শবযাত্রীদলের ভীড়ে আমি সেই কবে হারিয়ে গিয়েছি, নক্ষত্রের ঝলকানি, ঘুটঘুটে অন্ধকার ও জীবনের প্রতি বাঁকে বাঁকে তীব্র বেদনার নীল রং দেখেছি। অস্পষ্ট ভাবনায় পরিচালিত হয়ে ভবিষ্যৎ অঙ্কন করেছি, আমি বোবা হয়ে চিৎকার দিয়েছি ,কাফনের কাপড় পড়ে হেটেছি মাঠের পর মাঠ কেউ প্রশ্ন করেনি, হতাশা আমাকে গ্রাস করেছে কালো মেঘের মত, বৃষ্টিরুপে ধরা দেয়নি। মধ্যরাতের ডেকে উঠা কাক কি বলতে চায়?
কাটাতারে বিধে থাকা মরদেহ, হৃদয়ের গহীনে অযাযিত কল্পনা, মগজের অপচয় নিষ্পেষিত করেছে আমায়। চোখের সামনে নিমগাছ অশরীরী হয়ে গেলো,বাচ্চা পেঁচা বড় হয়ে গেলো, অথচ আমার হতাশা পাহাড়সম হয়েছিলো,কেউ বেঁচে ছিলো আশেপাশে?একদিন মধ্যগগণে বেওয়ারিশ লাশে নখ বসাবে শকুন ,লাশের গন্ধের ভিতরে তীব্র প্রতিশোধ বাতাশে মিলিয়ে ভারী হবে,আন্তঃনগর লাশঘরে ভৌতিকতা বজায় থাকবে, কিন্তু স্বাদের হতাশা শক্তির ন্যায় রূপ বদলে অন্যের আত্নায় ডুকে যাবে অবলীলায়।
কখনো আমার ব্যর্থ প্রাথর্নায় দেখা যায়নি আলো,অন্ধকাররূপ ধারণ করে বিভীষিকা পুরো মহাকাশ খেলা করে।বৃষ্টির পর রংধনুতে তোমার জেগে উঠার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ বলেই, কিন্তু ঈশান কোনের কালো মেঘ অনেকটা পৃথিবীর সব ক্ষত-বিক্ষতের মত ধ্বংস করে ছিড়ে ফেলে আমার সমস্ত কর্মফল।আজ হাতের রেখায় পরিসমাপ্তিতে তুমি নেই;আগ্রহ নিয়ে বিষন্নতার মাঝে আশ্রয় খুজি বাস্তবতার সান্তনায় অভিধানে খুজি মিথ্যা ভালোবাসা। বন্ধনের স্বার্থত্যাগ কলুষিত হয় তোমার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের প্রতিধ্বনিতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২২