চরম এক্সট্রিম বলতে পাকি-আফগান স্টাইলে মসজিদে,পাবলিক বাসে আত্নঘাতি বোমা হামলা করা রঙচঙা আইডোলজির ভিড়ে; বন্ধুক দিয়ে আমেরিকান স্টাইলে মানুষ মেরে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা; বা হাইতির গ্যাং কালচারের মত প্রভাব বিস্তার করা, যেখানে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপেরও প্রয়োজন হচ্ছে,দেশ দু:ভিক্ষে রুপ নিচ্ছে ;অথবা বিশ্বের চোখে মাদকের গোল্ডেন স্পট হিসেবে পরিচিত লাভ করা মেক্সিকোর মত।আপনাদের কি মনে হয়?
দেশের যে ইসলামটা বিরাজ করছে তা নিয়ে সবাই হয়তো খুশি নয়,বিভক্ত হয়ে নীরবে বা প্রক্যাশ্যে প্রতিবাদ করতে চাচ্ছে টুকটাক,দল ভারী করার মিশনে নেমে পড়ছে অনেকে 'দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে ঢুকে যাচ্ছে লিস্টে।এই রমজানে দেখলাম,বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে ১০ দিনের খতমে তারাবীহ কোর্সে ভর্তি হবার আমন্ত্রন জানানো হয়েছে।আমারর পরিচিত কয়েকজন, এই কোর্স কমপ্লিট করে বাকি দিনগুলো রিলাক্সে কাটাতে চাইছে।
কিশোর গ্যাং নিয়ে সবাই হতাশ,ওরা মাঝেমধ্যে হত্যাকান্ড ঘটায়;কোনো কোনো পরিবার এলাকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।সাউথ ইন্ডিয়ার মুভির ন্যায় আ্যাকশন,হিংস্রতা বাঙালীরা মুভি দেখে অভ্যস্ত হলেও,রিয়েল লাইভে ভয় পায় প্রচুর। রাজনীতিতে দুইচার পয়সা দিয়ে গ্যাং কালচার লালনপালন বেশ লাভজনক হয়ে উঠছে; তুড়ি মেরেই সমস্যার সমাধান করা হয়ে যাচ্ছে, বেশ মজার ব্যাপার!! জাতীয় দৈনিকে চোখ বুলালেই প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন ভার্সিটির সুইসাইড নিউজ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ঢাবি ক্যাম্পাসে যারা হোলি উৎসব করেছে,ওরা নিশ্চই সিয়াম পালন করেনি।আপনার কি মনে হয়?
ঐদিন ব্লগে পড়লাম,ঢাকার মাটিতে পা দিলেই নাকি মানুষ অমানবিক হয়ে যায় ;বাতাস হয়তো সাহায্য করে। যতই অমানবিক হোক, তা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে গড়াবে এক্সট্রিম লেভেল দেখতে কেমন হবে?