somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নবীদের কাহিনী

১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নবীদের কাহিনী
লেখক: ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক অক্টোবর ২০০৯
ভূমিকাঃ
আল্লাহ পাক মানুষকে সৃষ্টি করে তাকে পৃথিবীতে স্থিতি দান করেন৷ তিনি তাদেরকে অসহায় ও লাগামহীনভাবে ছেড়ে দেননি (মুমিনূন ২৩/১১৫)৷ বরং তাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শনের নিমিত্তে প্রথম মানুষ আদমকে তাঁর বংশধরগণের হেদায়াতের জন্য প্রথম 'নবী' হিসাবে প্রেরণ করেন (বাক্বারাহ ৩৮-৩৯)৷ এভাবে শেষনবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত ৩১৫ জন রাসূল সহ এক লক্ষ চবি্বশ হাযার পয়গম্বর প্রেরিত হন৷ উল্লেখ্য যে, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তালূতের সাথী সংখ্যা ছিল ৩১৩ এবং বদরের যুদ্ধে শেষনবীর সাথী ছিলেন ৩১৩, কি্বয়ামতের পূর্বে আগমনকারী ইমাম মাহদীর সাথী হবেন ৩১৩৷ এর মধ্যে আল্লাহ্র কোন রহস্য থাকতে পারে৷ বহু নবীর নিকটে আল্লাহ পাক ছহীফা বা পুস্তিকা প্রদান করেন এবং প্রত্যেক রাসূলকে দেন পৃথক পৃথক শরী'আত বা জীবন বিধান৷ তবে চার জন রাসূলের নিকটে আল্লাহ প্রধান চারটি কিতাব প্রদান করেন৷ যথাক্রমে মূসা (আঃ)-এর উপরে 'তাওরাত', দাঊদ (আঃ)-এর উপরে 'যবূর', ঈসা (আঃ)-এর উপরে 'ইনজীল' এবং শেষ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপরে 'কুরআন'৷ প্রথমোক্ত তিনজন ছিলেন বনু ইস্রাঈলের নবী এবং তাদের নিকটে প্রদত্ত তিনটি কিতাব নাযিল হয়েছিল একত্রিতভাবে৷ কিন্তু শেষনবী প্রেরিত হয়েছিলেন বিশ্বনবী হিসাবে বনু ইসমাঈলে এবং শেষ কিতাব 'কুরআন' নাযিল হয়েছিল বিশ্বমানবের জন্য সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উপরে দীর্ঘ ২৩ বছরের বিসতৃত সময় ধরে মানুষের বাস্তব চাহিদার প্রেক্ষিতে৷ শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আগমন ও শেষ কিতাব নাযিলের পর বিগত সকল নবুঅত ও সকল কিতাবের হুকুম রহিত হয়ে গেছে৷ এখন বিশ্বমানবতার পথপ্রদর্শক হিসাবে কেবলমাত্র শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) আনীত সর্বশেষ ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কুরআনই বাকী রয়েছে৷ নিঃসন্দেহে রাসূলের ছহীহ হাদীছ সমূহ আল্লাহ্র অহী এবং কুরআনের বাস্তব ব্যাখ্যা ও জীবন মুকুর বৈ কিছুই নয়৷ যা মুমিন জীবনের চলার পথে ধ্রুবতারার ন্যায় সর্বদা পথ প্রদর্শন করে থাকে৷
হাদীছে বর্ণিত উপরোক্ত বিরাট সংখ্যক নবীগণের মধ্যে পবিত্র কুরআনে মাত্র ২৫ জন নবীর নাম এসেছে৷ তাও বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গে৷ তবে কেবল নাম হিসাবে একত্রে ১৭ জন নবীর নাম এসেছে সূরা আন'আম ৮৩ হ'তে ৮৬ আয়াতে৷ কেবলমাত্র ইউসুফ (আঃ)-এর কাহিনী সূরা ইউসুফে একত্রে বর্ণিত হয়েছে৷ বাকী সকল নবীর কাহিনী সমগ্র কুরআনে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে৷ যেমন মূসা ও ফেরাঊনের ঘটনা কুরআনের ২৭টি সূরায় ৭৫টি স্থানে বর্ণিত হয়েছে৷ সেগুলিকে একত্রিত করে কাহিনীর রূপ দেওয়া রীতিমত কষ্টসাধ্য ব্যাপার৷ আল্লাহ বলেন, ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৫৮৫;্#১৬১৫;্#১৫৮৭;্#১৬১৫;্#১৬০৪;্#১৫৭৫;্#১৬১১; ্#১৬০২;্#১৬১৪;্#১৫৮৩;্#১৬১৮; ্#১৬০২;্#১৬১৪;্#১৫৮৯;্#১৬১৪;্#১৫৮৯;্#১৬১৮;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৬০৭;্#১৬১৫;্#১৬০৫;্#১৬১৮; ্#১৫৯৩;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬১০;্#১৬১৮;্#১৬০৩;্#১৬১৪; ্#১৬০৫;্#১৬১৬;্#১৬০৬; ্#১৬০২;্#১৬১৪;্#১৫৭৬;্#১৬১৮;্#১৬০৪;্#১৬১৫; ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৫৮৫;্#১৬১৫;্#১৫৮৭;্#১৬১৫;্#১৬০৪;্#১৫৭৫;্#১৬১১; ্#১৬০৪;্#১৬১৭;্#১৬১৪;্#১৬০৫;্#১৬১৮; ্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৬০২;্#১৬১৮;্#১৫৮৯;্#১৬১৫;্#১৫৮৯;্#১৬১৮;্#১৬০৭;্#১৬১৫;্#১৬০৫;্#১৬১৮; ্#১৫৯৩;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬১০;্#১৬১৮;্#১৬০৩;্#১৬১৪;. 'আমরা তোমার পূর্বে এমন বহু রাসূল পাঠিয়েছি, যাদের বৃত্তান্ত তোমাকে শুনিয়েছি এবং এমন বহু রাসূল পাঠিয়েছি, যাদের বৃত্তান্ত তোমাকে শুনাইনি...' (নিসা ৪/১৬৪, মুমিন ৪০/৭৮)৷
আমরা বর্তমান আলোচনায় কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত ঘটনা ও বক্তব্য সমূহ একত্রিত করে কাহিনীর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি৷ সেই সাথে বিশ্বস্ত তাফসীর, হাদীছ ও ইতিহাস গ্রন্থ সমূহ থেকেও সামান্য কিছু উদ্ধৃত করেছি৷ চেষ্টা করেছি নবীদের কাহিনীর নামে প্রচলিত কেচ্ছা-কাহিনী ও ইস্রাঈলী উপকথা সমূহ হ'তে বিরত থাকতে৷ সীমিত পরিসর ও সীমিত সাধ্যের কারণে অনাকাংখিত ত্রুটি সমূহ থেকে আল্লাহ্র নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি৷
উল্লেখ্য যে, পৃথিবীতে আগত সকল নবীই মূলতঃ চারটি বংশধারা থেকে এসেছেন৷ আল্লাহ বলেন, 'নিঃসন্দেহে আল্লাহ আদম, নূহ, আলে ইব্রাহীম ও আলে ইমরানকে নির্বাচিত করেছেন৷ যারা একে অপরের বংশধর ছিল ...' (আলে ইমরান ৩/৩৩)৷ ইবরাহীম পুত্র ইসহাক তনয় ইয়াকূব-এর অপর নাম ছিল ইস্রাঈল (অর্থ আল্লাহ্র দাস)৷ তাঁর পুত্র লাভী থেকে ইমরান পুত্র মূসা, দাঊদ ও ঈসা পর্যন্ত সবাই বনু ইস্রাঈলের নবী ছিলেন (আনকাবূত ২৯/২৭)৷ ইবরাহীমের অপর পুত্র ইসমাঈলের বংশে জন্মগ্রহণ করেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)৷ এজন্য ইবরাহীম (আঃ)-কে 'আবুল আম্বিয়া' বা নবীগণের পিতা বলা হয়৷ উল্লেখ্য যে, বিশ্বে মাত্র দু'জন নবীর একাধিক নাম ছিল৷ তন্মধ্যে ইয়াকূব (আঃ)-এর অপর নাম ইস্রাঈল এবং সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর অপর নাম ছিল আহমাদ এবং আরও কয়েকটি নাম৷ আল্লাহ সকল নবীর উপরে শান্তি বর্ষণ করুন- আমীন!!
