বাঙালীরা ইজমের পেছনে থেকে জীবন দিতেো প্রস্তুত যদি ব্যাপারটার শিকড় ধর্ম থেকে আসে; তা কিছুদিন আগে দেলু রাজাকার মিয়া মারা যাওয়াতে বুঝা গিয়েছে ; মিডিয়ায় দেখলাম বিক্ষোভে একজন বলছে,জীবন দিতেও রাজি আছি,পরে দেখা গেলো জানাযায় মানুষ নিহত হয়েছে ও হালকা পাতলা ক্যাচাল হয়েছে।
ফিলোসফি থেকে বিভিন্ন ইজমের জন্ম হয়, ইজমের গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে মানুষ ভিড় করে; লালন করে,টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধ করে। যুদ্ধ জয়ী হলে অথরিটি বীর,শহীদ ট্যাগ জুড়ে দেয়। ধর্মীয় ইজমের ভীত অনেক শক্ত,অনেক বড় ময়দান, মানুষের জায়গা নিয়ে কখনো চিন্তা করতে হয় না।
মানুষের মাইন্ডসেট যীশুর মত পেরেকমারা না হলে, মানুষ নিজের ভাবনার উদয়,ধরণ,বাস্তবতার সাথে মিল-অমিল খুজে; পরে খুজতে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন ইজমের সাথে মিল পাওয়া যায়। Cynicism, Stoicism, Nihilism, Hedonism কত শত ইজমের জন্ম নিয়ে বড় সড় হচ্ছে স্থান, কাল পাত্র ভেদে। কিছুদিন আগে এই ব্লগেই কেউ একজন খুজেছিলেন যে, আমাদের নবী হেরাগুহায় ধ্যান করে কি পেয়েছেন? কোথায় কি বলা আছে? নবী ধ্যান করে কি পেয়েছে তা জানার কোনো উপায় নেই, নবীর পর কেউ সেখানে গিয়ে দলে দলে ধ্যানে বসেনি; বৌদ্ধদের নির্বাণ লাভের জন্য।
আপনার ভাবনা কোন ইজমের সাথে মিলে? আপনি চাইলে 'ইজমের পেছনে থেকে বীর,শহীদ ট্যাগ লাগিয়ে ঘুরতে পারেন বা কোনো ইজমেই না গিয়ে 'আজীবন ভিলেন হিসেবে কাটিয়ে দিতে পারবেন। সভ্যতার যতই সামনে এগিয়ে যাক ' মেডিকেশনের তুলনায় মেডিটেশনের কদর কমেনি তেমন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