somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পার হয়ে যাচ্ছে বিয়ের বয়স ...........??? =p~ :-P X(

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা বয়স পর্যন্ত বিয়ে না করলে সম্মুখীন হতে হয় নানা রকম সমস্যার। বিশেষ করে মেয়েদের। একজন পুরুষ অনেক বয়স পর্যন্ত বিয়ে না করলেও তাকে যতটা না প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, তারচেয়ে শতগুণ বেশি হতে হয় নারীকে। সেই সঙ্গে পোহাতে হয় নানা রকম সমস্যা। নারী-পুরুষ উভয়কেই সইতে হয় সামাজিক গঞ্জনা, শুনতে হয় কটু কথা, ভুগতে হয় বিষণ্নতায়।

একজন মানুষ নানা কারণে বিয়ে না করে থাকতে পারেন। মনের মতো সঙ্গী খুঁজে না পাওয়া, বিয়ের বন্ধনে বিশ্বাস না থাকা, আবার অনেক সময় অনবরত বিয়ের সম্পর্কে ভাঙ্গন দেখতে দেখতে বীতশ্রদ্ধ হয়েও অনেকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কিন্তু একটু বেশি বয়স হয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় যন্ত্রণা। কী করে সামলাবেন এসব? প্রতিটা মানুষেরই রয়েছে নিজের উসুলে জীবনযাপন করার অধিকার। তাহলে কেন একজন মানুষকে মুখোমুখি হতে হয় এত সমস্যার? আর কী-ই বা তার সমাধান?



সামাজিক গঞ্জনা

অবিবাহিতদের আপনজনেরাও কখনো কখনো কটু কথা শোনায়। তার জন্য সমাজে সম্মানহানি হচ্ছে এমন কথাও বলেন। তাদের গণ্য করা হয় অলক্ষুণে হিসেবে। বিশেষ করে নানা সামাজিক আনুষ্ঠানিকতায় অবিবাহিত বেশি বয়সী নারীরা তাই বাদ পড়ে যান। এছাড়াও নানা দুর্ভোগের কারণ হিসেবে দোষ দেয়া হয় তাদের।যে যাই বলুক না কেন, ভেঙে পড়বেন না। সমাজ যেহেতু আপনার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করছে না, তাই আপনারও দরকার নেই তাদের কথা শোনার। বরং এসব গঞ্জনায় কান দিয়ে না দিয়ে নিজের কাজ করে চান।



কুৎসা রটনা

একটা সময় পার করে যাবার পর অবিবাহিত নারী ও পুরুষদের নামে ছড়াতে থাকে নানা ধরনের কুত্সা। স্বাভাবিকভাবেই এগুলোর বেশির ভাগ হয় মিথ্যা। যেমন: হয়তো প্রেমে অসফল হয়েছে, তার মাথায় সমস্যা আছে কিংবা পরকীয়া আছে ইত্যাদি।একজন মানুষের ওপরে স্বাভাবিকভাবেই বিষয়গুলো চাপ ফেলে। মাথা গরম করে মেজাজ খারাপ করাটাও খুবই স্বাভাবিক। তবে পরামর্শ হলো যে, যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। তর্ক করলে বা রাগারাগি করলে অপরপক্ষ আরো সুযোগ পেয়ে বসবে। এসব কথায় কান না দিয়ে শক্ত থাকুন।



চিনে রাখুন সুযোগসন্ধানীদের

আপনার বিয়ে না করার ব্যাপারটির সুযোগ নিতে পারে অনেকেই। বিশেষ করে বিত্তশালীদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় বেশি। একজন বিত্তশালী অবিবাহিত অথচ বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারে কমবয়সী লোভী নারীরা। তারা বিয়ে করবে না, স্বার্থ উদ্ধার হয়ে গেলে ছেড়ে রেখে চলে যাবে। আবার একজন অবিবাহিত নারীর সুযোগ নিতে পারে অনেক কুরুচিসম্পন্ন পুরুষ। এসব সুবিধাভোগী মানুষদের কাছ থেকে সতর্ক থাকুন।



অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হোন

আমাদের সমাজে আর্থিক নিরাপত্তার জন্য মেয়েরা সাধারণত বাবা, ভাই বা স্বামীর ওপর নির্ভর করে থাকে। বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিলে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো অর্থনৈতিকভাবে নিজেকে সাবলম্বী করে তুলতে হবে যেন কারো কাছে হাত পাততে না হয়। কারণ যখনই আপনি কারো ওপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভর করবেন, সে আপনাকে কথা শোনানোর সুযোগটা পেয়ে যাবে। বিশেষ করে এ কথাটি শুনতে হবে যে, স্বামী থাকলে তো আর কারো কাছে চাইতে হতো না এবং এ কথাটা শুনতে অবশ্যই খারাপ লাগবে। তাই নিজেকে করে তুলুন অর্থনৈতিকভাবে সামলম্বী।



ভবিষ্যতের চিন্তা করুন

মানুষের বিয়ে করার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ থাকা। ভবিষ্যতে সাধারণ সন্তানরাই এ নিরাপত্তাগুলো পিতা-মাতাকে দিয়ে থাকে। অবিবাহিত থাকলে যেহেতু আপনার সন্তান-সন্ততি থাকবে না সেহেতু আপনি এই সুবিধাটুকু পাবেন না। আপনার ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে আপনাকেই। উপার্জন করুন এবং ব্যয় করুন চিন্তাভাবনা করে। সঞ্চয় করুন এমনভাবে যাতে আপনার ভবিষ্যৎ থাকে অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ। নিজের অবস্থানটাও পাকাপোক্ত করুন। এতে সামাজিকভাবেও নিরাপদ থাকবেন।



শারীরিক সমস্যায় সতর্ক হোন

অবিবাহিত বেশি বয়সী নারীদের দেখা দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। এর মধ্যে হরমোনের সমস্যা ও স্তন টিউমার অন্যতম। পুরুষদেরও হতে পারে নানা ধরনের রোগ। তাই ছোটখাট অসুখ-বিসুখকেও হেলাফেলা করবেন না। কারণ ছোট সমস্যা থেকে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের সমস্যা। নিজের শরীরের যত্ন নিন। নিয়ম মেনে চলুন। নিয়মিত নিজের ডাক্তারি পরীক্ষা করান।



দূর করুন নিঃসঙ্গতাবোধ

অবিবাহিত থাকার একটা সমস্যা হলো একটা সময়ে গিয়ে নিঃসঙ্গতা আঁকড়ে ধরে। বিয়ের করার কথা একেবারেই মন থেকে দূর করে দেবেন না। যদি কখনো মনের মতো সঙ্গী বা সঙ্গিনীর দেখা পান তাহলে অবশ্যই বিয়ে করার কথা ভাবুন, সেটা যত বয়সেই হোক না কেন! আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে কোনো শিশুকে দত্তক নিতে পারেন। এতে আপনার নিঃসঙ্গতা যেমন দূর হবে, তেমনি শিশুটি হবে আপনার বেঁচে থাকার অবলম্বন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে পারেন। এতেও আপনার সময় বেশ ভালো কেটে যাবে।

http://www.bd-pratidin.com/2014/01/21/39133
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×