উদ্দেশ্যঃ
প্রশ্ন হ'তে পারে, পবিত্র কুরআনে বিগত নবীগণের ও ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি সমূহের কাহিনী বর্ণনার উদ্দেশ্য কি? এর জবাব আল্লাহ দিয়েছেন, ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৬০৩;্#১৬১৫;্#১৬০৪;্#১৫৭৫;্#১৬১৭;্#১৬১১; ্#১৬০৬;্#১৬১৭;্#১৬১৪;্#১৬০২;্#১৬১৫;্#১৫৮৯;্#১৬১৭;্#১৬১৫; ্#১৫৯৩;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬১০;্#১৬১৮;্#১৬০৩;্#১৬১৪; ্#১৬০৫;্#১৬১৬;্#১৬০৬;্#১৬১৮; ্#১৫৭১;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৫৭৬;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৬৯; ্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৫৮৫;্#১৬১৭;্#১৬১৫;্#১৫৮৭;্#১৬১৫;্#১৬০৪;্#১৬১৬; ্#১৬০৫;্#১৬১৪;্#১৫৭৫; ্#১৬০৬;্#১৬১৫;্#১৫৭৯;্#১৬১৪;্#১৫৭৬;্#১৬১৭;্#১৬১৬;্#১৫৭৮;্#১৬১৫; ্#১৫৭৬;্#১৬১৬;্#১৬০৭;্#১৬১৬; ্#১৬০১;্#১৬১৫;্#১৫৭২;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৮৩;্#১৬১৪;্#১৬০৩;্#১৬১৪; ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৫৮০;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৬৯;্#১৬০৩;্#১৬১৪; ্#১৬০১;্#১৬১৬;্#১৬১০; ্#১৬০৭;্#১৬১৪;্#১৫৮৪;্#১৬১৬;্#১৬০৭;্#১৬১৬; ্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৫৮১;্#১৬১৪;্#১৬০২;্#১৬১৭;্#১৬১৫; ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৬০৫;্#১৬১৪;্#১৬০৮;্#১৬১৮;্#১৫৯৩;্#১৬১৬;্#১৫৯২;্#১৬১৪;্#১৫৭৭;্#১৬১২; ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৫৮৪;্#১৬১৬;্#১৬০৩;্#১৬১৮;্#১৫৮৫;্#১৬১৪;্#১৬০৯; ্#১৬০৪;্#১৬১৬;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৬০৫;্#১৬১৫;্#১৫৭২;্#১৬১৮;্#১৬০৫;্#১৬১৬;্#১৬০৬;্#১৬১৬;্#১৬১০;্#১৬০৬;্#১৬১৪;. 'আমরা পয়গম্বরদের এসব কাহিনী আপনার কাছে এজন্য বর্ণনা করি, যদ্বারা আমরা আপনার অন্তরকে সুদৃঢ় করি৷ আর এর মধ্যে এসেছে আপনার নিকটে সত্য, উপদেশ ও স্মরণীয় বস্তু সমূহ বিশ্বাসীদের জন্য' (হূদ ১১/১২০)৷ অর্থাত্‍ এর উদ্দেশ্য হ'ল, যাতে আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) নবুঅতের গুরু দায়িত্ব বহন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান এবং তাঁর উম্মত এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে৷
কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর নামঃ
আদম, ইদরীস, নূহ, হূদ, ছালেহ, ইবরাহীম, লূত্ব, ইসমাঈল, ইসহাক্ব, ইয়াকূব, ইউসুফ, আইয়ুব, শু'আয়েব, মূসা, হারূণ, ইউনুস, দাঊদ, সুলায়মান, ইলিয়াস, আল-ইয়াসা, যাকারিয়া, ইয়াহ্ইয়া, যুলকিফ্ল, ঈসা (আঃ) ও মুহাম্মাদ (ছাঃ)৷ এঁদের মধ্যে ইবরাহীম-পূর্ব সকল নবী আদম ও নূহের বংশধর এবং ইবরাহীম-পরবতর্ী সকল নবী ও রাসূল ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধর৷ আমরা এক্ষণে পরপর তাঁদের জীবনী ও তা থেকে শিক্ষনীয় বিষয়সমূহ তুলে ধরার চেষ্টা পাব ইনশাআল্লাহ৷
১৷ হযরত আদম (আঃ)
বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী হিসাবে আল্লাহ পাক আদম আলাইহিস সালামকে নিজ দু'হাত দ্বারা সরাসরি সৃষ্টি করেন (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)৷ মাটির সকল উপাদানের সার-নির্যাস একত্রিত করে আঠালো ও শুকনো ঠনঠনে মাটির তৈরী সুন্দরতম অবয়বে রূহ ফুঁকে দিয়ে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেন (মুমিনূন ২৩/১২; সাজদাহ ৩২/৭; ছাফফাত ৩৭/১১; রাহমান ৫৫/১৪; তীন ৯৫/৪ ইত্যাদি)৷
অতঃপর আদমের পাঁজর থেকে তাঁর স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করেন৷১ আর এ কারণেই স্ত্রী জাতি স্বভাবগত ভাবেই পুরুষ জাতির অনুগামী ও পরষ্পরের প্রতি আকৃষ্ট৷ অতঃপর স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে একই নিয়মে মানববংশ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে৷ কুরআন-এর বর্ণনা অনুযায়ী প্রথম দিন থেকেই মানুষ পূর্ণ চেতনা ও জ্ঞান সম্পন্ন সভ্য মানুষ হিসাবেই যাত্রারম্ভ করেছে এবং আজও সেভাবেই তা অব্যাহত রয়েছে৷ অতএব গুহামানব, বন্যমানব, আদিম মানব ইত্যাদি বলে অসভ্য যুগ থেকে সভ্য যুগে মানুষের উত্তরণ ঘটেছে বলে কিছু কিছু ঐতিহাসিক যেসব কথা শুনিয়ে থাকেন, তা স্রেফ ভিত্তিহীন ও অলীক কল্পনা ব্যতীত কিছুই নয়৷ সূচনা থেকে এযাবত এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় মানুষ কখনোই মানুষ ব্যতীত অন্য কিছু ছিল না৷ মানুষ বানর বা উল্লুকের উদ্বর্তিত রূপ বলে ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) যে 'বিবর্তনবাদ' পেশ করেছেন, তা বর্তমানে একটি মৃত মতবাদ মাত্র এবং তা প্রায় সকল বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷
