ঝুম বৃষ্টিতে কাদামাটি গায়ে লাগিয়ে ফুটবল নিয়ে ছুটে পা পিছলে পড়ে গিয়েও যে আনন্দ তা সময়ের ব্যবধানে মিলিয়ে যাচ্ছে, ব্যাপারটা সূর্যাস্তের মত। যা শেষ হয়ে যাবে, আগামীকাল সূর্য্যউদয় হবার সম্ভাবনা নেই। গ্রামের কিশোর -যুবকরা শহরে এসে পরিস্কার ঘাস দেখে ফ্যাসিনেশনে ভুগে ; নেমে খেলতে চায় এবং খেলেও। এমনিতেও বাংলাদেশ ফুটবলের যে দশা, কখনো প্রদীপ জ্বলার আশাও নেই। শহরে মাঠ সংকটের অযুহাতে টার্ফ ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আমি চট্রগ্রামের যে এলাকায় থাকি, আমার লোকেশন থেকে ২/৩ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে টার্ফ কোর্ট ৪ টা ; স্লট খালি পাবার সুযোগ নেই। ঘন্টায় হাজার টাকায় দিব্যি চলছে ব্যবসা। সাথে উন্নত বিশ্বের মত হালকা পানাহার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, আয়োজন দেখলে মনে হয় নেক্সট বিশ্বকাপ কাতারের মত বাংলাদেশও আয়োজন করতে পারবে। কিছুদিন আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের ফুটবল দেখেছি, পেশীশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেও টিকে থাকেনি, স্কিলতো তেমন নেই। ১১ জন মিলে ৫/৬ পাস কমপ্লিট করতে পারে না। আহা! তাছাড়া বিশ্বব্যাপী ফুটবলের যা দশা দেখা যাচ্ছে, সৌদিআরব মনে হয় ইউরোপের সব ফুটবলারকে কালিমা পড়িয়েই ছাড়বে।
আমার নিজেরও একেবারে কাদমাটি,হাটুর সমান পানি, এবড়োথেবড়ো মাঠ থেকে শুরু করে, হালের টার্ফে খেলার সুযোগ হয়েছে।তবে এখন দৃশ্যপট ভিন্ন আর কখনো খেলতে পারবো কিনা জানি না, হাটুর ইনজুরীতে সব গেলো বোধহয়।টার্ফ বাঙালীর ভাবনায় ভালোমতই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে,ব্যবসা বড় হচ্ছে, উদ্যোক্তারা নতুন দিগন্ত খুজে পেয়েছে।আপনাদের ফুটবলের কি দশা?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