বাঙ্গালীর দেশপ্রেম সবসময়ই প্রশ্নবিদ্ধ , খেলোয়াড় থেকে নেতা সবাই একই কাতারে !!!! আরেকটা যুদ্ধ হলে দেখা যাবে রাজাকারি করার প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে যাবে ।
কাজের চেয়ে আকাজে আমরা বেশী সিদ্ধহস্ত । ঝামেলা বাঁধানোতেও জুরি মেলা ভার।
সাকিবের ঘটনাটা একভাবে চিন্তা করলে কত সহজেই না সমাধান করা যেত । বাংলাদেশের আগামী সফর যেখানে, সাকিব ও খেলেতে যাচ্ছে সে দেশেরই লীগে । ব্যাপারটা সাকিব এবং দল দুয়ের জন্যই ভাল হত , কন্ডিশনের সাথে অন্তত একটা খেলোয়াড় পরিচিত থাকল। সে সহজেই সেখানে দলের সাথে যোগ দিতে পারত, এমন ঘটনাযে দুনিয়াতে ঘটেনা তা তো না । এতে কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেতোনা । আর ক্রিকেট টীম গেমের সাথে সাথে ব্যক্তিগত নৈপূন্যেরও ব্যাপার আছে, একসাথে প্রাকটিস করলে টীম স্পিরিট বাড়বে সত্য, না করলেও খুব বেশী ক্ষতি হতোনা কারন সেত খেলার মধ্যেই ছিল। সুতরাং কোচ এবং সাকিব ব্যাপারটা আলোচনার মাধ্যমে সহজেই সমাধান করে নিতে পারত ।
আবার কোচের সাইড থেকে চিন্তা করলে সেত সাকিবকে ৩১শে জুলাই পর্যন্ত খেলার পারমিশন দিয়েছিল, সুতরাং বোর্ডেরও এই নিয়ে বাগড়া দেয়ার দরকার ছিলোনা , সাকিবেরও তা মেনে নেয়া দরকার ছিল। দলের প্রয়োজনে কোচের অনেক ডিসিশানই অনেক সময় মেনে নিতে হয় (সামির নাসরিকে ফুটবল বিশ্বকাপের দলে নেয় নাই কোচ ), আর এইখানে শুধু দল না দেশও জড়িত । সাকিবের দরকার ছিল বোর্ডের সাথে কথা বলে ব্যাপারটা আপোষে ম্যানেজ করে খেলতে যাওয়া । উদ্ধত আচরন দেখিয়ে সে অনাপত্তি না নিয়েই রওয়ানা দিয়েছে, পরে করেছে কোচের সাথে বাজে ব্যবহার । এইটাও মেনে নেয়ার কোন কারন নেই, সাকিবের কাছ থেকে দেশ এমনটা আশা করেনা ।
আলোচনার মাধ্যমে আমরা কোন কিছুর সমাধান করতে চাইনা, সবাই চাই নিজ নিজ হ্যাডম দেখাতে , আমরা এমন কেন ?
সাকিব ক্রিকেট না খেলার যে কথা বলেছে, তাতে কি শুধু বাংলাদেশের ক্ষতি হবে , বাংলাদেশের সীল ছাড়া এই সাকিবের মূল্য কয়দিন থাকবে এই জিনিসটাও তার বুঝা দরকার। খুব বেশী দিন আগের কথা নয়, বিসিবির সাথে ক্যাচাল করে ইন্ডিয়ায় লীগ খেলতে যাওয়া আফতাব শাহরিয়ার নাফিস সহ একদল খেলোয়াড়ের এখন কোন অস্তিত্ত্বই নেই । সুতরাং বিসিবি চাইলে তার খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করে দেওয়াও খুব বেশী কঠিন কিছু না ।
পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর দেশের প্রতি শর্তহীন ভালবাসা - এই দুইটা জিনিস না থাকলে খেলাধুলা সহ কোন কিছুতেই আমরা ভাল কিছু কোনদিন করতে পারবোনা ।