প্রথম মানুষ আদি পিতা আদম (আঃ)-কে আল্লাহ সর্ব বিষয়ের জ্ঞান ও যোগ্যতা দান করেন এবং বিশ্বে আল্লাহ্র খেলাফত পরিচালনার মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন৷ সাথে সাথে সকল সৃষ্ট বস্তুকে করে দেন মানুষের অনুগত (লোকমান ৩১/২০) ও সবকিছুর উপরে দেন মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব (ইসরা ১৭/৭০)৷ আর সেকারণেই জিন-ফিরিশতা সবাইকে মানুষের মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আদমকে সিজদা করার আদেশ দেন৷ সবাই সে নির্দেশ মেনে নিয়েছিল৷ কিন্তু ইবলীস অহংকার বশে সে নির্দেশ অমান্য
১. নিসা ৪/১; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২৩৮৷
করায় চিরকালের মত অভিশপ্ত হয়ে যায় (বাক্বারাহ ২/৩৪)৷ অথচ সে ছিল বড় আলেম ও ইবাদতগুযার৷ কিন্তু আদমের উচ্চ মর্যাদা দেখে সে ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ে৷ ফলে অহংকার বশে আদমকে সিজদা না করায় এবং আল্লাহ ভীতি না থাকায় সে আল্লাহ্র গযবে পতিত হয়৷ এজন্য জনৈক আরবী কবি বলেন,
্#১৬০৪;্#১৬০৮;্#১৬০৩;্#১৫৭৫;্#১৬০৬; ্#১৬০৪;্#১৬০৪;্#১৫৯৩;্#১৬০৪;্#১৬০৫; ্#১৫৮৮;্#১৫৮৫;্#১৬০১; ্#১৬০৫;্#১৬০৬; ্#১৫৮৩;্#১৬০৮;্#১৬০৬; ্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৫৭৮;্#১৬০২;্#১৬০৯;
্#১৬০৪;্#১৬০৩;্#১৫৭৫;্#১৬০৬; ্#১৫৭১;্#১৫৮৮;্#১৫৮৫;্#১৬০১; ্#১৫৮২;্#১৬০৪;্#১৬০২; ্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬০৪;্#১৬০৭; ্#১৫৭৩;্#১৫৭৬;্#১৬০৪;্#১৬১০;্#১৫৮৭;্#১৬১৫;
'যদি তাক্বওয়া বিহীন ইলমের কোন মর্যাদা থাকত, তবে ইবলীস আল্লাহ্র সেরা সৃষ্টি বলে গণ্য হ'ত'৷
শয়তানের সৃষ্টি ছিল মানুষের জন্য পরীক্ষা স্বরূপঃ
শয়তানকে আল্লাহ মানুষের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ সৃষ্টি করেন এবং কি্বয়ামত পর্যন্ত তার হায়াত দীর্ঘ করে দেন৷ মানুষকে আল্লাহ্র পথ থেকে বিচু্যত্‍ করার জন্য ও তাকে ধোকা দেওয়াই শয়তানের একমাত্র কাজ৷ 'সে মানুষকে বলে কুফরী কর'৷ কিন্তু যখন সে কুফরী করে, তখন শয়তান আর দায়িত্ব নেয় না৷ সে বলে 'আমি তোমার থেকে মুক্ত৷ আমি বিশ্বপ্রভু আল্লাহ্কে ভয় করি' (হাশর ৫৯/১৬)৷ অন্যদিকে যুগে যুগে নবী-রাসূল ও কিতাব পাঠিয়ে আল্লাহ মানুষকে সত্য পথ প্রদর্শনের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখেন (বাক্বারাহ ২/২১৩)৷ শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত এক লক্ষ চবি্বশ হাযার পয়গাম্বর দুনিয়াতে এসেছেন২ এবং বর্তমানে সর্বশেষ ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ধারক ও বাহক মুসলিম ওলামায়ে কেরাম শেষনবীর 'ওয়ারিছ' হিসাবে৩ আল্লাহ প্রেরিত অহীর বিধান সমূহ বিশ্বব্যাপী পেঁৗছে দেবার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন (মায়েদাহ ৫/৬৭)৷ পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংস তথা কি্বয়ামতের অব্যবহিত কাল পূর্ব পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে৷ শেষনবীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী পৃথিবীর এমন কোন বস্তি ও ঝুপড়ি ঘরও থাকবে না, যেখানে আল্লাহ ইসলামের বাণী পেঁৗছে দেবেন না৷৪ এতদসত্ত্বেও অবশেষে পৃথিবীতে যখন 'আল্লাহ' বলার মত কোন লোক থাকবে না, অর্থাত্‍ প্রকৃত তাওহীদের অনুসারী কোন মুমিন বাকী থাকবে না, তখন আল্লাহ্র হুকুমে প্রলয় ঘনিয়ে আসবে এবং কি্বয়ামত সংঘটিত হবে৷৫ মানুষের দেহগুলি সব মৃতু্যর পরে মাটিতে মিশে যাবে৷ কিন্তু রূহগুলি স্ব স্ব ভাল বা মন্দ আমল অনুযায়ী 'ইল্লীন' অথবা 'সিজ্জীনে' অবস্থান করবে (মুতাফফেফীন ৮৩/৭, ১৮)৷ যা কি্বয়ামতের পরপরই আল্লাহ্র হুকুমে স্ব স্ব দেহে পুনঃপ্রবেশ করবে এবং চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশের জন্য সকল মানুষ সশরীরে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্র দরবারে নীত হবে৷
২. আহমাদ, ত্বাবারানী, মিশকাত হা/৫৭৩৭৷
৩. তিরমিযী, আহমাদ, আবুদাঊদ হা/২১২৷
৪. আহমাদ, মিশকাত হা/৪২৷
৫. মুসলিম, মিশকাত হা/৫৫১৬ 'ফিতান' অধ্যায়৷
