[ঈষৎ পরিবর্তিত, বর্ধিত, পুনঃপ্রকাশ-২০১২]
প্রভাতফেরী, প্রভাতফেরী,
তোমরাই কি একুশের অনুসারী?
সারা বছর বিলাসে মাতিয়া
রক্তশপথ সকলি ভুলিয়া
একুশ এলে হঠাত সবে--
উঠো চমকিয়া !!
মনে কি নেই তোমাদের?
৫২ র এই দিনে,
শপথ নিয়েছিলে,
শহীদ ভাইয়ের রক্তের-
মাতৃভাষা আর মাতৃভুমির তরে,
জীবন সঁপে দিবে তুমি
তেমনই অকাতরে।
কিন্তু আজ একি দশা তার?
আজও কেন দেখি বাংলা জুড়ে
দুঃখ হাহাকার?
দেখ না কি তোমরা
নিপীড়িতের বেদনা?
শোননা কি
অন্নহারাদের চিৎকার?
তবুও তোমাদের নড়ে না টনক?
শূন্যের দিকে চেয়ে থাকো
আগেরই মতন,
উদাসীন, নির্বিকার।
তবে কি একুশ মানে নয় সে চেতনা,
দূরে ঠেলে সব অন্যায় অবিচার,
বিভেদ আর বৈষম্য ঘুচাবার?
আজকে একুশ দুয়াড়ে কড়া নেড়ে
সেকথাই দিতে চায় স্মরণ করে।
আর তাই খুব ভোরে-
নগ্ন পায়ে যখন হেটে যাও শহীদ মিনারে
তখন বস্তির উলংগ ছেলেটাকে এনে
দাঁড় করিয়ে দেয় তোমেদের পথের ‘পরে।
তবুও তোমাদের নড়ে না টনক,
সহানুভুতি? না, বিরক্তিই যেন প্রাপ্য তার
তাই অবজ্ঞাভরে সরিয়ে দাও তারে বার বার
আর উল্লাসে চেচিঁয়ে বলো “Road is clear!”
আর এ দুর্দশা অবলোকন করি,
পরদিনই বিদায় নেয় একুশে ফেব্রুয়ারি
প্রভাতফেরী, ও প্রভাতফেরী,
ওরে ও কান্ডারী,
তোমরাই কি একুশের অনুসারী?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




