
সিইসি আজকে একটি ভুল ও অযৌক্তিক কথা বলেছেন। সংবিধানে পিআর পদ্ধতি নেই এজন্য এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে না এটা কোন গ্রহনযোগ্য যুক্তি না। এটা হচ্ছে খুবই হালকা ও সহজ খোঁড়া যুক্তি। আমি সিইসির এই বক্তব্যকে বলবো একটা কৌশল। যারা এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চান এই বক্তব্য তাদের দাবীকে সহজে মেনে নেয়ার একটা চেষ্টা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে পিআরের পক্ষে না। তবে সংবিধানে নেই এজন্য এই পদ্ধতি নেয়া যাবে না এটা একটা ভুল যুক্তি। সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলতে কিছু নেই, অথচ সেই সরকার এদেশে গঠন হয়েছে। যে পদ্ধতিতে সিইসি সংবিধান অনুযায়ী নিয়োগ হওয়ার কথা সেই পদ্ধতির বাইরে গিয়ে তিনিও নিয়োগ পেয়েছেন। সকল উপদেষ্টা নিয়োগ পেয়েছেন এবং দেশও চলছে। কাজেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে পিআর না মানা হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে সেটারই প্রকাশ।
পিআর পদ্ধতি না মানার আরো অনেক বড় ও শক্ত যুক্তি আছে। বিএনপি এটা এখনো ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেনি। সামনে এই দাবী যখন আরো জোরালো হবে বিএনপি সেটা সামনে আনবে। তবে সব দল যদি ঐক্যমতে পৌঁছায় তাইলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে সংবিধান কোন বাধা হতে পারে না। যেভাবে বাকি সবকিছু হচ্ছে সেভাবেই এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে। যদিও বিএনপি এই পদ্ধতি মেনে নিবে না এবং আমার ধারণা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এই পদ্ধতি চায় না।
এনসিপিও এখনো পিআর নিয়ে জোরালো কথা বলছে না। তারা যে গণপরিষদের কথা বলছে সেটা পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে তারা সেই দাবী এখনো করেনি। আপাতত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে যে আলোচনা চলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ। এখন সবার নজর সেদিকেই।
রাজনৈতিক আলাপ
©শামীম মোহাম্মদ মাসুদ
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



