কোটা সংস্কার নিয়ে আজকের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ মূলত সরকারের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের ফল। গত কয়েকদিনে ২০০ এর অধিক মানুষকে হত্যার জন্যে সরকারই দায়ী। বর্তমান অবস্থায় সরকারের জন্যে সহজ কোন পথ নেই। আগামী কয়েকদিনে কি হতে পারে, তা নিচে আলোচনার চেষ্টা করেছি।
সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত সমুহ:
১) এই আন্দোলনকে শুরু থেকে গুরুত্ব না দেয়া
২) আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা।
৩) রাজনৈতিক আন্দোলন দমানোর মত শক্তি ছাত্র আন্দোলন দমাতে ব্যবহার করা।
৪) সরকার প্রধান এবং মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে ছাত্রদের আন্দোলনকে উপহাস করা।
৫) পুরোদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া এবং তথ্য প্রবাহে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা।
৫) কারফিউ জারী করা, সেনাবাহিনী নামানো, এবং নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা।
এখন কি হতে পারে:
১) আজকের আদালতের শুনানি সমস্যার সমাধান করবে না।
২) চলমান কারফিউ যদি পর্যায় ক্রমিকভাবে আগামী তিন দিনের মধ্যে শিতিল করা না হয়, তাহলে বর্তমান অবস্থা আরও জটিল হবে। এবং মানুষ আরও বেশী আকারে কারফিউ ভংগ করবে, এবং এটি অকার্যকর হবে।
৩) সরকার তার শেষ অস্র ব্যবহার করে ফেলেছে। বর্তমান সংকট যদি আগামী একসপ্তাহের মধ্যে সমাধান না হয়, তাহলে এটি সরকারকে আরও দূর্বল করবে।
৪) বর্তমান সংকট সরকারের লেজিটিম্যাচির সংকটকে সামনে নিয়ে এসেছে।
৫) চলমান সংকট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান না হলে বা দৃশ্যমান উন্নতি না হলে, এটি সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। তবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে বিএনপি তথা বিরোধী দলের রাজনৈতিক পদক্ষেপের উপর। সরকার গত তিন দিন দেশকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। বিএনপি তথা বিরোধী দল এখন পর্যন্ত সমন্বিত ভাবে বিশ্বের কাছে দেশের প্রতিদিনের তথ্য হাজির করতে পারছেনা।অবস্থাদৃষ্টে আমার মনে হয়েছে, বিএনপিও অবস্থার গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। সরকার এ যাত্রায় টিকে যেতে পারে, যদি বিএনপি সঠিক এবং সমন্বিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে ব্যর্থ হয়। মনে রাখতে হবে, সমস্যাটা এখন কোটা সংস্কারে সিমাবদ্ধ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