দীর্ঘ অর্ধযুগের প্রতীক্ষার অবসান, হাতে হাত নতুন স্বপ্ন বোনার শুরু। শুরুর সময়টা যদি ও ধোয়াশাচছন্ন , ধীরেধীরে সময় নিয়ে পেখম মেলা। বল্ধুতা আজ পরিনত পরিণয়ে। তেমন টেনশন না থাকলেও উদ্বিগ্নতা ছিলই যেমন থাকে সবকিছুতে।
প্রায় পাঁচ বছর সুখে -দুখে , ঝগড়ায় -আড্ডায় , ভাল লাগায় -মন্দ বলায় সঙ্গী ছিলাম এক ছাদের নীচে এক রুমে। ভার্সিটি জীবনের প্রিয় রুমমেট আমার। দশ জন মিলে থাকতাম আমরা একটা ভাড়া বাসায়। পাশাপাশি দুটি বাসা থেকে আরো কাছে থাকার মানসে বড় দেখে এই বাসা নেয়া । সে গল্প আরেকদিন। দুজন দুই ডিপার্টমেন্টে পড়ি। কত রাত যে দুজন আড্ডা দিয়ে পার করে দিয়েছি সে হিসাব করাও অনেক কষ্টের হবে , মাঝে মাঝে চলত প্রতিযোগিতা দিয়ে ঘুমানো। শেষ সিগারেটটা ভাগাভাগি করে না খেলে ঘুম ও ধরা দিতনা চোখে। প্রথম সেন্টমার্টিন যাওয়া, একসাথে ছবি তুলতে বের হওয়া................ভাঙ্গা হাত গলায় ঝুলিয়ে বসে আছি- সে আমাকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছে, এমন অজস্র স্মৃতি। এখনও হয় মাঝেমাঝে জেগে থাকা মাঝরাতে ফোন দিয়ে বলা- দোস্ত সিগারেটটা অর্ধেক টানছি, টানবি নাকি
বাবুর সাথেই পড়ত নুসরাত। ধীরেধীরে নুসরাত ও আমাদের ভাল বন্ধু হয়ে গেল। প্রথম দুবছর ওদের মাঝে শুধুই বল্ধুতা। কোন দিকে বাক নেয়ার কোন লক্ষন ই দেখা গেলনা ।আমরা একটু টেনশনে , ঘটনা কি, বাবু কোন ঘোষনা দিচ্ছেনা কেন
এই প্রেমময় জীবনের শুভ সমাপ্তি ঘোষনা করে অবশেষে বন্ধু আমার গত শুক্রবারে শুভ পরিনয়ে আবদ্ধ হল। বন্ধু শুভ হউক তোমাদের প্রতিটি আগামি দিন।
অবশেষে ..........................এই বার নাকি আমার পালা
বাকি মেট দের হিসাব নাকি তাই বলে। প্রতিটি রুমকে আমরা নাম্বারিং করেছিলাম। এক , দুই নং রুম অলরেডী গন কেস। তিন নং রুম এর অর্ধেক ও শেষ। বাকি অর্ধেক আমি ।হালকা টেনশনে পড়ে গেলাম দেখি, সিরিয়াল মেনটেনের একটা ব্যাপারত আছেই। অন্যদের পথরোধ করাটা ঠিক হবেনা
পার্থ প্রতিদিনই ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে ..অতিক্রম করে যাবার ভয় দেখাচ্ছে
কিন্তু ........................................................।
যাই হউক সবাইকে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা। জয় হউক প্রতিদিন- জয় হউক বন্ধুতার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




