somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহ বাংলাদেশকে বাঁচাও

০৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েকটি সাম্প্রতিক খবর, আর বাংলাদেশের ভাবমুর্তিঃ ১) ড' ইউনুস কে নিয়ে সরকারের টানা হ্যাচড়া, অতিরিক্ত মনোযোগ ২) লিবিয়া সীমান্তে হাজার বাংলাদেশীর দুরবস্থা, সরকারের উদাসিনতা ৩) সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে নাবিকেরা, সরকারের অক্ষমতা, বিদেশী সাহায্য কামনা, ৪) উ'ইন্ডিজের কাছে ৫৮ রানে অল-আউট ৫) পাকিস্তান ক্রিকেট এর দুরবস্থা (আয়োজক হয়েও পরদেশে) দেখেও না শিখা, বিদেশী ক্রিকেটারদের আক্রমন। কোনটা বেশী লজ্জাজনক? না সেই উত্তর দেওয়া কঠিন, তবে মনে হয় তুলনামুলকভাবে কম লজ্জার ৪ নম্বর।

কারন ৪ নাম্বারের উপর আমাদের নিয়ন্ত্রন অনেক কম। ভাগ্য অনেক বেশী ছিনিমিনি খেলতে পারে এখানে। কিন্তু অন্য বিষয়গুলোর দায় আমরা শুধু ভাগ্যের উপর ছাড়তে পারি না। আমরা এখনও মরুভুমিতে আটক শ্রমিক আর নাবিক দের উদ্ধেরের জন্য বিদেশী করুনা চাই। কিন্ত সেই দাতাদেরকেই নাখোশ করে নিজের দেশের গুনীলোকের মান্ সম্মান নিয়েও টানাটানি করি। গ্রামীনব্যাংকের ভালোমন্দ যাচাই করছি না, কিন্তু এতে নিজেদের সম্মান কতটুকু বাড়ছে সেটাই ভাবছি। অন্যরা আমাদের সম্মান দিবে কিভাবে, আমরা নিজেরাই তো আমাদের সম্মান কাদা দিয়ে লেপি রেষারেষি হলে। অথচ সেই আমরাই আবার মান গেল মান গেল বলে চেঁচাই নিছক একটা খেলার ফলাফল নিয়ে। আর তাই সম্মানের ষোলকলা পুর্ণ করি বিদেশী খেলোয়াড়দের গাড়িতে আক্রমন করে। খেলার মাঠে বাঘ পরাজিত, কিন্তু রাস্তায় তো আমরা আছি দামাল ছেলেরা। আমাদের লজ্জা দিলি? এই নে তোদের কপালেও দিলাম কলংকের তিলক। এবার ভাঙ্গা বাসে চড়ে বাড়ি যা! তবে বাঙ্গালীর অতিথিপরয়ায়ণতার সুখ্যাতি, সেটা পরে দেখব নি, আগে মিটাই মনের ঝাল।

নাহ! আমরা শিখিনি এখনো অনেক কিছু। রবি ঠাকুরের হৈমন্তিরা জানতাম এদেশেই বাস করে, তারা মনের দুঃখ চেপে রাখতে পারে ভদ্রতার খাতিরে। হৈমন্তি শুধু গল্পেই পড়লাম আমরা, বাস্তবের দুঃখে পারিনি মুখ চেপে চোখ দিয়ে শুধু এক ফোঁটা জল নিশঃব্দে ফেলতে। বাস্তবে আমরা এখনও চিতকার করি, রাগে চুল ছিড়ি, ফুলের টব ছুড়ে মাড়ি। কিছু ভাংচোর না করে পারি না ভিতরের পাগলা অনুভুতিটা নিবৃত্ত করতে। কিন্তু সবাই তো আর হৈমন্তি পড়েনি। এতো সাধারন মানুষদের কথা, দরিদ্র দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে পড়ালেখা তো সবার ভাগ্যে হয় না, সবার কাছ থেকে তাই হৈমন্তির শিক্ষা আশা করাও যায় না। কিন্তু সরকার তো শিক্ষিত। তারা যদি আরেকটু মনোযোগী হতো দেশের মান সম্মানের ব্যাপারে, নাগরিকরাও হয়তো আরো ভালো বুঝতে পারতো, আরও সুশীল আর মার্জিত হতো। কি করলে দেশের মান সম্মনা বাড়ে বা কমে সেটা যদি আমরা আমাদের নেতা নেত্রীদের জীবনী/ কার্যকলাপ থেকে না শিখতে পারি, তবে সাধারন মানুষ শিখবে কোথা থেকে। টিভি, টক শো, মিটিং, মিছিল, সভা, সংবাদ সম্মেলন সব খানে যদি দেখতে হয় একে অন্যকে অপদস্থ করার নাটক, তবে আমাদের আম জনতার মন মানসিকতা এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসবে কোন শক্তিতে?

একটা দুষ্টচক্রে পড়ে যেন আমরা অসহায়। কোথা থেকে এই বৃত্তের অবসান করা যাবে, কে আগে এগিয়ে আসবে? আপনি আগে ভালো হন তাহলে আমি ভালো হবো, সবাই যদি একথা বলে তবে ১৬ কোটি মানূষের একটা বিশাল বৃত্ত হবে, মেয়েদের বালিশ খেলার মতো, যে বালিশ শুধু ঘুরতেই থাকবে, খুজে পাবে না সেই প্রথম ত্যাগ স্বীকার করতে চাওয়া হাত জোড়া। কখনও থামবে না সেই ঠেলাঠেলির বাজনা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় একমাত্র আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।ঈশ্বর যেন আমাদের সরকারের সুমতি দেন! ইংলান্ডের জাতীয় সঙ্গীতের একটা মাহাত্ম আছে। হয়ত এত বেশী বিপদ আপদ (যার অনেকটাই অবশ্য তাদের নিজেদের তৈরী করা সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ বিগ্রহের কারনে) মোকাবিলা করতে হতো দেখেই তারা প্রার্থনা বাণী দিয়ে বেঁধেছে ওদের জাতীয় সঙ্গীত। আর সেটা এখন লোকজনের কথাবার্তায়ও জায়গা করে নিয়েছে আপন ছন্দে। ছোটখাট বিপদ, কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতা, খেলা এসব উপলক্ষে লোকজনের কথবার্তায় এটা প্রচলিত হয়ে গেছে, God save the Queen! আমার মনে হয় এর একটা বাংলাদেশী সংস্করণ বের করা এবার জরুরী হয়ে পড়েছে। আল্লাহ! বাংলাদেশকে বাঁচাও। অথবা, আঞ্চলিক ভাষায়, আল্লাহ! বাংলাদেশরে তুমি দেইখো!

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×