অতএব পৃথিবী হ'ল সাময়িক পরীক্ষাগার মাত্র৷ জান্নাত থেকে নেমে আসা মানুষ এই পরীক্ষাস্থলে পরীক্ষা শেষে সুন্দর ফল লাভে পুনরায় জান্নাতে ফিরে যাবে, অথবা ব্যর্থকাম হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে৷ অতঃপর সেখানেই হবে তাদের সর্বশেষ যাত্রাবিরতি এবং সেটাই হবে তাদের চূড়ান্ত ও চিরস্থায়ী ঠিকানা৷ আল্লাহ বলেন, 'মাটি থেকেই আমরা তোমাদের সৃষ্টি করেছি৷ ঐ মাটিতেই তোমাদের ফিরিয়ে নেব৷ অতঃপর ঐ মাটি থেকেই আমরা তোমাদেরকে আমরা পুনরায় বের করে আনব' (ত্বোয়াহা ২০/৫৫)৷ অতঃপর বিচার শেষে কাফেরদেরকে হাঁকিয়ে নেওয়া হবে জাহান্নামের দিকে এবং মুত্তাক্বীদের নেওয়া হবে জান্নাতে (যুমার ৩৯/৬৯-৭৩)৷ এভাবেই সেদিন যালেম তার প্রাপ্য শাস্তি ভোগ করবে এবং মযলূম তার যথাযথ প্রতিদান পেয়ে ধন্য হবে৷ সেদিন কারু প্রতি কোনরূপ অবিচার করা হবে না (বাক্বারাহ ২/২৮১)৷
এক্ষণে আদম সৃষ্টির ঘটনাবলী কুরআনে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, তার আলোকে সার-সংক্ষেপ আমরা তুলে ধরার প্রয়াস পাব৷
আদম সৃষ্টির কাহিনী
আল্লাহ একদা ফেরেশতাদের ডেকে বললেন, আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই৷ বল, এ বিষয়ে তোমাদের বক্তব্য কি? তারা (সম্ভবতঃ ইতিপূর্বে সৃষ্ট জিন জাতির তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে) বলল, হে আল্লাহ! আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে আবাদ করতে চান, যারা গিয়ে সেখানে ফাসাদ সৃষ্টি করবে ও রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা সর্বদা আপনার হুকুম পালনে এবং আপনার গুণগান ও পবিত্রতা বর্ণনায় রত আছি৷ আল্লাহ বললেন, আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না (বাক্বারাহ ২/৩০)৷ অর্থাত্‍ আল্লাহ চান এ পৃথিবীতে এমন একটা সৃষ্টির আবাদ করতে, যারা হবে জ্ঞান ও ইচ্ছাশক্তি সম্পন্ন এবং নিজস্ব বিচার-বুদ্ধি ও চিন্তা-গবেষণা সহকারে স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে আল্লাহ্র বিধান সমূহের আনুগত্য করবে ও তাঁর ইবাদত করবে৷
অতঃপর আল্লাহ আদমকে সবকিছুর নাম শিক্ষা দিলেন৷ 'সবকিছুর নাম' বলতে পৃথিবীর সূচনা থেকে লয় পর্যন্ত সকল সৃষ্টবস্তুর ইল্ম ও তা ব্যবহারের যোগ্যতা তাকে দিয়ে দেওয়া হ'ল৷ যা দিয়ে সৃষ্টবস্তু সমূহকে আদম ও বনু আদম নিজেদের অনুগত করতে পারে এবং তা থেকে ফায়েদা হাছিল করতে পারে৷ যদিও আল্লাহ্র অসীম জ্ঞানরাশির সাথে মানবজাতির সম্মিলিত জ্ঞানের তুলনা মহাসাগরের অথৈ জলরাশির বুক থেকে পাখির ছোঁ মারা এক ফোঁটা পানির সমতুল্য মাত্র৷৬ বলা চলে যে, আদমকে দেওয়া সেই যোগ্যতা ও জ্ঞান ভাণ্ডার যুগে যুগে তাঁর জ্ঞানী ও বিজ্ঞানী সন্তানদের মাধ্যমে বিতরিত হচ্ছে ও তার দ্বারা জগত সংসার উপকৃত হচ্ছে৷
৬. বুখারী হা/৪৭২৬, ৩৪০১৷
আদমকে সবকিছুর নাম শিক্ষা দেওয়ার পর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য আল্লাহ তাকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করলেন৷ কুরআনে কেবল ফেরেশতাদের কথা উল্লেখিত হ'লেও সেখানে জিনদের সদস্য ইবলীস উপস্থিত ছিল (কাহফ ১৮/৫০) অর্থাত্‍ আল্লাহ চেয়েছিলেন, জিন ও ফেরেশতা উভয় সমপ্রদায়ের উপরে আদম-এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হৌক এবং বাস্তবে সেটাই হ'ল৷ তবে যেহেতু ফেরেশতাগণ জিনদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন, সেজন্য কেবল তাদের নাম নেওয়া হয়েছে৷ আর দুনিয়াতে জিনদের ইতিপূর্বেকার উত্‍পাত ও অনাচার সম্বন্ধে ফেরেশতারা আগে থেকেই অবহিত ছিল, সেকারণ তারা মানুষ সম্বন্ধেও একইরূপ ধারণা পোষণ করেছিল এবং প্রশ্নের জবাবে নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিল৷ উল্লেখ্য যে, 'আল্লাহ জিন জাতিকে আগেই সৃষ্টি করেন গনগনে আগুন থেকে' (হিজর ১৫/২৭)৷ কিন্তু তারা অবাধ্যতা চূড়ান্ত করে৷
আদমকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করার পর আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে ঐসব বস্তুর নাম জিজ্ঞেস করলেন৷ কিন্তু সঙ্গত কারণেই তারা তা বলতে পারল না৷ তখন আল্লাহ আদমকে নির্দেশ দিলেন এবং তিনি সবকিছুর নাম বলে দিলেন৷ ফলে ফেরেশতারা অকপটে তাদের পরাজয় মেনে নিল এবং আল্লাহ্র মহত্ত্ব ও পবিত্রতা ঘোষণা করে বলল, হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যতটুকু শিখিয়েছেন, তার বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই৷ নিশ্চয়ই আপনি সর্বজ্ঞ ও দূরদৃষ্টিময়'৷ অতঃপর আল্লাহ তাদের সবাইকে আদমের সম্মুখে সম্মানের সিজদা করতে বললেন৷ সবাই সিজদা করল, ইবলীস ব্যতীত৷ সে অস্বীকার করল ও অহংকারে স্ফীত হয়ে প্রত্যাখ্যান করল৷ ফলে সে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হ'ল (বাক্বারাহ ২/৩৪)৷ ইবলীস ঐ সময় নিজের পক্ষে যুক্তি পেশ করে বলল, 'আমি ওর চাইতে উত্তম৷ কেননা আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন আর ওকে সৃষ্টি করেছেন মাটি দিয়ে'৷ আল্লাহ বললেন, তুই বের হয়ে যা৷ তুই অভিশপ্ত, তোর উপরে আমার অভিশাপ রইল পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত' (ছোয়াদ ৩৮/৭৬-৭৮; আ'রাফ ৭/১২)৷
