না, চোখের সামনে বাচ্চা নিমগাছ অশরীরী হয়ে প্রকৃতিকে মোহাচ্ছন্ন করে রাখছে, মধ্যদুপুরে কাকের ভোজ সীমিত আকারে আনন্দ দেয় না আগের মত। সস্তা কাগজে কলমের কালির লেপনে মগজের নিউরোকেমিক্যাল বেঈমানী করে অবলীলায়। বহুপদী রোগীর মূত্রথলির পানি শহরের রাস্তায় ভেসে ভেসে গন্ধ ছড়িয়ে ছড়িয়ে মিলিয়ে যায় বাতাসে। শহর জুড়ে ভাসতে থাকা গালিসমুহ আগের মত টানে না,আপনি অন্ধকার ঘরে নীল কালিতে আর কত সুইসাইড নোট লিখবেন?
পরিত্যক্ত নগরীর ভীড়ে অমানুষ মানুষের ভান ধরে পিশাচের হাসি দেয়। প্রতারণার শেষ সীমান্তে শিকার পরবর্তীতে প্রতারণার রাজা হয়; প্রতি সেকেন্ডে টাকার কাছে মানুষ বিক্রি হয়,ব্যক্তিত্ব বিক্রি হয়,দেহ বিক্রি হয়। সুখের প্রাইমারী লেভেলের ক্ষতে প্রলেপ পড়ে টাকার ধোয়ায়।পিরামীডের মমী থেকে মুমতাজের কবরের তাজমহল খোলস, চেঙ্গিসের অদৃশ্য কবর, আন্তঃ নগর লাশঘরের বেওয়ারিশ লাশ সুখী হয়নি কখনো,হতে চায়নি।
কর্পোরেটের গন্ধ গায়ে মাখতেই এলিটিসিজম আত্নায় ভর করে,নিষ্ঠুর মানুষ নেকড়ে থেকে হায়না হয়, দল বেধে ব্যক্তিত্ব খুবলে খায়।পরিচিত মুখে অসৎের কালো ছায়া ঠিক মত ঘুমাতে দেয় না,নেশার আশ্রয়ে সুখী হতে চায়।আজ পৃথিবীর সমস্ত অক্সিজেনের মিলিত রুপে আমি ব্যাক্তিত্ববান মানুষ ক্রয় করতে অক্ষম হয়েছি। খুবলে খেয়ে দেয়ে আঁড় চোখে তাকানো পিশাচ ঢেকুর তুলে তৃপ্তিহীনতার বার্তা দেয়।
নগরীর মোড়ে মোড়ে সবাই জয়ী হতে গিয়ে, কেড়ে নেয় মানুষের হৃদয়,মনন ও শ্রদ্ধাবোধ।বহু মানুষ বেঁচে ছিলো অসৎ হয়ে,অর্থ কষ্টে, পৃথিবীর কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিলো না।বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ডাইনোসর থেকে প্রতিষ্ঠিত ডারউন তত্ব পৃথিবীকে টলাতে পারেনি।যীশুর শরীর থেকে ববের হওয়া রক্তের গরম ভাব ঠান্ডায় রুপান্তর হয়েছে বহু কাল পূর্বে। মানুষ আন্তঃনগর লাশঘরে বন্ধি থাকে আজীবন,কিছু মানুষ শুকুন হয়ে অপেক্ষা করে মৃতদেহ ভক্ষণের মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য।হতাশ মানুষের আত্না বিলুপ্ত হয়না ; ভর করে অগণিত জীবিত মানুষের হৃদয়ের কোণায়।দুমড়ে মুচড়ে নিঃশেষ করে দেয় ধীরে ধীরে। একা থেকে একাতর হতে সময় নেয় খুব অল্প।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৫