ব্লগ আজ সাকিবময়। ব্যক্তিগত ভাবে আমি সাকিবের আচরণগত সমস্যা নিয়ে, তার কমিটম্যান্ট নিয়ে, এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ দলের টিম পারফরম্যান্স নিয়ে একটি ব্লগ লিখেছিলাম কয়েকদিন আগে। এখানে দেখুনঃ Click This Link
কিন্তু আজ তড়িঘড়ি করে যেভাবে সাকিবকে সাজা দেয়া হল তা এক কথায় অগ্রহনযোগ্য। সাকিবের মূল সমস্যা হল খামখেয়ালীপূর্ণ আচরণ। কিন্তু আকরাম খান কোন ক্ষমতা বলে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাবিরীয় প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাওয়ার মৌখিক অনুমতি দিলেন। এই মৌখিক অনুমতিই কিন্ত কাহিনীর শুরু। এখন বোর্ডের অব্যবস্হাপনার দায়ও সাকিবের উপর তুলে দেয়া হল। আমার কাছে মনে হয়েছে রায়টি কিছুটা তাড়াহুড়ো করে, কিছুটা আবেগের বশে নেয়া হয়েছে। আরেকটু সময় নিলে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যেত। মনে রাখা উচিত ভাংগা সহজ, কিন্ত গড়া সহজ না।
সাকিব ইস্যুতে বোর্ডের উচিত ছিল ১) তাকে সহনীয় মাত্রায় শাস্তি দেয়া, ২) তার আচরনগত সমস্যা সমাধানে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্হা করা, ৩) খেলোড়ায়দের টিম স্পরিট তৈরিতে কিছু সমন্বিত উদ্যেগ নেয়া, ৪) বোর্ডের অব্যবস্হাপনা দূর করতে দৃশ্যমান কিছু করা ( বিশেষকরে আকরাম খান কোন ক্যাপাসিটিতে সাকিবকে মৌখিক অনুমতি দিয়েছে তা সুরাহা করা)।
দ্রুত বিচার করার নামে বোর্ড এক্ষেত্রে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে।
আসলে বোর্ডের কিছু লোকের দূর্বল আচরণ বা ক্রিকেট কমিটির পশ্রয়ে সাকিবের এই আচরণগত সমস্যাটি জটিল আকার ধারণ করেছে। আর উদোরপিন্ডি ভূদোর গাড়ে ছাপানোর মত এই রায়টি দিয়ে সাম্প্রতিকে ক্রিকেটের যাবতীয় ব্যার্থতা ঢাকার চেষ্টা করেছে বোর্ড। ক্রিকেট বোর্ড কি আমাদের দয়া করে বলবেন - সাম্প্রতিক কালে গত ১০টি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রমাগত খারপতর ভাবে হারার পর বোর্ড কি ব্যবস্হা নিয়েছেন?
আসলে ক্রিকেটের ভিত্তিকে মজবুত না করে ভারতীয় বোর্ডের অনুকরণে বাংলাদেশ ক্রিকেটবোর্ড নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ক্রিকেটের বানিজ্যিকিকরণের কারণে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট ডুবতে বসেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৪