সিজদার ব্যাখ্যা ও উদ্দেশ্যঃ
আদমকে সৃষ্টি করার আগেই আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে আদমের প্রতি সিজদা করার কথা বলে দিয়েছিলেন (হজ্জ ২২/২৭-২৮)৷ তাছাড়া কুরআনের বর্ণনা সমূহ থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, আদমকে সিজদা করার জন্য আল্লাহ্র নির্দেশ ব্যক্তি আদম হিসাবে ছিল না, বরং ভবিষ্যত্‍ মানব প্রজন্মের প্রতীক ও সকল মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে তাঁর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য জিন ও ফিরিশতাদের সিজদা করতে বলা হয়েছিল৷ এই সিজদা কখনোই আদমের প্রতি ইবাদত পর্যায়ের ছিল না৷ বরং তা ছিল মানবজাতির প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ও তাদেরকে সকল কাজে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দানের প্রতীকী ও সম্মান সূচক সিজদা মাত্র৷
ওদিকে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হ'লেও ইবলীস কিন্তু আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা হিসাবে অস্বীকার করেনি৷ বরং আল্লাহ যখন তাকে 'অভিসম্পাত্‍' করে জান্নাত থেকে চিরদিনের মত বিতাড়িত করলেন, তখন সে আল্লাহ্কে 'রব' হিসাবেই সম্বোধন করে প্রার্থনা করল, ্#১৬০২;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৪; ্#১৫৮৫;্#১৬১৪;্#১৫৭৬;্#১৬১৭;্#১৬১৬; ্#১৬০১;্#১৬১৪;্#১৫৭১;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৫৯২;্#১৬১৬;্#১৫৮৫;্#১৬১৮;্#১৬০৬;্#১৬১৬;্#১৬১০; ্#১৫৭৩;্#১৬১৬;্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬০৯; ্#১৬১০;্#১৬১৪;্#১৬০৮;্#১৬১৮;্#১৬০৫;্#১৬১৬; ্#১৬১০;্#১৬১৫;্#১৫৭৬;্#১৬১৮;্#১৫৯৩;্#১৬১৪;্#১৫৭৯;্#১৬১৫;্#১৬০৮;্#১৬০৬;্#১৬১৪;. 'হে আমার প্রভু! আমাকে আপনি কি্বয়ামত পর্যন্ত অবকাশ দিন' (হিজর ১৫/৩৬, ছোয়াদ ৩৮/৭৯)৷ আল্লাহ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন৷ অতঃপর সে বলল, 'হে আমার পালনকর্তা! আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তেমনি তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানারূপ সৌন্দর্যে প্রলুব্ধ করব এবং তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে দেব৷ তবে যারা আপনার একনিষ্ঠ বান্দা, তাদের ব্যতীত' (হিজর ১৫/৩৪-৪০; ছোয়াদ ৩৮/৭৯-৮৩)৷ আল্লাহ তাকে বললেন, তুমি নেমে যাও এবং এখান থেকে বেরিয়ে যাও৷ তুমি নীচতমদের অন্তর্ভুক্ত৷ এখানে তোমার অহংকার করার অধিকার নেই' (আ'রাফ ৭/১৩)৷ উল্লেখ্য যে, ইবলীস জান্নাত থেকে বহিষকৃত হ'লেও মানুষের রগ-রেশায় ঢুকে ধোকা দেওয়ার ও বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা আল্লাহ তাকে দিয়েছিলেন৷৭ আর এটা ছিল মানুষের পরীক্ষার জন্য শয়তানের ধোকার বিরুদ্ধে জিততে পারলেই মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে পারবে এবং আখেরাতে জান্নাত লাভে ধন্য হবে৷ নইলে ইহকাল ও পরকালে ব্যর্থকাম হবে৷ মানুষের প্রতি ফেরেশতাদের সিজদা করা ও ইবলীসের সিজদা না করার মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে এ বিষয়ে যে, মানুষ যেন প্রতি পদে পদে শয়তানের ব্যাপারে সতর্ক থাকে এবং আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখে৷
সিজদা অনুষ্ঠানের পর আল্লাহ আদমের জুড়ি হিসাবে তার অবয়ব হ'তে একাংশ নিয়ে অর্থাত্‍ তার পাঁজর হ'তে তার স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন৮ এবং বললেন, 'তোমরা দু'জন জান্নাতে বসবাস কর ও সেখান থেকে যা খুশী খেয়ে বেড়াও৷ তবে সাবধান! এই গাছটির নিকটে যেয়ো না৷ তাহ'লে তোমরা সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে' (বাক্বারাহ ২/৩৫)৷ এতে বুঝা যায় যে, ফেরেশতাগণের সিজদা কেবল আদমের জন্য ছিল, হাওয়ার জন্য নয়৷ দ্বিতীয়তঃ সিজদা অনুষ্ঠানের পরে আদমের অবয়ব থেকে হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়, পূর্বে নয়৷ তিনি পৃথক কোন সৃষ্টি ছিলেন না৷ এতে পুরুষের প্রতি নারীর অনুগামী হওয়া প্রমাণিত হয়৷ আল্লাহ বলেন, পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল (নিসা ৪/৩৪)৷ অতঃপর বহিষকৃত ইবলীস তার প্রথম টার্গেট হিসাবে আদম ও হাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার জাল নিক্ষেপ করল৷ সেমতে সে প্রথমে তাদের খুব আপনজন বনে গেল এবং নানা কথায় তাদের ভুলাতে
৭. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮৷
