ব্লগারেরা বিরল প্রজাতি, লুকিয়ে রাখতে পারে বা চেষ্টা করে।অনেক ব্লগার লিখালিখি করে জীবন দিয়েছিলো এ সোনার বাংলায়। ব্লগিং নিয়ে মানুষের নেগেটিভ ধারণা সৃষ্টি করা হয়েছে সরকার ও মিডিয়া ম্যানিপুলেশনে ;সমাজতন্ত্রের সাথে নাস্তিকতার সাদৃশ্যতা ও ব্লগিং 'এর সাথে নাস্তিকতার সাদৃশ্যতা একই পাল্লায় মাপতে শিখে ফেলেছে সমাজ।শুরুর দিকে দলবেধে ব্লগে ভিড় করতো, কেউ লিখতো, সমালোচনা করতো,কেউ কেউ বায়োস্কোপ খুজে বের করে চোখ দিয়ে রাখতো, যা বিভিন্ন ব্লগারের পোস্টে বিভিন্ন সময় জেনেছি।
আপনি নিজের সময়টুকু বের করে ব্লগে আসেন, পোস্ট পড়েন, কমেন্ট করেন বা কোনোসময় দর্শনার্থী হয়েও আসেন।আপনার কাছের লোকজনও জানে না ব্যাপারটা?? একবার আমার আত্নীয়ের সাথে বিধিধ বিষয়ে কথা হচ্ছিলো,কথা প্রসঙ্গে হজ্ব ডুকে যাওয়ায় আমি একটু ভিন্ন মোড়কে একটা কথা বলাতে, উনি বলে ফেললেন আপনি তো ব্লগারদের মত কথা বলছেন, ব্লগারদের ভাত নেই। ধর্মীয় পতাকার নিচে বসুন; উনি আমার থেকে বয়সে একটু বড় হওয়ায় আমি ব্যাপারটা আগায়নি, হেসে উড়িয়ে দেই। উনি সময় করে "আরিফ আজাদ পড়ে, কলম দিয়ে দাগিয়ে রাখে,বিবাহিত স্ত্রীকে পর্দায় আনতে গিয়ে ঝামেলা বাধে, মিটে না সহজে।
আমার এলাকায় কয়েকজন সমবয়সী ছিলো যারা কয়েকজন জঙ্গী দর্শনে PhD করেছিলো,নিজেকে প্রমাণ করতে অ্যাটাকে গিয়েছিলো নাস্তিকতার শেকড় নির্মূল করতে, ধরা পড়ে আল্রাহর ইচ্ছায় জেলে,এটা বহু বছর আগের ঘটনা যখন আকাশে বাতাসে বিভিন্ন জঙ্গী দলগুলো খাবার ছিটিয়ে কাক খুজে বেড়িয়েছিলো,এখন কি অবস্থায় জানি না।আপনি যে ব্লগার স্থান, কাল পাত্রভেদে প্রকাশ করতে চান বা ইচ্ছে হয়? নাকি লুকিয়ে রেখে আনন্দ? ভেবে রেখেছেন, সামু বেঁচে থাকলে লিখবেন, ক্যাচাল করবেন, কেউ মারা গেলে শোকাহত হবেন ১ মাস পর-এভাবেই চলুক তাই না?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৬