ভাবনার দেয়ালের অন্ধকারময় জায়গায় কেউ এসে আকাবুকি করলেই আমি জীবিত হয়ে উঠি, বোকা বাক্সের ক্যারেক্টার প্লে করার জন্য।দেয়ালে যদি লেখা হয় ড্রাগ এডিক্টের সাথে নক্ষত্রের মায়া জড়ানো সত্তার অপরাধবোধ অভিনয়ে ফুটে তুলতে ; আমি হৃদয়ে নিংড়ে নিংড়ে কোথায় যেন হারিয়ে যাই। কাটাতারের অন্তঃমিলে পুরোনো অভ্যাস প্রতিনিয়ত বেওয়ারিশ লাশের ন্যায় আচরণ করে। প্রতিধব্নি আজকাল মৃতপ্রায় মনে হয় বলেই গভীর সমুদ্রের অতলে ডুবে থাকা হাহাকার ময় জীবনের অবসান রহস্যের আজন্ম গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। আমি তো কখনো আমার নই,ছিলাম না।
অন্ধকার থেকে অন্ধকারময় জীবনের আলোর বিক্ষেপণে রঙধনু অনেকটা কেঁদে উঠে। ছদ্মবেশে মানুষের চামড়া গায়ে জড়িয়ে কোথায় গিয়ে ঠেকবে সবকিছু, জীবন জুড়ে থাকা পরাজয়, অপমানবোধের শেষ প্রাপ্তির দিগন্ত রেখায় অশরীরী আত্নারা প্রত্যাখ্যাত হয় কি?।মলিন সান্তনাসূচক বানী পর্যাপ্ত দুঃখবোধ সইতে না পেরে, আত্নহননের পথ বেঁছে নিবে হয়তো। আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র জ্বলজ্বলে আলো প্রতিবাদী সত্তার প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে; আলো জ্বেলে রেখে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কীটপতঙ্গ মানসিকতার আত্নাকে।
অপার্থিব চেতনা মগজে বিস্ফোরক হিসেবে কাজ করে,পঁচে যাওয়া দেহ সবাই দেখে, মগজের ও হৃদয়ের পঁচনের গন্ধ হয় না, কেউ পায় না। দূরে নক্ষত্রের সাথে পরকীয়া, তীব্র দহনের ব্যাথা অনেক দূর অবধি পৌছাতে পারে না। বোবার চিৎকার শুনতে না পেয়ে, বেদনার নীল দংশন রঙধনুর মত মাঝেমাঝে আবিষ্কৃত হয়।
আমার অনুভুতিতে পাপ ছিলো না,পূণ্যও ছিলো না ; অন্যায় আবদার মেনে নিয়ে, তিলে তিলে নিঃশেষ হয়েছি, আমার স্মৃতিতে তুমি অবচেতনের পতন ঘটাচ্ছো সবসময়; আমি বেঁচে আছি মৃত ছায়ার মত,মৃত্যুর দূতের অপেক্ষায়, অলৌকিকতার পরশ পাথরের দীর্ঘশ্বাসে।ছাই থেকে মিথের জন্ম, আমার বিশ্বাসের পূর্ণজন্মের ব্যর্থতা কুড়ে কুড়ে আসক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে হত্যা করেই ছাড়বে। আমি হারিয়ে যাবো মহাশূণ্যের কালো গহ্বরে, যেখানে হাতছানি দিয়ে ডাকছে পরিত্যক্ত আন্তঃনগর লাশঘর।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