৮. নিসা ৪/১; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২৩৮৷
লাগল৷ এক পর্যায়ে সে বলল, 'আল্লাহ যে তোমাদেরকে ঐ গাছটির নিকটে যেতে নিষেধ করেছেন, তার কারণ হ'ল এই যে, তোমরা তাহ'লে ফেরেশতা হয়ে যাবে কিংবা তোমরা এখানে চিরস্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাবে৷ সে অতঃপর কসম খেয়ে বলল যে, আমি অবশ্যই তোমাদের হিতাকাংখী'৷ এভাবেই সে আদম ও হাওয়াকে সম্মত করে ফেলল এবং তার প্রতারণার জালে আটকে গিয়ে তাঁরা উক্ত নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল আস্বাদন করলেন৷ ফলে সাথে সাথে তাদের গুপ্তাঙ্গ প্রকাশিত হয়ে পড়লো এবং তাঁরা তড়িঘড়ি গাছের পাতা সমূহ দিয়ে তা ঢাকতে লাগলেন৷ আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করিনি এবং বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? তখন তারা অনুতপ্ত হয়ে বললেন, ্#১৬০২;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৫৭৫;্#১৬১৪; ্#১৫৮৫;্#১৬১৪;্#১৫৭৬;্#১৬১৭;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৫৭৫; ্#১৫৯২;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬০৫;্#১৬১৮;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৫৭৫; ্#১৫৭১;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৬০১;্#১৬১৫;্#১৫৮৭;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৫৭৫; ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৫৭৩;্#১৬১৬;্#১৬০৬; ্#১৬০৪;্#১৬১৭;্#১৬১৪;্#১৬০৫;্#১৬১৮; ্#১৫৭৮;্#১৬১৪;্#১৫৯৪;্#১৬১৮;্#১৬০১;্#১৬১৬;্#১৫৮৫;্#১৬১৮; ্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৫৭৫; ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৫৭৮;্#১৬১৪;্#১৫৮৫;্#১৬১৮;্#১৫৮১;্#১৬১৪;্#১৬০৫;্#১৬১৮;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৫৭৫; ্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৬০৩;্#১৬১৫;্#১৬০৮;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৬১৭;্#১৬১৪; ্#১৬০৫;্#১৬১৬;্#১৬০৬;্#১৬১৪; ্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৫৮২;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৮৭;্#১৬১৬;্#১৫৮৫;্#১৬১৬;্#১৬১০;্#১৬০৬;্#১৬১৪;. 'হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজেদের উপর যুলুম করেছি৷ যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব'৷ আল্লাহ তখন বললেন, তোমরা (জান্নাত থেকে) নেমে যাও৷ তোমরা একে অপরের শত্রু৷ তোমাদের অবস্থান হবে পৃথিবীতে এবং সেখানেই তোমরা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত সম্পদরাজি ভোগ করবে৷ তিনি আরও বল্লেন যে, তোমরা পৃথিবীতেই জীবনযাপন করবে, সেখানেই মৃতু্যবরণ করবে এবং সেখান থেকেই তোমরা পুনরুত্থিত হবে' (আ'রাফ ৭/২০-২৫)৷
প্রথম বার শাস্তিমূলক বহিষ্কারের আদেশ দানের পরে পুনরায় স্নেহ ও অনুগ্রহ মিশ্রিত আদেশ দিয়ে বললেন, 'তোমরা সবাই নেমে যাও'৷ অতঃপর পৃথিবীতে আল্লাহ্র খলীফা হওয়ার (বাক্বারাহ ২/৩০; ফাতি্বর ৩৫/৩৯) মহান মর্যাদা প্রদান করে বললেন, 'তোমাদের নিকটে আমার পক্ষ থেকে হেদায়াত অবতীর্ণ হবে৷ যারা তার অনুসরণ করবে, তাদের জন্য কোন ভয় বা দুঃখের কারণ থাকবে না৷ কিন্তু যারা তা প্রত্যাখ্যান করবে ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী এবং সেখানে তারা অনন্তকাল ধরে অবস্থান করবে' (বাক্বারাহ ২/৩৮-৩৯)৷
উল্লেখ্য যে, নবীগণ ছিলেন নিষ্পাপ এবং হযরত আদম (আঃ) ছিলেন নিঃসন্দেহে নিষ্পাপ৷ তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ভুল করেননি৷ বরং শয়তানের প্ররোচনায় প্রতারিত হয়ে তিনি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ বৃক্ষের নিকটবতর্ী হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ভুলে গিয়েছিলেন৷ যেমন অন্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ্#১৬০১;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৫৮৭;্#১৬১৬;্#১৬১০;্#১৬১৪; ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬০৫;্#১৬১৮; ্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৫৮০;্#১৬১৬;্#১৫৮৩;্#১৬১৮; ্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬০৭;্#১৬১৫; ্#১৫৯৩;্#১৬১৪;্#১৫৮৬;্#১৬১৮;্#১৬০৫;্#১৬১১;্#১৫৭৫;. 'অতঃপর আদম ভুলে গেল এবং আমি তার মধ্যে (সংকল্পের) দৃঢ়তা পাইনি' (ত্বোয়াহা ২০/১১৫)৷ তাছাড়া উক্ত ঘটনার সময় তিনি নবী হননি বরং পদস্খলনের ঘটনার পরে আল্লাহ তাকে নবী মনোনীত করে দুনিয়ায় পাঠান ও হেদায়াত প্রদান করেন' (আ'রাফ ৭/১২২)৷
