ত্যাগী নেতা বলতে রাজনীতিতে কিছু নাই। যে সত্যিকারের নেতা, তাকে অনেক কিছু ত্যাগ করতেই হবে। রাজনীতি হচ্ছে এমন একটা জায়গা এখানে সবসময় কাজ করে যেতে হয়, বিরতি নেয়ার সুযোগ নেই। ব্যপারটি এমন না যে, "আমি একসময় অনেক কাজ করেছি-অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি এখন আর কিছু করবো না, শুধু বসে বসে বড় পদ পদবী আশা করবো" তাইলে আপনি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন, আপনি আর সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন না।
অনেকে দেখবেন এখন প্রচার করে বেড়ায়, সে অনেক ত্যাগী নেতা, অনেক নির্যাতিত নেতা, সে রাজপথে লড়াই করেছে। যারা এসব প্রচার করে বেড়ায় বুঝতে হবে তারা অনেক ছোট নেতা। তারা এর বিনিময়ে পদ পদবী প্রত্যাশা করে, কিছু সুবিধা আশা করে। কিন্তু একজন সত্যিকার নেতা কখনো নিজের ত্যাগের বিনিময়ে কোন কিছুর প্রত্যাশা করে না, সে তার যোগ্যতায় আর নীতি আদর্শ দিয়ে জনতার মন জয় করেই প্রাপ্য সম্মান পাবে। জনতাই তাকে তার ত্যাগ ও কর্মের মর্যাদা দিবে।
বড় নেতারা দেখবেন কখনো প্রচার করে বেড়ায় না যে আমি এই ত্যাগ করেছি, সেই ত্যাগ করেছি, এত বছর নির্যাতিত হয়েছি। তারা নিজের কথা না বলে নিজের কর্মীদের ত্যাগের কথা বলে। আর যে নেতা নিজের অবদান আর ত্যাগ নিয়ে সারাদিন প্রচার করে বেড়ায় বুঝতে হবে ওই নেতার কোয়ালিটি নেই, অবস্থান নড়বড়ে, জনগনের সাথে তার ভালো সম্পর্ক নেই, মানুষ তাকে ভালোবাসে না। যার কারনে সে একটু সমীহ পেতে চায়, একটু সুবিধা পেতে চায় এসব প্রচার করে।
নেতৃত্ব জিনিসটা অন্যরকম, সবাই নেতা হতে পারে না। আদর্শহীন নেতা সাময়িক সুবিধা পেলেও এরা একসময় অপমানিত হয়, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, হারিয়ে যায়। মানুষ আদর্শহীন নেতাদের পছন্দ করে না। নেতার নিজস্ব চিন্তা চেতনা থাকতে হয়, আদর্শ থাকতে হয়। তার কাজই হলো নিজের চিন্তা চেতনাকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। নিজের নীতি ও আদর্শ দিয়ে নিজস্ব ভক্ত তৈরি করা। নিজের নীতিটা অন্যদের কাছে ছড়িয়ে দেয়াই হলো রাজনীতি।
রাজনৈতিক আলাপ
©শামীম মোহাম্মদ মাসুদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