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, ইবলীসের ক্ষেত্রে আল্লাহ বললেন, ্#১৬০২;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৪; ্#১৬০১;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৮২;্#১৬১৮;্#১৫৮৫;্#১৬১৫;্#১৫৮০;্#১৬১৮; ্#১৬০৫;্#১৬১৬;্#১৬০৬;্#১৬১৮;্#১৬০৭;্#১৬১৪;্#১৫৭৫; ্#১৬০১;্#১৬১৪;্#১৫৭৩;্#১৬১৬;্#১৬০৬;্#১৬১৭;্#১৬১৪;্#১৬০৩;্#১৬১৪; ্#১৫৮৫;্#১৬১৪;্#১৫৮০;্#১৬১৬;্#১৬১০;্#১৬০৫;্#১৬১২;. 'তুমি জান্নাত থেকে বেরিয়ে যাও৷ নিশ্চয়ই তুমি অভিশপ্ত' (হিজর ১৫/৩৪; আ'রাফ ৭/১৮)৷ অন্যদিকে আদম ও হাওয়ার ক্ষেত্রে বললেন, ্#১৬০২;্#১৬১৫;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৫৭৫; ্#১৫৭৫;্#১৬০৭;্#১৬১৮;্#১৫৭৬;্#১৬১৬;্#১৫৯১;্#১৬১৫;্#১৬০৮;্#১৫৭৫;্#১৬১৮; ্#১৬০৫;্#১৬১৬;্#১৬০৬;্#১৬১৮;্#১৬০৭;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;. ' তোমরা নেমে যাও' (বাক্বারাহ ২/৩৬, ৩৮; আ'রাফ ৭/২৪)৷ এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ইবলীস কখনোই আর জান্নাতে ফিরে আসতে পারবে না৷ কিন্তু বনু আদমের ঈমানদারগণ পুনরায় ফিরে আসতে পারবে ইনশাআল্লাহ৷
নগ্নতা শয়তানের প্রথম কাজঃ
এখানে আরেকটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য যে, মানুষের উপরে শয়তানের প্রথম হামলা ছিল তার দেহ থেকে কাপড় খসিয়ে তাকে উলঙ্গ করে দেওয়া৷ আজও পৃথিবীতে শয়তানের পদাংক অনুসারী ও ইবলীসের শিখণ্ডীদের প্রথম কাজ হ'ল তথাকথিত ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার নামে নারীকে উলঙ্গ করে ঘরের বাইরে আনা ও তার সৌন্দর্য উপভোগ করা৷ অথচ পৃথিবীর বিগত সভ্যতাগুলি ধ্বংস হয়েছে মূলতঃ নারী ও মদের সহজলভ্যতার কারণেই৷ অতএব সভ্য-ভদ্র ও আল্লাহভীরু বান্দাদের নিকটে ঈমানের পর সর্বপ্রথম ফরয হ'ল স্ব স্ব লজ্জাস্থান আবৃত করা ও ইযযত-আবরূর হেফাযত করা৷ অন্যান্য ফরয সবই এর পরে৷ নারীর পর্দা কেবল পোষাকে হবে না, বরং তা হবে তার ভিতরে, তার কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে ও চাল-চলনে সর্ব বিষয়ে৷ পারষ্পরিক চৌম্বিক আকর্ষণের কারণে পরনারীর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি ও মিষ্ট কন্ঠস্বর পর পুরুষের হৃদয়ে অন্যায় প্রভাব বিস্তার করে৷ অতএব লজ্জাশীলতাই মুমিন নর-নারীর অঙ্গভূষণ ও পারষ্পরিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি৷ নারী ও পুরুষ প্রত্যেকে একে অপরের থেকে স্ব স্ব দৃষ্টিকে আনত রাখবে (নূর ২৪/৩০-৩১) এবং পরষ্পরে সার্বিক পর্দা বজায় রেখে কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কথাটুকু স্বাভাবিকভাবে সংক্ষেপে বলবে৷ নারী ও পুরুষ প্রত্যেকে নিজ নিজ স্বাতন্ত্র্য ও পর্দা বজায় রেখে স্ব স্ব কর্মস্থলে ও কর্মপরিধির মধ্যে স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং সংসার ও সমাজের কল্যাণে সাধ্যমত অবদান রাখবে৷ নেগেটিভ ও পজেটিভ পাশাপাশি বিদু্যত্‍বাহী দু'টি ক্যাবলের মাঝে প্লাষ্টিকের আবরণ যেমন পর্দার কাজ করে এবং অপরিহার্য এঙ্েিডন্ট ও অগি্নকাণ্ড থেকে রক্ষা করে, অনুরূপভাবে পর নারী ও পরপুরুষের মধ্যকার পর্দা উভয়ের মাঝে ঘটিতব্য যেকোন অনাকাংখিত বিষয় থেকে পরষ্পরকে হেফাযত করে৷ অতএব শয়তানের প্ররোচনায় জান্নাতের পবিত্র পরিবেশে আদি পিতা-মাতার জীবনে ঘটিত উক্ত অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা থেকে দুনিয়ার এই পঙ্কিল পরিবেশে বসবাসরত মানব জাতিকে আরও বেশী সতর্ক ও সাবধান থাকা উচিত৷ কুরআন ও হাদীছ আমাদেরকে সেদিকেই হুঁশিয়ার করেছে৷
মানব সৃষ্টির রহস্যঃ
আল্লাহ বলেন, ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৫৭৩;্#১৬১৬;্#১৫৮৪;্#১৬১৮; ্#১৬০২;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৪; ্#১৫৮৫;্#১৬১৪;্#১৫৭৬;্#১৬১৭;্#১৬১৫;্#১৬০৩;্#১৬১৪; ্#১৬০৪;্#১৬১৬;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৬০৫;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৫৭৫;্#১৬১৪;্#১৫৭৪;্#১৬১৬;্#১৬০৩;্#১৬১৪;্#১৫৭৭;্#১৬১৬; ্#১৫৭৩;্#১৬১৬;্#১৬০৬;্#১৬১৭;্#১৬১৬;্#১৬১০; ্#১৫৮২;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৬;্#১৬০২;্#১৬১২; ্#১৫৭৬;্#১৬১৪;্#১৫৮৮;্#১৬১৪;্#১৫৮৫;্#১৬১১;্#১৫৭৫; ্#১৬০৫;্#১৬১৭;্#১৬১৬;্#১৬০৬; ্#১৫৮৯;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৫৮৯;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৩; ্#১৬০৫;্#১৬১৭;্#১৬১৬;্#১৬০৬;্#১৬১৮; ্#১৫৮১;্#১৬১৪;্#১৬০৫;্#১৬১৪;্#১৫৭৩;্#১৬১৩; ্#১৬০৫;্#১৬১৭;্#১৬১৪;্#১৫৮৭;্#১৬১৮;্#১৬০৬;্#১৬১৫;্#১৬০৮;্#১৬০৬;্#১৬১৩;্#১৫৪৮; ্#১৬০১;্#১৬১৪;্#১৫৭৩;্#১৬১৬;্#১৫৮৪;্#১৬১৪;্#১৫৭৫; ্#১৫৮৭;্#১৬১৪;্#১৬০৮;্#১৬১৭;্#১৬১৪;্#১৬১০;্#১৬১৮;্#১৫৭৮;্#১৬১৫;্#১৬০৭;্#১৬১৫; ্#১৬০৮;্#১৬১৪;্#১৬০৬;্#১৬১৪;্#১৬০১;্#১৬১৪;্#১৫৮২;্#১৬১৮;্#১৫৭৮;্#১৬১৫; ্#১৬০১;্#১৬১৬;্#১৬১০;্#১৬০৭;্#১৬১৬; ্#১৬০৫;্#১৬১৬;্#১৬০৬; ্#১৫৮৫;্#১৬১৭;্#১৬১৫;্#১৬০৮;্#১৫৮১;্#১৬১৬;্#১৬১০; ্#১৬০১;্#১৬১৪;্#১৬০২;্#১৬১৪;্#১৫৯৩;্#১৬১৫;্#১৬০৮;্#১৫৭৫;্#১৬১৮; ্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬০৭;্#১৬১৫; ্#১৫৮৭;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৮০;্#১৬১৬;্#১৫৮৩;্#১৬১৬;্#১৬১০;্#১৬০৬;্#১৬১৪;. 'স্মরণ কর সেই সময়ের কথা, যখন তোমার প্রভু ফেরেশতাদের বললেন, আমি মিশ্রিত পচা কাদায় শুকনো ঠনঠনে মাটি দিয়ে 'মানুষ' সৃষ্টি করব৷ অতঃপর যখন আমি তার অবয়ব পূর্ণভাবে তৈরী করে ফেলব ও তাতে আমি আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার প্রতি সিজদায় পড়ে যাবে' (হিজর ১৫/২৮-২৯)৷ অন্যত্র তিনি বলেন, ্#১৬০৭;্#১৬১৫;্#১৬০৮;্#১৬১৪; ্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৭;্#১৬১৪;্#১৫৮৪;্#১৬১৬;্#১৬১০; ্#১৬১০;্#১৬১৫;্#১৫৮৯;্#১৬১৪;্#১৬০৮;্#১৬১৭;্#১৬১৬;্#১৫৮৫;্#১৬১৫;্#১৬০৩;্#১৬১৫;্#১৬০৫;্#১৬১৮; ্#১৬০১;্#১৬১৬;্#১৬১০; ্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৫৭১;্#১৬১৪;্#১৫৮৫;্#১৬১৮;্#১৫৮১;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৬০৫;্#১৬১৬; ্#১৬০৩;্#১৬১৪;্#১৬১০;্#১৬১৮;্#১৬০১;্#১৬১৪; ্#১৬১০;্#১৬১৪;্#১৫৮৮;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৬৯; ্#১৬০৪;্#১৫৭৫;্#১৬১৪; ্#১৫৭৩;্#১৬১৬;্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৬০৭;্#১৬১৪; ্#১৫৭৩;্#১৬১৬;্#১৬০৪;্#১৫৭৫;্#১৬১৭;্#১৬১৪; ্#১৬০৭;্#১৬১৫;্#১৬০৮;্#১৬১৪; ্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৫৯৩;্#১৬১৪;্#১৫৮৬;্#১৬১৬;্#১৬১০;্#১৫৮৬;্#১৬১৫; ্#১৫৭৫;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৫৮১;্#১৬১৪;্#১৬০৩;্#১৬১৬;্#১৬১০;্#১৬০৫;্#১৬১৫;. 'তিনিই সেই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে মাতৃগর্ভে আকার-আকৃতি দান করেছেন যেমন তিনি চেয়েছেন৷ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই৷ তিনি মহা পরাক্রান্ত ও মহা বিজ্ঞানী' (আলে ইমরান ৩/৬)৷ তিনি আরও বলেন, ্#১৬১০;্#১৬১৪;্#১৫৮২;্#১৬১৮;্#১৬০৪;্#১৬১৫;্#১৬০২;্#১৬১৫;্#১৬০৩;্#১৬১৫;্#১৬০৫;্#১৬১৮; ্#১৬০১;্#১৬১৬;্#১৬১০; ্#১৫৭৬;্#১৬১৫;্#১৫৯১;্#১৬১৫;্#১৬০৮;্#১৬০৬;্#১৬১৬; ্#১৫৭১;্#১৬১৫;্#১৬০৫;্#১৬১৭;্#১৬১৪;্#১৬০৭;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৭৮;্#১৬১৬;্#১৬০৩;্#১৬১৫;্#১৬০৫;্#১৬১৮; ্#১৫৮২;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৬০২;্#১৬১১;্#১৫৭৫; ্#১৬০৫;্#১৬১৬;্#১৬০৬; ্#১৫৭৬;্#১৬১৪;্#১৫৯৩;্#১৬১৮;্#১৫৮৩;্#১৬১৬; ্#১৫৮২;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৬১৮;্#১৬০২;্#১৬১৩; ্#১৬০১;্#১৬১৬;্#১৬১০; ্#১৫৯২;্#১৬১৫;্#১৬০৪;্#১৬১৫;্#১৬০৫;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৭৮;্#১৬১৩; ্#১৫৭৯;্#১৬১৪;্#১৬০৪;্#১৬১৪;্#১৫৭৫;্#১৫৭৯;্#১৬১৩;. 'তিনি তোমাদেরকে তোমাদের মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করেন একের পর এক স্তরে তিনটি অন্ধকারাচ্ছন্ন আবরণের মধ্যে' (যুমার ৩৯/৬)৷ তিনটি আবরণ হ'ল- পেট, রেহেম বা জরায়ু এবং জরায়ুর ফুল বা গর্ভাধার৷
উপরোক্ত আয়াতগুলিতে আদম সৃষ্টির তিনটি পর্যায় বর্ণনা করা হয়েছে৷ প্রথমে মাটি দ্বারা অবয়ব নির্মাণ, অতঃপর তার আকার-আকৃতি গঠন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহে শক্তির আনুপতিক হার নির্ধারণ ও পরষ্পরের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান এবং সবশেষে তাতে রূহ সঞ্চার করে আদমকে অস্তিত্ব দান৷ অতঃপর আদমের অবয়ব (পাঁজর) থেকে কিছু অংশ নিয়ে তার জোড়া বা স্ত্রী সৃষ্টি করা৷ সৃষ্টির সূচনা পর্বের এই কাজগুলি আল্লাহ সরাসরি নিজ হাতে করেছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)৷ অতঃপর এই পুরুষ ও নারী স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস করে প্রথম যে যমজ সন্তান জন্ম দেয়, তারাই হ'ল মানুষের মাধ্যমে সৃষ্ট পৃথিবীর প্রথম মানব যুগল৷ তারপর থেকে এযাবত স্বামী-স্ত্রীর মিলনে মানুষের বংশ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে৷
শুধু মানুষ ন
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×